বহু প্রাচীন শাল, সেগুন, অশ্বত্থ, বট, শিরিশ, শিমুল, আম, কাঁঠালের মত প্রায় ৩৫ রকমের গাছ ঘিরে আছে দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরকে। কলকাতার খুব কম জায়গাতেই রয়েছে একসঙ্গে এত গাছের সমাহার। এই গাছগুলিই ঐতিহ্যবাহী লেকের পরিবেশকে করে রেখেছে সবুজ ও মনোরম।
কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে নিঃশব্দে। এক এক করে দশটি গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর চত্বর থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। কী কারণে বা কারা এই গাছগুলি কেটে নিচ্ছে, তাই নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে। তাদের অভিযোগ, অসাধু চক্রের সঙ্গে যোগ আছে এই পার্কে কর্মরত কিছু কর্মীর। তাদের যোগসাজশেই গাছগুলি কাটা হচ্ছে। এলাকার মানুষ যাতে বুঝতে না পারে তার জন্য একটা একটা করে গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভা ও বন দফতরের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
সরোবরের গাছগুলি বন দফতরের এক্তিয়ারে। কিন্তু সেগুলি দেখাশোনা দায়িত্ব রয়েছে কলকাতা পুরসভার ওপর। সম্প্রতি বন দফতরের পক্ষ থেকে এই কাজের জন্য কিছু পরিমাণ টাকাও বরাদ্দ করা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে প্রশ্ন করলে বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, তিনি এই প্রথম লেকের গাছ কাটার ব্যাপারে শুনলেন। তাঁর আশ্বাস, এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে, প্রয়োজনে তদন্ত করেও দেখা হবে। বিনয়বাবুর বক্তব্য, গাছ কাটা আটকানো ও গাছগুলি পাহাড়া দেওয়া কেবল সরকার বা দফতরের পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।
উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশীষ কুমার জানান, স্থানীয় মানুষ জনের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে রবীন্দ্র সরোবরের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে যে সংস্থা কাজ করছে তাদের গাফিলতি প্রমাণ হলে তাদের শোকজ করা হবে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।