মালদহে ফের তৃণমূল নেতার উপর হামলার ঘটনা। দুলাল সরকার খুনের ১২ দিনের মাথায় কালিয়াচকের নয়া বস্তি এলাকায় মঙ্গলবার সকালে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। এই হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। নিহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী হাসান শেখ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের নওদা যদুপুর এলাকায় নিকাশি এবং রাস্তা উদ্বোধনের অনুষ্ঠান চলছিল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, আচমকাই বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা বকুল শেখের উপর গুলি চালায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত তৃণমূল কর্মী হাসান শেখও গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় বকুল এবং হাসানকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান শেখের মৃত্যু হয়। বকুল শেখের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এলাকার একাংশের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই হামলা। বকুল শেখ অভিযোগ করেছেন, অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছিলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জাকির। সেই সময়েই বাইকে করে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই হামলার পিছনে রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘এই নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী যদি জানতে চান, তাঁকে বিস্তারিত জানানো হবে।’’
এর আগে, ২ জানুয়ারি মালদহের ইংরেজবাজার শহরে ঝলঝলিয়ার কাছে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলেরই মালদহ শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
দুলাল সরকার খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের হামলার ঘটনায় এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর। তবে এই ধারাবাহিক হামলা রাজ্যের শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে।