রাজ্য
সিএএ ইস্যুতে বিজেপি ছাড়তে চলেছেন নেতাজির ভাইপো চন্দ্র বসু?

ওয়েবডেস্ক: নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ) একাধিক বার মুখে খুলেছেন বিজেপি নেতা এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো চন্দ্র বসু। বৃহস্পতিবার নেতাজির জন্মদিনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী দিনে তিনি বিজেপিতে থাকবেন কি না, তা ভেবে দেখছেন।
জানা গিয়েছে, চন্দ্র বসু এ দিন বিজেপির উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সিএএ-তে কয়েকটি পরিবর্তনের প্রয়োজন। গান্ধীজিও বলেছিলেন, প্রতিবেশী দেশে অত্যাচারিত কেউ ভারতে এলে তাঁকে আশ্রয় দিতে। কিন্তু তিনি কখনোই এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের কথা বলেননি। ফলে আমরা যদি তাঁকে সত্যিই অনুসরণ করতে চাই, তা হলে নতুন আইন থেকে ধর্মের বিষয়টি সরিয়ে ফেলতে হবে। এর ফলে বিরোধীরাও শান্ত হবে। কিন্তু, যদি তা না করা হয়, তা হলে আমি আগামী দিনে বিজেপিতে থাকব কি না, তা ভেবে দেখতে হবে”।
তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, নতুন আইনে সামান্য কিছু পরিবর্তন করা হলেই তিনি সমর্থন করতে রাজি রয়েছেন।

একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্যে উঠে আসে নদিয়ার একটি নেতাজি মূর্তিতে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো নিয়ে বিতর্কের কথাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে দেখা গিয়েছে, নেতাজির হাতে গুঁজে দেওয়া হয়েছে বিজেপির পতাকা। যা দেখে তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা।
তিনি বলেন, “সুভাষচন্দ্র একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও তিনি বর্তমানে দলাদলির রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এখনকার কোনো রাজনৈতিক দলই নেতাজিকে তাদের বলে দাবি করতে পারে না। ফলে এমন একজন দেশনায়কের স্ট্যাচুর হাতে বিজেপির পতাকা লাগিয়ে দিলেই তিনি বিজেপির হয়ে যাবেন না”।
ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি তীব্র নিন্দা করে এ ব্যাপারে তিনি দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হস্তক্ষেপের প্রত্যাশাও করেন।
রাজ্য
Bengal Polls 2021: প্ররোচনামূলক মন্তব্য, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ওপরে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের
“শীতলকুচিতে ৪ জন নয়, ৮ জনকে মারা উচিত ছিল,” এমনই মন্তব্য করেছিলেন রাহুল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এ বার নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া নেমে এল বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হার বিরুদ্ধেও। ৪৮ ঘণ্টার জন্য তাঁর বক্তব্যের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর প্ররোচনামূলক বক্তব্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উসকে দেওয়ার মতো মন্তব্য করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা।
উল্লেখ্য, শীতলকুচির ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, তখনই প্রবল উসকানিমূলক মন্তব্য করে বসেন রাহুল। হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী বলেন, “শীতলকুচিতে ৪ জন নয়, ৮ জনকে মারা উচিত ছিল। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী তা করেনি, তার জন্য তাদের শোকজ করা উচিত।”
এই প্রসঙ্গেই রাহুল আরও বলেন, “ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলেকে যদি বিজেপি করার অপরাধে কেউ গুলি করে মারে, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে বোমা ছুড়ে মানুষকে ভোট দিতে আটকাচ্ছে, তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কায়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” এর পরেই সেই বিতর্কিত মন্তব্যটি করে বসেন রাহুল।
রাহুলের এই মন্তব্যের পরেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। তার পরেই ব্যবস্থা নিতে হল নির্বাচন কমিশনকে। উল্লেখ্য, সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার ওপরেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। সেই নিষেধাজ্ঞার সময় পেরিয়ে গেলে রাত সওয়া ৮টায় বারাসতে সভা করবেন মমতা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশেষ বার্তা নির্বাচন কমিশনের
কোচবিহার
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশেষ বার্তা নির্বাচন কমিশনের
ভবিষ্যতে প্রাণহানি এড়ানোর জন্য বিশেষ কাজ করতে বলা হয়েছে বাহিনীকে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিচালনা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিশেষ বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শ বাহিনীকে দিল কমিশন।
কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্থানীয় পুলিশকর্মীদের অভিজ্ঞতা ও তথ্যকে কাজে লাগাতে বলা হয়েছে তাদের। এতে ভবিষ্যতে প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছে তারা।
গত শনিবার চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের ১২৬ নম্বর বুথের সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান চার জন। তৃণমূলের দাবি, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়ে ৪ জনকে খুন করেছে বাহিনী। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং কোচবিহার জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয় উন্মত্ত জনতার প্ররোচনাতেই এই গুলি চালানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কমিশনের অস্বস্তি এখনো কাটেনি। কারণ ওই বুথের কোনো ছবি বা ফুটেজ এখনও প্রকাশ করতে পারেনি তারা। ফলে কী পরিস্থিতিতে গুলি চালানো হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। এরই মধ্যে উত্তেজনা প্রশমণে পদক্ষেপ করল কমিশন।
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোট পরিচালনায় স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এতে ভবিষ্যতে অশান্তি এড়ানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী কমিশন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Bengal Polls 2021: বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি অধীররঞ্জন চৌধুরীর
বীরভূম
Coronavirus Second Wave: মাত্র দু’সপ্তাহে সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ৮১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পশ্চিমবঙ্গের এই জেলায়
পরিস্থিতি ভয়াবহ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা। প্রথম ঢেউয়ের সময় পরিস্থিতি যে রকম ছিল, এখন পরিস্থিতি আরও খারাপ। প্রথম বারের মতো এ বারও সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা। এর পাশাপাশি কয়েকটি জেলার পরিস্থিতি আরও বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যে এই মুহূর্তে ৭টি জেলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা চার অংকে রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি সক্রিয় রোগী (৭,৭৪০) কলকাতায়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগণায় সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৫,৯৫৫ জন।
কিন্তু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশেষ ভাবে চিন্তিত এখন বীরভূমকে নিয়ে। গত দুই সপ্তাহে এই জেলায় সক্রিয় রোগীতে বৃদ্ধি এসেছে ৮১৬ শতাংশ। এটা কার্যত ভাবনারও বাইরে। যে বীরভূম জেলায় মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্তও সংক্রমণ হত নগণ্য, সেখানে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
গত ২৯ মার্চ, এই বীরভূমেই সক্রিয় করোনারোগী ছিলেন ১৭১ জন। সেটা বর্তমানে বেড়ে হয়েছে ১,৫৬৮ জন। গত দু’ সপ্তাহ ধরে লাগাতার এই জেলায় দৈনিক দু’শোর বেশি সংক্রমণ ঘটছে। অথচ প্রথম ঢেউয়ের সময়ে আগস্টে মাত্র একদিনই বীরভূমে সংক্রমণ দু’শো ছাড়িয়েছিল।
তবে শুধু বীরভূমই নয়, আরও কিছু জেলার পরিস্থিতি সংকটজনক। গত দুই সপ্তাহে সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ৫৮৭.৮১ শতাংশ বৃদ্ধি এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়, হুগলিতে বেড়েছে ৫২৪.০৮ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগণা এবং পশ্চিম বর্ধমানে সক্রিয় রোগী বেড়েছে যথাক্রমে ৪৪৬.৮৩ শতাংশ এবং ৪৪১.৬৬ শতাংশ। হাওড়ায় রোগী বেড়েছে ৪০৩ শতাংশ।
শতাংশের বিচারে কলকাতায় সক্রিয় রোগীর বৃদ্ধি তাও কিছুটা কম, ২৮৯.৩৩ শতাংশ। তবে এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে চাইছে বাংলা। তবে সেটা এখনই সম্ভব বলে মনে হয় না। এ রাজ্যে সংক্রমণ এখনও চূড়ার দিকে যাচ্ছে। সেই চূড়া কবে আসবে কেউ জানে না। ফলে রাজ্যের সংক্রমণচিত্র কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা ভাবাই যাচ্ছে না।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Coronavirus Second Wave: কিছুটা স্বস্তির খবর দিল মহারাষ্ট্র, দৈনিক সংক্রমণকে ছাড়িয়ে গেল সুস্থতা
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ24 hours ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ1 day ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে