জলপাইগুড়ি
‘১০ বছর সরকারে থেকে খেলেন, ভোটের আগে বোঝাপড়া বরদাস্ত নয়’, বিক্ষুব্ধদের বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের?

জলপাইগুড়ি: মঙ্গলবার জলপাইগু়ড়ির জনসভা থেকে কারও নাম না করে ‘বিক্ষুব্ধ’দের বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তাঁর মুখে এ দিনের এই মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মতো নেতাদের উদ্দেশেই বিশেষ বার্তা বহন করছে।
এ দিনই হলদিয়ার অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তৃণমূলের ‘বহিরাগত’ তত্ত্ব এবং দলতন্ত্রের কড়া সমালোচনা করেন শুভেন্দু। আর তার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে জলপাইগুড়ির সভা থেকে মমতা বলেন, “১০ বছর ধরে সরকারে থেকে খেলেন, ভোটের মুখে এর, ওর সঙ্গে কথা? ভোটের আগে বোঝাপড়া করে বিরোধিতা করবেন না। আমরা বরদাস্ত করব না”।
উত্তরবঙ্গ নিয়ে আক্ষেপ
গত লোকসভা ভোটে হাতে উত্তরবঙ্গ থেকে শূন্য হাতে ফিরেছিল তৃণমূল, এ দিন সেই আক্ষেপের কথা শোনা গেল মমতার ভাষণে। আগামী বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কী অপরাধ ছিল। কী অন্য়ায় করেছি আমরা। বাইরে থেকে কিছু লোক এসে সব আসন নিয়ে চলে গেল”।
একই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “একুশে এমন পরীক্ষা দেবেন, যাতে বিজেপি কোনও দিন পরীক্ষায় বসতে না পারে”।
রাষ্ট্রপতি শাসন
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে লাগাতার উদ্বেগ প্রকাশ করছেন রাজ্যপাল। বিজেপির তরফেও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তোলা হচ্ছে। রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেছেন এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন।
এ দিনের সভায় মমতা বলেন, “কী করবেন, রাষ্ট্রপতি শাসন? করে দেখান না! আমার তো তা হলে কাজ কমে যায়। আমি শুধু আন্দোলনেই সময় দিতে পারব। আমি আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি, এ সবে কিছু হবে না। আমার উপর অনেক হামলা হয়েছে। আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত এমন জায়গা নেই, যেখানে মারা হয়নি”।
দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এ দিনের সভা থেকে মমতা বলেন, “এত কাজ করেও উত্তরবঙ্গে কোনো আসনে জিততে পারেনি তৃণমূল। নতুন-পুরনো মিলে কাজ করুন। ভোটের আগে বিরোধিতা বরদাস্ত করব না। বাংলায় তৃণমূল জিতছে, জিতবে। মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে যোগাযোগ বজায় রাখুন”।
রাজ্যের বিধানসভা ভোটের প্রচারে ভিন রাজ্য থেকে বিজেপি নেতৃত্বের আগমন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “বিজেপির মতো চোর আর নেই। চম্বলের ডাকাতরা আসছে। মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে”। তিনি আরও বলেন, “বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানে প্রতারণা”। (পড়তে পারেন: ‘বিজেপির মতো চোর নেই’, জলপাইগুলির সভায় বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আচমকা ভূমিকম্পের বান এসেছে উত্তরবঙ্গে। কম্পনগুলির কেন্দ্রস্থল আলাদা আলাদা হলেও সবগুলোই অনুভূত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ ৪.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল গয়েরকাটার কাছে একটি চা বাগানে। এর সাড়ে তিন ঘণ্টার পর ফের একবার কেঁপে ওঠে জলপাইগুড়ির মাটি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানায় এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হলদিবাড়ির কাছে।
এই কম্পনের জের কাটতে না কাটতেই দুপুরে ফের একবার ভূমিকম্প অনুভূত হয় জলপাইগুড়িতে। এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল আবার এক্কেবারেই আলাদা জায়গায় ছিল। ৩.৯ মাত্রার এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভুটানের চুখাতে, যা জয়গাঁ সীমান্ত থেকে খুব একটা দূরে নয়।
কম্পনগুলি মৃদু হওয়ায় অনেকেই তা টের পাননি। কিন্তু যাঁরা টের পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে। বেশ কিছুদিন শান্ত থাকার পর মাটির তলা কেন ফের নড়তে আরম্ভ করেছে, সেটাই ভাবা যাচ্ছে না।
অতীতে জলপাইগুড়ি অনেক বার ভূমিকম্প দেখলেও মাত্র ১৮ ঘণ্টার ব্যবধানে চার বার কম্পন অনুভূত হওয়ার নজির খুব একটা নেই।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সোমবার রাতের কম্পনের পর বারো ঘণ্টাও কাটল না, ফের দুলে উঠল উত্তরবঙ্গের মাটি। তবে এই কম্পনের তীব্রতা কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার একটু পরে নতুন এই কম্পনটি অনুভূত হয়েছে। ন্যশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানাচ্ছে ৪.১ মাত্রার এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল জলপাইগুড়ি জেলার গয়েরকাটার কাছে তেলেপাড়া চা বাগানের মধ্যে।
তীব্রতার হিসেবে এটি মৃদু হলেও আশেপাশের জনবসতিতে এ দিনের কম্পনও ভালো ভাবেই টের পাওয়া গিয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরে কম্পন ভালোরকমই অনুভূত হয়েছে। শিলিগুড়ি, কোচবিহারেও হালকা কম্পন অনুভূত হয়।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে মাঝারি ধরনের কম্পনে কেঁপে ওঠে গোটা উত্তরবঙ্গ। ৫.৪ মাত্রার এই কম্পনের কেন্দ্রস্থল ভুটানে জলঢাকা নদীর তীরবর্তী একটি অঞ্চলে হলেও সেটি পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পং জেলার বিন্দুর খুব কাছে। ফলে গোটা পাহাড় এবং ডুয়ার্সে কম্পনটি ভালো ভাবেই টের পাওয়া যায়। স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
উত্তরবঙ্গ এমনিতে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। কিন্তু বেশ অনেকদিন এখানে কোনো কম্পন হয়নি। কিন্তু মাত্র বারো ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার কম্পন হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। এটা বড়ো কোনো কম্পনের ইঙ্গিত কি না, সেই নিয়েও ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন অনেকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Coronavirus Second Wave: মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফের জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী
জলপাইগুড়ি
‘নরেন্দ্র মোদী আপনার দাম কত টাকা’? জানতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদী, শিলিগুড়ি থেকে জবাব চাইলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: রবিবার শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে শুরু করে ভেনাস মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডে তখন সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রান্নার গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেলের দামবৃদ্ধির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মোদীর জবাব চাইলেন মমতা।
পদযাত্রা শেষে মমতা বলেন, “গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে প্রতীকী মিছিল করেছি। প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বাংলায় কোনো কাজ করতে আসেন না। কুৎসা, অপপ্রচার করতে আসেন। রাজনৈতিক কারণে আসতেই পারেন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আজ আপনি বাংলায় প্রচার করতে এসেছেন, জবাব দিন কেন এলপিজি গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা হয়েছে। জবাব আপনাকে দিতেই হবে। পেট্রোল, ডিজেলের দাম কেন বাড়ছে জবাব দিন”।
আক্রমণ তীব্র করে মমতা বলেন, “বিনা পয়সার চাল ফোটাতে গ্যাসের দাম ৯০০ টাকা। নরেন্দ্র মোদী আপনার দাম কত টাকা? আপনারা জিজ্ঞাসা করুন। বাংলায় এসে বলছে এখানে পরিবর্তন হবে। আরে বাংলায় তৃণমূল থাকবে, দিল্লিতে পরিবর্তন হবে। আপনাকেই চলে যেতে হবে। যে পাঁচটা রাজ্যে ভোট আছে, প্রতিটা জায়গায় হারবেন। লজ্জা নেই, চলে এসে বলছে, বাংলায় মহিলাদের সম্মান দেওয়া হয় না। গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বলছে মহিলাদের অপমান করা হচ্ছে। এখানকার মেয়েরা বাইরে রাতের রাস্তায় বেরোতে পারে, বিজেপিশাসিত রাজ্যে যা পারে না। এখানে এসে বড়ো বড়ো কথা বলছেন। বাংলাকে সোনার বাংলা বানাবে বলছে, সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিক্রি করে দিয়ে এ সব কথা আসে কোথা থেকে”।
তোলাবাজি অভিযোগের পাল্টা দিয়ে তিনি বলেন, “কোভিডের সময় ভয়ে এক দিনের জন্যেও আসেনি। আর এখন ঘনঘন আসছেন। কোভিডের ভ্যাকসিনেও নিজের মুখ লাগিয়ে দিয়েছে। এ রকম হয়। রাস্তা, ঘরবাড়ি, স্টেডিয়াম নিজের নামে করে নিয়েছে। এখন শুধু ভারতের নাম বদলটাই বাকি। তাই বাংলায় বারবার এসে বলে তোলাবাজি। সব থেকে বড়ো তোলাবাজ তো আপনি। দেশে একটাই সিন্ডিকেট চলছে। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের সিন্ডিকেট।”।
মোদীর ব্রিগেড সমাবেশকে নিশানা করে মমতা বলেন, “একগাড়ি কয়লার কত দাম, একটা ট্রেনের কত দাম। লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মানুষের রান্নাঘরে আগুন জ্বলছে। মানুষের সমস্যার কথা বলতে এসেছি। ভোট চাইতে আসিনি। মোদী যখন ফাঁকা ব্রিগেডে বক্তৃতা করেন, তখন আমি রাস্তায় থাকি। রাস্তাই আমাকে রাস্তা দেখা যায়”।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
-
ক্রিকেট24 hours ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ2 days ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি