কলকাতা: হাসপাতাল চত্বরকে কুকুরমুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই কুকুরদের নির্বীজকরণ করা হবে। নির্বীজকরণের ক্যাম্প করতে চেয়ে বুধবারই শহরের সব হাসপাতালে চিঠি দেবে কলকাতা পুরসভা। এমনই জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে কুকুর নিধনকাণ্ডের পরেই নড়েচড়ে বসেছে কলকাতা পুরসভা। মঙ্গলবারই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেরায় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ধৃত দুই পড়ুয়া জানিয়েছেন, কুকুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। এনআরএস চত্বর কুকুরদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৫ জন পড়ুয়াকে কামড়েছিল কুকুর। গত ২০ ডিসেম্বর এই নিয়ে মেডিক্যাল সুপারকে ডেপুটেশনেও দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, কোনো কাজ হয়নি। আর তাতেই ‘বাধ্য হয়ে’ কুকুর নিধন করেছেন তাঁরা।
এ দিকে, এক দিকে যখন দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে পশুপ্রেমীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, অন্য দিকে তখন পালটা আন্দোলনে নেমেছেন নার্সিং পড়ুয়ারা। এক দিনের মধ্যে এনআরএস চত্বর কুকুরমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে নার্স সংগঠন। নইলে লাগাতার আন্দোলনে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন কাঁকুড়গাছিতে স্কুলবাসে ধাক্কা সরকারি বাসের, আহত পাঁচ পড়ুয়া
তবে অতীনবাবু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হাসপাতাল চত্বরগুলি পুরোপুরি কুকুরমুক্ত করা কখনোই সম্ভব নয়। সেই কারণেই নির্বীজকরণের ক্যাম্প করা হবে। ক্যাম্পাসে জায়গা না হলে কুকুরদের ধরে নিয়ে আসা হবে পুরসভার ক্যাম্পে। পুরসভার ক্যাম্পে নিয়ে এসে অস্ত্রোপচার করা হবে কুকুরের। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কুকুরের জন্য খাঁচা রাখারও আবেদন করেছেন ডেপুটি মেয়র।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যায় এনআরএস হাসপাতালে সুপারের অফিস সংলগ্ন চত্বর থেকে উদ্ধার হয় বস্তাবন্দি ১৬টি কুকুরছানার দেহ। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় মা কুকুরটিরও। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ফাঁস হয় কুকুরছানাদের মৃত্যুর আসল কারণ। দেখা যায়, একাধিক আঘাত ও রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে কুকুরছানাগুলির।
এ দিকে বুধবারই এই ঘটনার রিপোর্ট দেবে এনআরএস কর্তৃপক্ষের তৈরি বিশেষ কমিটি। এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই দুই ছাত্রীকে হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত করা হবে কি না।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।