মালদা
পশ্চিমবঙ্গে গো-হত্যা, চুরি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ যোগী আদিত্যনাথের
মালদহের গাজোল কলেজ মাঠের সভায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।


খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার মালদহের গাজোল কলেজ মাঠের সভা থেকে তৃণমূলকে নিশানা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচার তুঙ্গে। এ দিন বিজেপির সভায় অংশ নিয়ে আদিত্যনাথ বলেন, “আজ বাংলায় দারিদ্র্য ও দুর্দশা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণমূলক পরিকল্পনাগুলি বাংলায় বাস্তবায়িত করতে দেওয়া হচ্ছে না”।
তিনি বলেন, “বাংলায় বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র এখানকার সুরক্ষার সামনেই একটি সংকট সৃষ্টি করছে না, এটা সারা দেশের নিরাপত্তার সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে”।
তাঁর কথায়, “এখন বাংলায় অপরাধ, অরাজকতা বেড়েছে। বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। দুর্গাপুজো করতে এখানে সমস্যায় পড়তে হয়, মহরমের অনুমতি দেওয়া হয়। ইদে জোর করে গো-হত্যা শুরু হয়”।
তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এসে গো-হত্যা, পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশে কেউ গো-হত্যা করতে পারেন না, অথচ এখানে গোরুপাচার হচ্ছে। বিজেপিকে আনুন, গোরুচুরি, অরাজকতা বন্ধ হয়ে যাবে “।
তিনি আরও বলেন, “২৫-৩০ বছর আগেও উত্তরপ্রদেশের যুবকরা বাংলায় চাকরির জন্য আসত। এখন বাংলার যুবকরা কর্মসংস্থানের জন্য দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে আসে। প্রতারণা করে লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটছে। আমরা উত্তরপ্রদেশে এ নিয়ে আইন করেছি”।
তাঁর অভিযোগ, “আজ বাংলায় জয় শ্রীরাম বললে বাধা দেওয়া হয়। রামনাম যাঁদের অপছন্দ, দেশে এবং বাংলায় তাঁদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের এই অঙ্গীকার করতে হবে”।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমি মমতাদিদির উদ্দেশে বলতে চাই যে একসময় উত্তরপ্রদেশে এমন একটি সরকার ছিল যারা অযোধ্যায় রাম ভক্তদের উপর গুলি চালাত, আপনি সেই সরকারের পরিণতি কী হয়েছে, তা আপনি নিশ্চয় দেখেছেন। এ বার বাংলায় তৃণমূল সরকারের পালা”।
আরও পড়তে পারেন: কেন্দ্রীয় সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী
মালদা
বিজেপির ‘রথযাত্রা’কে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদহের জনসভায় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার মালদহের জনসভায় বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
তিনি বলেন, “আমরা পুরীর রথযাত্রার কথা জানি, ইসকনের রথযাত্রার কথা জানি। আমি ইসকনের রথযাত্রায় যাই। রথের দড়ি টানি। পুরীতে গিয়ে পুজো দিই। আমরা রথকে শ্রদ্ধা করি। আর বিজেপির নেতারা নিজেদের দেবতা ভাবছেন। জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা হয়ে রথে বসছেন। বড়ো বাসকে হোটেল বানিয়ে রথ বলছে। সেই হোটেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর খাচ্ছে। এত টাকা কোথা থেকে এল? আমরা রথযাত্রাকে সম্মান করলেও আপনাদের এই রথযাত্রাকে সম্মান করতে পারব না”।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ এনে মমতা বলেন, “রথ হল ধর্মীয় বিষয়। ধর্মকে কেউ অসম্মান করতে পারেন না। ধর্মকে অসম্মান করা মানে আমার আত্মাকে অসম্মান করা”।
পাশাপাশি বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, “এখন রথযাত্রা করছেন বাবুরা। রাবণ-রথ নিয়ে সীতাকে হরণ করেছিল। সেই রাবণ-রথই কি আপনারা চালাচ্ছেন”?
এ বার ভোট ভাগাভাগি এড়ানোর বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “মালদহে একটা সিটে বিজেপি জিতেছে, আর একটায় কংগ্রেস। এখানকার জন্য কী করেছে। ৩০ বছর ধরে এখানে আসি। আমি মালদহের জন্য অনেক করেছি। কিছুই পাইনি। কোনো আসন পাইনি। মালদহে কি আমাদের হাত খালি থাকবে। এ বারের ভোটে পূর্ণ হাতে ফিরতে চাই। ভোট এলে এখানে অঙ্ক বদলে যায়। বাম-কংগ্রেস-বিজেপি ভোট ভাগ করে নেয়। এদের মধ্যে আঁতাঁত রয়েছে। কিন্তু এ বারে আমি শূন্য হাতে ফিরতে আসিনি”।
এ দিনেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, “ভোটের সময় বিজেপি টাকা নিয়ে আসবে। টাকা দিলে নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না। ওটা ওদের টাকা নয়। সাধারণ মানুষের টাকা”।
আরও পড়তে পারেন: যত দিন বাঁচব, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো বাঁচব: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মালদা
কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগে ফের এক বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুললেন জেপি নড্ডা
বাংলায় বিজেপির আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা, মনে করালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।


খবর অনলাইন ডেস্ক: মালদহে দাঁড়িয়ে ফের এক বার কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা (JP Nadda)।
শনিবার মালদহের সাহাপুরের মাঠে কৃষকদের সঙ্গে ‘সহভোজে’ অংশ নেন নড্ডা। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে খিচুড়ি খেয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। তার আগে মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানালেন।
অহংকারের কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প না?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলার কৃষকরা শুধুমাত্র তাঁর “অহংকারের কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন”।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কৃসান প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে মমতাদি বাংলার কৃষকদের সঙ্গে যেটা করেছিলেন, তা অন্যায়। তিনি রাজ্যে জনকল্যাণ কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে দেননি, শুধুমাত্র নিজের অহংকারকে সন্তুষ্ট করতে “।
একই সঙ্গে নড্ডা দাবি করেন, “এখন তিনি বলছেন, রাজ্যেএই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেন। আসলে কৃষকরা নিজেই এই প্রকল্পটি অনুমোদনের পক্ষে। সেই বিষয়টাই এখন বুঝতে পারছেন মুখ্যমন্ত্রী। গত দু’বছর ধরে ৭০ লক্ষ কৃষক বার্ষিক ৬,০০০ টাকার অনুদান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন”।
এ বার তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘টাটা’!
বিজেপি প্রধান আরও বলেন, বলেন, “বাংলায় বিজেপির আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় পদ্মফুল ফুটবেই”। তাঁর আরও সংযোজন, “বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক পরে বাংলার মানুষ তাঁর এবং তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘টাটা’ বলবে”। পরিবর্তনের ডাকের পাশাপাশি ‘জয় শ্রীরাম’ ইস্যুতেও সরব হন নড্ডা।
তাঁর সঙ্গে এ দিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, দেবশ্রী চৌধুরী-সহ একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়তে পারেন: তৃণমূলে যোগ দিলেন টলিউডের এক ঝাঁক তারকা
মালদা
মালদহের গঙ্গাবক্ষে লরি: সাঁতার কেটে পাড়ে ১২ জন, এখনও নিখোঁজ ২
স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, প্রতি দিন এই ভেসেলগুলি বহনক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন বোঝাই করে রাজমহল-মানিকচক যাতায়াত করে।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: মালদহের মানিকচকে গঙ্গাবক্ষে লরি পড়ে যাওয়ার ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। যাঁরা জলে পড়ে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ১২ জন সাঁতরে পাড়ে উঠেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এখনও যে ২ জন নিখোঁজ রয়েছেন তাঁরা হলেন ময়না শেখ ও মন্টু শেখ। এঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা এখনও চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার রাতে গঙ্গাবক্ষে ভেসেল উলটে ৯টি লরি পড়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেগুলি তোলা সম্ভব হয়নি। ক্রেন এনে সেই লরিগুলিকে তোলার চেষ্টা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থেকে পাথরকুচি ও বালি বোঝাই গোটা দশেক লরি সোমবার রাতে মানিকচক ঘাটে ভেড়ে। রোল অন রোল অফ ভেসেল থেকে লরিগুলি একে একে নামতে শুরু করে। হঠাৎ ভেসেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। ফলে ভেসেলের বাকি লরিগুলি একে একে গঙ্গায় পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্ধারকারী দল নিয়ে পুলিশ কিছুক্ষণের মধ্যেই মানিকচক ঘাটে পৌঁছোয়। এ ছাড়া মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া-সহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা দুর্ঘটনাস্থলে যান। সার্চলাইট জ্বালিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
স্থানীয় মানুষদের অভিযোগ, প্রতি দিন এই ভেসেলগুলি বহনক্ষমতার অতিরিক্ত যানবাহন বোঝাই করে রাজমহল-মানিকচক যাতায়াত করে। অনেকে গাড়ি নিয়েও এই ভেসেলে নদী পারাপার করেন। যাত্রীরাও বেছে নেন এই পরিবহণ। ভেসেলগুলির উপর ঠিকমতো নজরদারি হয় না। অতিরিক্ত ওজন বহন করার জন্য দুর্ঘটনার আশঙ্কা সব সময়েই থাকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
আচমকা মেঘের আনাগোনা, থমকে গেল পারদ-পতন
-
দেশ2 days ago
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
Sputnik V: এপ্রিলের শেষে ভারতের বাজারে চলে আসবে টিকা, জানাল রাশিয়া
-
প্রযুক্তি1 day ago
বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের