শ্রয়ণ সেন
বেশ কয়েক বছর পর এবার মহালয়ার ভোরে বৃষ্টি দেখল কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি। এর পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুজোর আবহাওয়া নিয়ে। কেমন থাকতে পারে এবারের পুজোর আবহাওয়া, সেই নিয়েই সন্দিহান মানুষজন।
উল্লেখ্য, বৃষ্টিহীন পুজো খুব একটা দেখা যায় না। একুশ শতকের হিসেব করলে দেখা যাবে যে ২০০১, ২০০৪, ২০১২, ২০১৫ এবং ২০২৩ সাল বাদ দিয়ে প্রতি বছরই বৃষ্টি হয়েছে পুজোতে। এর মধ্যে আবার দুর্যোগের মতো বৃষ্টি হয়েছে ২০১০, ২০১৩, ২০১৭ এবং ২০২২ সালে। বাকি বছরগুলিতে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।
এবারের পুজোর পূর্বাভাস হল পুজো বৃষ্টিহীন হবে না, আবার দুর্যোগেরও কোনো আশংকা নেই। তবে ষষ্ঠী পর্যন্ত জোরালো বৃষ্টির আশঙ্কা থাকলেও সপ্তমীর দিন থেকে আবহাওয়া অনেকটাই বদলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মহালয়ার দিন কলকাতায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে তাইওয়ানের কাছে একটি টাইফুন অপেক্ষারত। শক্তিশালী ওই টাইফুনটির কারণে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্ব ভারতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পের আগমন হবে। এদিকে, গত কয়েক দিন চূড়ান্ত গরম পড়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। জলীয় বাষ্প এবং গরমের কারণে উলম্ব মেঘপুঞ্জ তৈরি হতে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে। এর ফলেই ঝড়বৃষ্টি দেখতে দক্ষিণবঙ্গ।
ষষ্ঠী, অর্থাৎ ৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। অল্প সময়ের তীব্র বৃষ্টির কারণে জলমগ্নও হতে পারে কলকাতার পথঘাট। কিন্তু আশা করা যায় যে সপ্তমী থেকে আবহাওয়া বদলাবে। এমনকি বর্ষা বিদায়ের পরিস্থিতিও ধীরে ধীরে শুরু হয়ে যাবে। হাওয়ার গতিপথও পরিবর্তন হবে। দক্ষিণ দিকের বদলে উত্তর দিক থেকে হাওয়া দিতে শুরু করবে। ধীরে ধীরে শুষ্ক হবে বায়ুমণ্ডল।
মনে করা হচ্ছে নবমীর পর থেকে ভোরের দিকে হালকা শিরশিরানিও অনুভূত হতে পারে।
এদিকে উত্তরবঙ্গেও আগামী ৫-৬ দিন জোরালো বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দুর্যোগের বেশি আশঙ্কা নেই। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ১১-১২ অক্টোবর নাগাদ উত্তরবঙ্গ থেকে বিদায় নিতে পারে বর্ষা।