কলকাতা: দুর্গাপুজোর সময়েও আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চান জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জেনারেল বডি (জিবি) সভায় তাঁরা দুই থেকে তিন দফা কর্মসূচির খসড়া প্রস্তুত করেন। এর মধ্যে প্রথম কর্মসূচি ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে একটি নাগরিক কনভেনশন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। অক্টোবরের গোড়ায় দেবীপক্ষের শুরুতে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে চান তাঁরা, যার মূল দাবি হল নির্যাতিতার বিচার।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, বাংলার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ‘থ্রেট কালচার’ বা হুমকি সংস্কৃতি সমূলে উৎখাত করা প্রয়োজন। এই জটিল সমস্যাটিকেই সামনে রেখে আন্দোলনের ঢেউ সারা বাংলায় পৌঁছে দিতে চান তাঁরা। তবে আন্দোলনের মুখ হিসেবে শুধুমাত্র কিছু ডাক্তারকে তুলে ধরাই তাঁদের লক্ষ্য নয়। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার ও রুমেলিকা কুমারদের মতে, তাঁদের আন্দোলনের মুখ ‘মানুষ’ এবং এই আন্দোলন একটি সামাজিক আন্দোলনের আকার নিয়েছে।
সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষের সমর্থন নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, চিকিৎসা সেবা প্রদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সমাজের বিভিন্ন দাবি আদায়ের আন্দোলনে তাঁরা সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকতে চান।
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলন সারা বাংলায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা সমস্ত অপরাধীর কঠোর শাস্তির পাশাপাশি তাঁদের সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন।