এদিনই মুখ্যমন্ত্রী জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় শহিদ সেনা জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রীকে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র দেন। দেন ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্যও। জওয়ানের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্বও নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
সভা থেকে বিজেপি ও মৌলবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি কিংবা কোনও মৌলবাদী সংগঠনের কথা শুনে প্ররোচিত হবেন না। আপনারা নিজেরা ভাগ হওয়ার থেকে আমার গলাটা দেহ থেকে ভাগ করে দিন। তাতে আমি খুশি হব।”
জেলার উন্নয়নের লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ১৬৭টি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন। বরাদ্দ ঘোষণা করেন ৭১৮ কোটি টাকা। মুর্শিদাবাদে ১৭৫টি নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও জানান তিনি।
এছাড়া, সুতি, ধুলিয়ান ও ফরাক্কার বাসিন্দাদের জন্য নতুন মহকুমা অফিস গঠনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, “ওয়াকফ নিয়ে আমি কিছু বলব না। বলার থাকলে দিল্লিতে যান। বাংলায় আমি আছি, মাথায় রাখবেন।”
অন্য রাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফিরে আসার আহ্বানও জানান মুখ্যমন্ত্রী। অভিযোগ করেন, “বাংলায় কথা বললে ভিন্রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর শুধু প্রশাসনিক ঘোষণা নয়, মানবিক বার্তাও ছড়াল গোটা মুর্শিদাবাদে।