রাজ্য
সমাজবিরোধীদের নিয়ে যাচ্ছিলেন জেপি নড্ডা, দাবি তৃণমূলের
কেন্দ্রের পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক হিসেবে অ্যাখ্যা দিল তৃণমূল।

কলকাতা: বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারের সভা যাওয়ার পথে শিরাকোলে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার (JP Nadda) কনভয়ে। যা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর সমানে অব্যাহত।
এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তলব করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকেই অসাংবিধানিক হিসেবে অ্যাখ্যা দিল তৃণমূল।
শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, “মুখ্যসচিব, ডিজিকে ডাকার কোনো সাংবিধানিক নিয়ম নেই। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরপন্থী। আইন-শৃঙ্খল রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। কেন তাঁদের ডাকা হল, তার জবাবদিহি করতে হবে কেন্দ্রকে”।
একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, “নড্ডার জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল। তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। বুলেট প্রুফ গাড়িতে ছিলেন নড্ডা। ওই সফরে পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাডিশনাল এসপি, এসপি, পুলিশকর্মী এবং সিভিক ভলান্টিয়াররা ছিলেন। কিন্তু তিনি নিয়ম মেনে যাননি”।
বিজেপির প্ররোচনাতেই যে গতকালের ঘটনা, তা প্রমাণে কল্যাণ বলেন, “নড্ডা সমাজবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিজেপির মিছিলে বাইক মিছিল ছিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাকেশ সিং নামে এক অভিযুক্ত। যাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। নড্ডার কনভয় থেকে তিনি প্ররোচনা দিচ্ছিলেন”।
উল্টোদিকে, বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) প্রায় একই সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে জানান, “এটা ঠিক, নড্ডাজির বুলেট প্রুফ গাড়ি ছিল। কিন্তু ঘটনার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমার রাজনৈতিক জীবনে এমন ব্যর্থ সরকার আর দেখিনি”।
আরও পড়তে পারেন: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করল হাইকোর্ট
রাজ্য
রাজ্যে পাল্লা ভারী তৃণমূলেরই, জানাল আরও একটি সমীক্ষা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ২ মে’র পর রাজ্যে সরকার গড়ার ব্যাপারে এখনও পাল্লা ভারী তৃণমূলেরই। এমনই জানাচ্ছে এবিপি নিউজ-সিএনএক্সের সমীক্ষা। এমনকি মাসখানেক আগে প্রথম দফার যে সমীক্ষা হয়েছিল, তার থেকে এ বার আসন বেশ কিছুটা বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের। দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও বিজেপির প্রভাব কমার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তৃণমূল পেতে পারে ১৫৪ থেকে ১৬৪। বিজেপি জিততে পারে ১০২ থেকে ১১২। বাম-কংগ্রেস পেতে পারে ২২ থেকে ৩০ এবং অন্যেরা পেতে ১ পারে থেকে ৩ আসন। এই ধরনের সমীক্ষার ফল অনেক সময়ই মেলে না। তবে ভোট- ভবিষ্যৎ বোঝার ক্ষেত্রে এই ধরনের জনমত সমীক্ষা একটি স্বীকৃত পদ্ধতি।
এ রাজ্যের ভোট নিয়ে সিএনএক্স প্রথম সমীক্ষাটি করেছিল মাসখানেক আগে। সেখানে আসন-সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছিল, তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬- ১৫৬। বিজেপি পেতে ১১৩- ১২১। বাম- কংগ্রেস ২০- ২৮ এবং অন্যেরা ১- ৩।
একক গরিষ্ঠতা পেতে হলে যে কোনো দল বা জোটকে কমপক্ষে ১৪৮ আসন পেতে হবে। সে দিক থেকে সিএনএক্স-এর প্রথম সমীক্ষায় তৃণমূলের ন্যূনতম আসন-সম্ভাবনা ১৪৮ ছোঁয়নি। এ বার তাদের দ্বিতীয় সমীক্ষায় সেই সম্ভাবনা কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে কমপক্ষে ১৫৪-তে পৌঁছেছে। সর্বোচ্চ আসন পাওয়ার সংখ্যা ১৫৬ থেকে ১৬৪-তে পৌঁছোতে পারে, বলছে সমীক্ষা।
অন্য দিকে, প্রথম সমীক্ষায় বিজেপির ন্যূনতম আসন ধরা ছিল ১১৩, এ বার তা কমে ১০২। একই ভাবে সর্বোচ্চ আসন প্রাপ্তির সম্ভাবনাও ১২১ থেকে কমে হয়েছে ১১২। বাম- কংগ্রেসের অবস্থান দুই সমীক্ষাতেই মোটামুটি এক। গত সমীক্ষায় ছিল ২০- ২৮। এ বার ২২- ৩০।
বিজেপির ভোট ভাগ কমতে পারে। তবে তৃণমূলের ভোট ভাগ কমার বিশেষ সম্ভাবনা নেই – ৪২ শতাংশ। ৩৭ থেকে কমে ৩৪ শতাংশ হতে পারে বিজেপির ভোট ভাগ। কিন্তু লাভবান হতে পারে বাম-কংগ্রেসের ভোট ভাগ, ১৭ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশ হতে পারে। এর থেকে মনে করা হচ্ছে যে তিন শতাংশ ভোট বিজেপির থেকে জোটের দিকে চলে আসতে পারে।
এক সপ্তাহ আগে এবিপি-সি ভোটারের একটি সমীক্ষা হয়েছিল। সেখানে বলে হয় যে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় তৃণমূল পেতে পারে ১৪৮ থেকে ১৬৪ আসন। বিজেপি পেতে পারে ৯২-১০৮ আসন। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস জোট পেতে পারে ৩১-৩৯টি এবং অন্যান্য ১-৫টি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, ক্ষতিপূরণের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্য
অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্যে ব্যাপক ভাবে বাড়ল সংক্রমণের হার
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৪৮ শতাংশ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: টেস্ট কমে গেল অনেকটাই। কিন্তু সংক্রমণ বাড়ল ব্যাপক ভাবে। এর ফলে রাজ্যে একদিনে ব্যাপক ভাবে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণের হার। ফলত, করোনা সংক্রান্ত অস্বস্তি বেড়ে গেল কয়েক গুণ। যদিও এ দিনও মোট আক্রান্তের সংখ্যার থেকে বেশিই ছিল সুস্থতার সংখ্যা।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ২১৫ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২২১ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২৮০ হয়েছে।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৭ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৪১২টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১.৪৮ শতাংশ। রবিবার সংক্রমণের হার ছিল ০.৯২ শতাংশ। ফলে একদিনে যে ভাবে সংক্রমণের হারটি বেড়েছে সেটা রীতিমতো অস্বস্তির।
তবে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৭ লক্ষ ১৩ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৬২ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৫৮ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.৭০ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ জন, উত্তর ২৪ পরগণায় ৬৩। দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৬৪ এবং ৫৬ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা ছিল মৃত্যুহীন।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৯১, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৮২। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,২৩৮ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৮৯৯। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১০২ এবং ২,৫১৪ জনের।
তিন জেলা নতুন সংক্রমণহীন
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের তিন জেলা ছিল নতুন সংক্রমণশূন্য। এই জেলাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং এবং দক্ষিণ দিনাজপুর।
যে যে জেলায় সংক্রমণ এক অঙ্কে ছিল, সেই জেলাগুলি হল কোচবিহার (১), মুর্শিদাবাদ (১), পশ্চিম মেদিনীপুর (১), পূর্ব বর্ধমান (২), জলপাইগুড়ি (৩), উত্তর দিনাজপুর (৩), মালদা (৩), পুরুলিয়া (৩), ঝাড়গ্রাম (৩), হুগলি (৩), বাঁকুড়া (৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৪), নদিয়া (৫), বীরভূম (৫), দার্জিলিং (৬), পশ্চিম বর্ধমান (৭), দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৮)।
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা বাদে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র হাওড়ায় (২১) নতুন সংক্রমণ ছিল দুই অঙ্কে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা
রাজ্য
সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা
রবিবার রাতে প্রয়াত কংগ্রেস নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রে শ্রী শিখা মিত্র এবং পুত্র রোহন মিত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রবিবার রাতে প্রয়াত সোমেনবাবুর বাড়িতে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই শিখাদেবী এবং রোহনকে নিয়ে জল্পনা বেড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেসের গাঁটছড়া নিয়ে প্রদেশ ভবনের অচরণে ক্ষুব্ধ শিখা মিত্র এবং রোহন মিত্র। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তাঁরা।
ঘনিষ্ঠমহলে রোহন জানিয়েছেন বুধবার হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনি ও তাঁর পরিবার যোগাযোগ রাখবেন বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন রোহন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আরও প্রবল বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, বাম-কংগ্রেসের জোটের পক্ষে বরাবরই মত ছিল সোমেন মিত্রের। তবে তাঁর মৃত্যুর পর প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে মিত্র পরিবারের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ে। সম্প্রতি, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্র। নাম না করে অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্তে আগেও উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এরই মধ্য়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে যে বিজেপির পক্ষ থেকে শিখা মিত্রকে প্রয়াত নেতার আসন, চোরঙ্গী থেকে টিকিট দেওয়ার কথা দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরো ব্যাপারটাতেই ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। সোমবার তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট বিজেপিতে যোগ দিলেও সেই দলে দেখা যায়নি শিখা-রোহনকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য3 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য3 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
দেশ3 days ago
স্বামী থাকতেও প্রেমিক খুঁজছেন ভারতের বিবাহিত মহিলারা! এটা কি খারাপ খবর?