খবরঅনলাইন ডেস্ক: এ বছর উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত অন্যান্য বছরের থেকে কম হচ্ছে। কিন্তু তবুও ধস নামায় কোনো বিরাম নেই। বরং শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং হয়ে সিকিমগামি ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ২৯ মাইলে একাধিক বার ধস নামছে। মঙ্গলবারও ধস নামে একই জায়গায়। এর ধসের জেরে ব্যাহত হয়েছে শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিম যান চলাচল।
সোমবার পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টির কারণেই এই ধস নামে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ধসের কবলে পড়ে ধ্বংসাবশেষের নীচে চাপা পড়ে যায় একটি লরি। খবর পেয়েই পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়।
তাদের তৎপরতায় গাড়ির চালক এবং খালাসি বেঁচে গেলেও লরির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দল ও জেলা প্রশাসন। ধসে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গাড়িও উদ্ধার করা হয়। তবে ধস সরিয়ে রাস্তা পুরোপুরি ঠিক করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “প্রাথমিকভাবে জাতীয় সড়ক থেকে ধস সরিয়ে একমুখী যান চলাচল শুরু করা হয়েছে। তবে ওই সড়ক দিয়ে আপাতত ভারী যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, এই বছর একাধিক বার এই অঞ্চলে ধস নেমেছে। এই ধসের সঙ্গে সিকিমগামী প্রস্তাবিত রেলপথের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। একই সঙ্গে, বিভিন্ন বাঁধ তৈরি করে তিস্তার জলকে যে ভাবে আটকে রাখা হয়েছে, তার প্রভাবেও পাহাড় দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদদের একাংশ।
আরও পড়তে পারেন
হিমাচলে জাতীয় সড়কে ফের বড়োসড়ো ধস, অপরিকল্পিত উন্নয়নই কি ডাকছে বিপদ?
কাবুলে পাকিস্তান-বিরোধী বিক্ষোভে মহিলারা, থামাতে গুলি চালাল তালিবান
‘আইন সবার জন্য সমান’ বলেছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী, দু’দিন পরেই গ্রেফতার করা হল তাঁর বাবাকে
শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচ মামলায় নয়া মোড়! বিরোধিতায় ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য