খবর অনলাইন ডেস্ক: ভোটের আগে থেকেই উত্তপ্ত বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালি। তবে আজ, শনিবার ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির ঘটনা ঘটলেও সার্বিক ভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন সন্দেশখালির ভোটাররা।
ভোটের দিনেও সন্দেশখালি-সহ বসিরহাট লোকসভার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর এসেছে। তবে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের দাবি, ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁর তেমন কোনো অসন্তোষ নেই।
তিনি জানান, সন্দেশখালিতে ‘শান্তিপূর্ণ’ ভোট হচ্ছে এবং এই ভোট মা–বোনদের সম্মান রক্ষার। তাঁর কথায়, “যাঁরা এতদিন ধরে অত্যাচার সহ্য করছেন, এটা তাঁদের ভোট। এই সন্দেশখালির পরিবেশ দেখে ভালো লাগলো। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পেরেছে সন্দেশখালির মানুষ।”
এ দিন সকাল সকাল নিজের বুথে ভোট দেন রেখা। তাঁর মন্তব্য, “এই বছরের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্তুষ্ট। সেই অর্থে কোনো অভিযোগ নেই। ২০১১ থেকে যা করতে পারিনি, তা এবছর করতে পেরেছি।”
একইসঙ্গে রেখা দাবি করেন, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি এজেন্টরা বসতে পারছে না বলে তিনি শুনেছেন। তৃণমূল চক্রান্ত করছে, যাবতীয় বিষয়গুলিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নজর রাখা হচ্ছে।
এরই মধ্যে, দুপুরের দিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ তুলেছেন রেখা। বসিরহাট লোকসভার উত্তর মামুদপুর শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ৯৮ নম্বর বুথ দখলের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রেখা বলেন, “৯৭ ও ৯৮ নম্বর বুথে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কলমের কালি দিয়ে বিশেষ চিহ্ন করা হয়েছে ৷ তার মানে এখানে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে যে যেখানে কালি দিয়ে চিহ্ন করা আছে সেখানেই ভোট দিতে হবে। আর কোথাও ভোট দেবেন না। তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই বুথটা তৃণমূলের কর্মীরা ক্যাপচার বা দখল করে রেখেছে।”
বসিরহাটে এ বার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে হাজি নুরুল ইসলামকে। এবং বাম–কংগ্রেসের জোট প্রার্থী নিরাপদ সর্দার। এখন দেখার, সন্দেশখালি ও বসিরহাটের মানুষ রেখায় আস্থা রাখতে পারে কিনা। স্পষ্ট উত্তর জানা যাবে ৪ জুন।