ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দাপট দেখিয়েছে কালবৈশাখী। সেই সঙ্গে ছিল মুহুর্মুহু বজ্রপাত। বাজ পড়ে দক্ষিণবঙ্গে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা।
বুদবুদের নতুয়ালপল্লিতে মাঠে কাজ করার সময়ে মৃত্যু হয়েছে দু’ জনের। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে মন্তেশ্বরে। সেখানেও বাজ পড়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কালবৈশাখী আছড়ে পড়ে শহর কলকাতায়। তবে তার আগেই বিভিন্ন জেলায় তার দাপট দেখা যায়। ঝড়ের ফলে বিপর্যস্ত হয়েছে কলকাতাও। পার্ক স্ট্রিট, বিবাদি বাগ এবং রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার এলাকায় গাছ পড়ে যায়। গাছ পড়েছে বিভিন্ন জেলাতেও। কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৮ কিমি এবং গড়ে কুড়ি মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
কিন্তু সব থেকে চিন্তা সৃষ্টি করেছে বজ্রপাত। গত কয়েক বছরে বজ্রপাত ক্রমশ বেড়েছে রাজ্যে। এর পেছনে দূষণকে অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। বজ্রপাতের সময়ে আপনার কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়, সেগুলো জেনে নিন।
ঘরের বাইরে থাকলে
১) উঁচু জায়গায় থাকবেন না। বাড়ির ছাদে একদমই থাকবেন না।
২) সমতল জায়গায় শুয়ে থাকবেন না।
৩) গাছের তলায় আশ্রয় নেবেন না।
৪) ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রী ছাউনির মতো জায়গাতেও থাকবেন না।
৫) পুকুর, হ্রদ-সহ জলাশয়ের ধারেকাছে থাকবেন না।
৬) ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলুন। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
ঘরের ভিতরে
১) বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র, কম্পিউটার এবং ল্যান্ডফোন স্পর্শ করবেন না।
২) জল ঘাঁটবেন না। বেসিনের কাছে যাবেন না। চানও করবেন না।
৩) জানলার বা দরজার কাছে থাকবেন না।
৪) কংক্রিটের মেঝেতে শুয়ে পড়বেন না। কংক্রিটের দেওয়ালে হেলান দেবেন না।
বজ্রপাতের সময়ে তিনটে জিনিস যা মনে রাখতেই হবে
১) ঝড়বৃষ্টির সময়ে কোনো ফাঁকা জায়গাই নিরাপদ নয়।
২) মেঘ ডাকলেই বুঝবেন বজ্রপাত বেশি দূরে নেই আর।
৩) যদি ফাঁকা জায়গায় থাকেন, তা হলে মেঘের গর্জন শুরু হলেই নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।