ওয়েবডেস্ক: বিচার চেয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর দ্বারস্থ হলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারের। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যপ্রশাসনের কোনো সহমর্মিতা নেই ডাক্তারদের প্রতি। যে কারণে তাঁরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবারই এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে চরম হুঁশিয়ারি দেন তিনি। চার ঘণ্টার মধ্যে অচল স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক করার সময়সীমা বেঁধে দেন মমতা। একই সঙ্গে তিনি ডাক্তারদের আন্দোলেন রাজনৈতিক যোগের কথা উল্লেখ করেন। এমনকী আন্দোলনকারীদের বহিরাগত আখ্যাও দেন।
এর পরই জুনিয়র ডাক্তারদের একটি দল রাজভবনে যান। সেখানে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদপত্র দেন। রাজ্যপাল পুরো বিষয়টি শুনে স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা আক্ষেপ করে বলেন, “আজ মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে আমরা অপমানিত। তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমরা তাঁর কাছ থেকে সমাধান দাবি করেছিলাম। কিন্তু তিনি যা বলেছেন, তা অনৈতিক”।
একই সঙ্গে তাঁরা জানান, “আমরা স্টেথো নিয়ে হাসপাতালেই আছি। সমাধান মিললেই আমরা রোগী দেখা শুরু করব। আজ বিকেল চারটেয় চারটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন রাজ্যপাল। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হবে বলে শোনা গিয়েছে। আশা করছি, আমাদের দাবি নিয়েও কথা হবে সেখানে”।
উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারেরা যখন রাজভবনে, সে সময়ই জানা যায়, সাগর দত্ত হাসপাতালের এগারো জন ডাক্তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।