মালদহ: উচ্চ মাধ্য়মিকের ফলাফল ঘোষণার পর শুরু হয়েছিল এক অন্য রকম আন্দোলন। পাশ করানোর দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় পথে নেমেছেন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা। মালদহের হবিবপুরের আরএন রায় গার্লস হাইস্কুলের পড়ুয়া শম্পা হালদার তাঁদেরই এক জন। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হল তাঁর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন শম্পা।
অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের পাশের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে বিক্ষিপ্ত কিছু ভিডিও। যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক চাপানউতোর। ঘটনায় প্রকাশ, এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করেন ১৮ বছর বয়সি শম্পা। ফলাফল প্রকাশের পর প্রথমসারিতে থেকে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ডিআই, এসআই কার্যালয়ের সামনে ধর্না থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধে গলা চিরে স্লোগানও দিতে দেখা যায়।
জানা গিয়েছে, শম্পার স্কুলের ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ বার অকৃতকার্য হয়েছেন ১০০ জনই। এঁদের মধ্যে অধিকাংশ ইংরাজিতে ফেল করেছেন। শম্পা নিজেও ইংরাজিতে ফেল করেছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার চুপ মেরে গিয়েছিলেন শম্পা। আর এরই মধ্যে রাতে বাড়িতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।
শম্পার বাবা কুশি হালদার পেশায় মৎস্যজীবী। তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করার পর আরও অনেকের সঙ্গেই কয়েক দিন ধরে পাশ করানোর দাবিতে অংশ নিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। শুক্রবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ডাকাডাকি করে সাড়া মেলেনি। শেষমেশ সিঁড়িঘরের ছাদে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ দেখতে পাওয়া যায়।
মালদহের অতিরিক্ত সুপার অমিত কুমার সাউ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ার জন্যই ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি”।
আরও পড়তে পারেন:
বিধানসভার অধিবেশনে নেই, মায়াপুরে দেখা মিলল মুকুল রায়ের
আগে আঘাত করো, পরে চিন্তা! ‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভে কেন্দ্রকে নিশানা বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর
‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, ঘোষণার পর থেকে যে ৫টি বড়ো বদল আনল কেন্দ্র
সোমবার থেকেই খুলে দেওয়া হোক সরকারি স্কুল, শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন শিক্ষক সংগঠনের
তদন্তে জানা গিয়েছে, উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ার জন্যই ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি”।