রুখাশুখা অঞ্চল বলে পরিচিত পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাঁকুড়া। বাঁকুড়ার জঙ্গলে শুষ্ক পর্ণমোচী গোত্রের গাছের দেখা মেলে। সেই বাঁকুড়ার জঙ্গলেই এ বার সবাইকে অবাক করে দিয়ে দেখা মিলল সুদূর লাতিন আমেরিকার আমাজন রেন ফরেস্টে দেখা মেলা পতঙ্গভুক উদ্ভিদের। আমাজনের জঙ্গলে যে সব জায়গায় সূর্যের আলো ঢোকে না এমন স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় জন্মায় পতঙ্গভুক উদ্ভিদ ‘সানডিউ’। বাংলায় এর নাম ‘সূর্য শিশির’। বৈজ্ঞানিক নাম ‘ড্রসেরা বার্মানি’।
দিন কয়েক আগে বাঁকুড়ার সোনামুখী রেঞ্জের বড়ো নারায়ণপুর মৌজার জঙ্গলে এই পতঙ্গভুক উদ্ভিদের খোঁজ মিলেছে। জঙ্গলে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দারাই বন দফতরকে জানান। বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা গাছটিকে চিহ্নিত করে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করেন।
বিরল প্রজাতির মাংসাশী প্রকৃতির পতঙ্গভুক উদ্ভিদ হার্বাল মেডিসিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এই গাছের পাতা ছোট ও গোলাকার হয়। লাল ও বেগুনি রঙের হয়। এই গাছে আঠালো ফাঁদ রয়েছে যা দিয়ে এই গাছ কীটপতঙ্গ ধরে খায়।