রাজ্য
বুধবার রাতে আচমকা বৃষ্টি! রবিবার থেকে উত্তুরে হাওয়ার দাপটে ব্যাপক পারদ-পতনের সম্ভাবনা
অন্য বার নভেম্বরের শুরু থেকে শীত শীত ভাবটা ভালোই অনুভূত হয়। কিন্তু এ বার সেটা এখনও পর্যন্ত হয়নি। গত ৮ আর ৯ নভেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির ঘরে নামলেও ফের তা বেড়ে গিয়েছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বুধবার রাতে আচমকা বৃষ্টি অনেককেই চমকে দিল। বুধবার সকাল থেকে মেঘলা থাকলেও রাতের দিকে বৃষ্টি হতে পারে, এমনটা অনেকেই আন্দাজ করতে পারেননি। তবে খুশির খবর হল, দু’ দিন পর আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে গেলেই ব্যাপক পতন হবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়। এই মরশুমে প্রথম বার বেশ ভালো শীত শীত ভাব অনুভূত হতে পারে কলকাতায়।
ব্যাপারটাকে ‘শীত’ না বলে ‘শীত শীত’ ভাব কেন বলা হচ্ছে? এর পেছনে আবহাওয়াগত একটা কারণ রয়েছে। সরকারি ভাবে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির নীচে না নামলে তাকে ‘শীত’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় না। আপাতত যা পূর্বাভাস, তাতে সোমবার সকাল থেকে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে। যদিও কলকাতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৩-১৪ ডিগ্রিতে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভালোই।
অন্য বার নভেম্বরের শুরু থেকে শীত শীত ভাবটা ভালোই অনুভূত হয়। কিন্তু এ বার সেটা এখনও পর্যন্ত হয়নি। গত ৮ আর ৯ নভেম্বর কলকাতার তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির ঘরে নামলেও ফের তা বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে সেটি ২০-২১ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করছে।
এর পেছনে কারণও রয়েছে। প্রথমত, গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্তের কারণে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে মেঘ ঢুকল। বাড়ল তাপমাত্রা। এ বার সেই ঘূর্ণাবর্ত যখন কেটে গেল, তখন উত্তর ভারতে হাজির হল একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সেই ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আর উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে তৈরি হওয়া উচ্চচাপ বলয় দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে মেঘ ঢুকে দেয়।
বুধবার রাতে সেই মেঘ থেকেই আচমকা বৃষ্টি নামে। কলকাতার দক্ষিণ শহরতলিতে বৃষ্টি হয়েছে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগণা আর পূর্ব মেদিনীপুরে তুলনায় বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতি আর শুক্রবারও বিক্ষিপ্ত ভাবে এমন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলি ছাড়াও পশ্চিমাঞ্চলেও বৃষ্টি হতে পারে।
শনিবারের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে যাবে। আর ঠিক তখনই দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটু শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হবে। ওই নিম্নচাপটি নিজের দিকে সমস্ত জলীয় বাষ্প টেনে নেবে। আর সেই সুযোগে উত্তর ভারত থেকে হিমশীতল উত্তুরে হাওয়া ঢুকে পড়বে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে। কমতে শুরু করবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
উত্তুরে হাওয়ার দাপট রবিবার দিনের বেলা থেকেই টের পাবেন কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। তার প্রভাব গিয়ে পড়বে সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়, যা ১৫ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম স্থান পুরুলিয়া এবং পানাগড়ে তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে।
ফলে এটা বলাই যায় যে আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে এই মরশুমের প্রথম শীতের ছোঁয়া পেতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। শীতবস্ত্র আলমারি থেকে বের করার সময় হয়ে এল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্য
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
কী বলেছিলেন নিত্যনতুন সংলাপের প্রবক্তা অনুব্রত মণ্ডল?

খবর অনলাইন ডেস্ক: এ বার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)-কে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন (EC)। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
অভিযোগ, গেরুয়া শিবিরের উপর চাপ বাড়াতে অনুব্রতবাবু স্লোগান হেঁকেছিলেন, “ভয়ঙ্কর খেলা হবে, বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার”। এ ধরনের মন্তব্যকে ‘প্ররোচনামূলক’ বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের অ্যাপে অভিযোগ জমা পড়ে। অনুব্রতর কাছে নিজের মন্তব্যের ব্য়াখ্যা চেয়ে কারণ দর্শাতে বলেছে কমিশন।
জানা গিয়েছে, নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ। মঙ্গলবার রাত ১১টার মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে। জবাব না মিললে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নির্বাচন কমিশন।
অনুব্রত অবশ্য কমিশনের জবাব তলব প্রসঙ্গে বলেছেন, “পগারপার শব্দের মানেই জানে না কমিশন”। সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “খেলা হবে বলে কী ভুল বলেছি। ক্রিকেট ব্যাট দিচ্ছি, ফুটবল দিচ্ছি, এগুলোও তো খেলা। এখনও বলছি খেলা হবে। নরেন্দ্র মোদী, নাড্ডাসাহেবরাও তো বলছেন খেলা হবে”।
এ দিনই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সতর্ক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ২৯ মার্চ একটি ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। তবে শুভেন্দুর মন্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ হিসেবে অভিহিত করে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। একই সঙ্গে শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)-কে নোটিশ দিয়েছে কমিশন। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)-র প্রচারেও ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির পর অনুব্রত কমিশনের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেছিলেন, “অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে কমিশন। দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাকে দেখতেই পাচ্ছে না”।
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বার দিলীপ ঘোষকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
রাজ্য
Bengal Polls 2021: শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। শুভেন্দু অধিকারীকে শুধুই সতর্কীকরণ!

নয়াদিল্লি: বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) সতর্ক করে দিল নির্বাচন কমিশন। গত ২৯ মার্চ একটি ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। তবে শুভেন্দুর মন্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ হিসেবে অভিহিত করা হলেও এ যাত্রায় তাঁকে শুধুমাত্র সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ নন্দীগ্রামের এক সভায় শুভেন্দু বলেন, “এক দিকে আমাদের বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে রয়েছে আপনাদের পরিবারের ছেলে। এখন বলুন, আপনারা কাকে ভোট দেবেন? বেগমকে নাকি আপনাদের ছেলেকে? বেগমকে ভোট দিল এখানে মিনি পাকিস্তান হবে”।
নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ এপ্রিল তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় নির্বাচন কমিশন। পরের দিন ওই নোটিশের জবাব দেন শুভেন্দু। তাতে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। নোটিশে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, শুভেন্দু যেন নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এ ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত থাকেন।
কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধির প্রথম অংশের ২ এবং ৩ ধারা লঙ্ঘনের জন্য নন্দীগ্রাম বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে গত ৮ এপ্রিল নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
সেই চিঠির জবাবও দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি জানান, তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার অভিপ্রায় তাঁর নেই। তাঁর কোনো মন্তব্যে কেউ কোনো ভাবে আঘাত পান সেটা তিনি চান না। গণতন্ত্র ও নির্বাচন কমিশনের মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উপর শ্রদ্ধাশীল তিনি। তবে ওই চিঠি পাওয়ার পর কমিশন সন্তুষ্ট নয়। তাঁকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বার দিলীপ ঘোষকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের
রাজ্য
নজরে বিধানসভা/বরানগর: দেখে নিন ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক তথ্য
পঞ্চম দফায় ১৭ এপ্রিল ভোটগ্রহণ বরানগরে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: রাজ্যে চলছে আট দফার বিধানসভা ভোট। রাজনৈতিক দলগুলির প্রচার থেকে নির্বাচন কমিশনে এখন চরম ব্যস্ততা। এরই মাঝে দেখে নেওয়া যাক, রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের ইতিহাস এবং বর্তমান পরিস্থিতির অন্যতম কিছু তথ্য।
বিধানসভা কেন্দ্র: বরানগর
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ১১৩ বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রটি বরানগর পুরসভা এবং কামারহাটি পুরসভার ১৭ থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৬ দমদম লোকসভার অন্তর্গত।
ইতিহাস
১৯৫১ থেকে ১৯৭১ সালের টানা ছ’বারের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে জয়ী হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তিনি তিন বার সিপিআই এবং তিন বার সিপিএম প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৭২ সালে এখান থেকে বিধানসভায় যান সিপিআই প্রার্থী শিবপদ ভট্টাচার্য।
১৯৭৭-এর পর থেকে ২০১১ পর্যন্ত এখানকার বিধায়ক ছিলেন আরএসপির মতীশ রায় (১৯৭৭, ১৯৮২, ১৯৮৭, ১৯৯১) এবং অমর চৌধুরী (১৯৯৬, ২০০১, ২০০৬)। ২০১১ এবং ২০১৬ সালে পর পর দু’বার জয়ী হন তৃণমূলের তাপস রায়।
বর্তমান পরিস্থিতি
২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত ফলাফল: তৃণমূল-৭৬৫৩১টি ভোট, আরএসপি- ৬০৪৩১টি ভোট, বিজেপি- ১৪১৭২টি ভোট।
২০১৯ লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল: তৃণমূল-৭০১৭৬টি ভোট, বিজেপি-৫৫৪৮১টি ভোট, সিপিএম-২৩৫৬১টি ভোট, কংগ্রেস-৩৬৭৭টি ভোট।
এ বারের প্রার্থী: তাপস রায় (তৃণমূল), পার্নো মিত্র (বিজেপি), অমলকুমার মুখোপাধ্যায় (কংগ্রেস)।
ভোটগ্রহণ: ১৭ এপ্রিল, ২০২১
ভোটগণনা: ২ মে, ২০২১
অন্যান্য কেন্দ্রগুলির বিস্তৃত বিবরণ পড়ুন এখানে ক্লিক করে: নজরে বিধানসভা
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
ক্রিকেট20 hours ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান