কলকাতা: প্রতিবাদের অস্ত্র হিসাবে ফের বন্ধের পথকেই বেছে নিল বামফ্রন্ট। ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বুধবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পেশ নিয়ে রাজ্য জুড়ে চলা হিংসা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ এপ্রিল বাংলা বন্ধ পালন করবেন তাঁরা।
বুধবারই প্রথম নির্বাচন কমিশনের মনোনয়ন বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেও তা প্রত্যাহার-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বামফ্রন্ট এবং সহযোগী ১৭টি রাজনৈতিক দল। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত সেই মামলা ঠেলে দিয়েছে হাইকোর্টে। ওই একই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। সেখানে বাম-বিজেপিকে বলা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার তারা যেন হাইকোর্টে আবেদন জমা করে। তবে বামেদের এই মাত্র ছ’ঘণ্টার বন্ধ নিয়ে ইতি মধ্যেই অন্য এক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
রাজ্যের ক্ষমতায় থাকাকালীন নিয়ম করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বন্ধের রাজনীতি করতে দেখা গিয়েছে বামেদের। তখন বারো ঘণ্টার বন্ধে দাবি পূরণ না হওয়ার ২৪ ঘণ্টাতেই তাদের আস্থা ছিল বেশি। আবার ২০১৩ সালে অন্ধ্রপ্রদেশে সিপিএমকে দেখা গেছে ৪৮ ঘণ্টার বন্ধ ডাকতেও। কিন্তু এই ছ’ঘণ্টা?
আরও পড়ুন : ছত্রধরের স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মুকুল রায়ের! নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সাম্প্রতিক অতীতে বামফ্রন্ট বা সিপিএমকে মোটেই এ ধরনের মিনি-বন্ধে নামতে দেখা যায়নি। সাংগঠনিক ক্ষয়ের ফলেই যে বামেদের বন্ধে ‘বিবর্তন’ ঘটে গেল, তা এক প্রকার নিশ্চিত।
উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবারের বন্ধ পালিত হবে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। যদিও বামেদের তরফে বলা হচ্ছে, এটা আদ্যন্ত একটি প্রতীকী বন্ধ!