কলকাতা: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে ১৮টিতে জিতেছিল বিজেপি। আর এ বারের ভোটে এখনও পর্যন্ত যা প্রবণতা, তাতে ১০-১২টি আসনেই থমকে যাবে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, হারতে বসেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ!
মঙ্গলবার সারা দেশের সঙ্গেই লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলায় ফলাফলের প্রবণতা দেখার পরই কার্যত হতাশ বিজেপি নেতৃত্ব। দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান-দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ হারতে চলেছেন। অথচ, সেই তিনিই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নিজের কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে প্রায় ৮৯ হাজার ভোটে জিতেছিলেন।
গত বার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বাংলায় লড়েছিল বিজেপি। আর এ বার খাতায়-কলমে সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হলেও দলের অন্দরে খবর, প্রার্থী বাছাইয়ে বড়সড় ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যায়, দিলীপকে এবার নিজের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে ভূমিকা থাকতে পারে শুভেন্দুর। ২০১৯ সালে আড়াই হাজারের কম ভোটে জেতা আসনেই প্রার্থী হতে হয় দিলীপকে। আর তার পরিণতি যা হওয়ার সেটাই হচ্ছে। এই কারণেই সম্ভবত, আসন বদলের পর আকারে-ইঙ্গিতে নিজের অনিচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন দিলীপ।
এমনিতে, এখনও পর্যন্ত বঙ্গ-বিজেপির সবচেয়ে সফল সভাপতির আখ্যা পেয়ে থাকেন দিলীপ ঘোষ। শুধু বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নয়, ২ থেকে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যাকে কী ভাবে ১৮-য় পৌঁছে দিতে হয়, সেটা তিনি বাস্তবে করে দেখিয়েছেন। ফলে তাঁর জনপ্রিয়তা বা সাংগঠনিক ক্ষমতাকে খাটো করার একটা চেষ্টা চলেছে বলে মনে করেন রাজ্য বিজেপির আদি নেতারা।
বিশেষ করে, দিলীপকে অন্য আসনে সরিয়ে দেওয়া এবং দিলীপের আসনে আসানসোল থেকে অগ্নিমিত্রা পালকে উড়িয়ে আনার মধ্যে কী এমন রাজনৈতিক কৌশল ছিল, সেটাই স্পষ্ট নয় বিজেপির অনেকের কাছে। এখন বিপর্যয়ের ইঙ্গিত মিলতেই ফের এক বার দিলীপকে তাঁর জেতা আসন থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার রহস্যময় কারণ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে!
আরও পড়ুন: অভিষেকের জয়ে শুভেন্দুর ‘বিপর্যয়’! তৃণমূলের কোন অস্ত্রে বাংলায় ঘায়েল বিজেপি?