খবর অনলাইন ডেস্ক: রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, দ্বিতীয় দফার ভোট পর্যন্ত তিনি নন্দীগ্রামেই থাকছেন।
নন্দীগ্রামে এ বার প্রার্থী হয়েছেন মমতা। পাশের কেন্দ্র চণ্ডীপুরে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। দোলের দিন প্রথমে চণ্ডীপুরের জনসভা থেকে মমতা বলেন, সোহমকে আমরা এখানে জেতাতে চাইছি, কারণ ও খুব কাজ করে। এটা নয় যে, ফিল্মস্টার বলে আসে, চলে যায়, ও সারা বছর কাজ করে। ৩৬৫ দিন দলের জন্য কাজ করে।
দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ আগামী ১ এপ্রিল। ওই পর্বেই নন্দীগ্রামে ভোট। মমতা বলেন, “নন্দীগ্রামে আপনাদের কাছেই ঘর ভাড়া নিয়েছি। আমি ভোটের দিন পর্যন্ত নন্দীগ্রামেই থাকব। ভোটটা করে তবে যাব”।
প্রথম দফায় পাঁচ জেলার ৩০টি আসনে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টা আসন বিজেপি পাবে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মমতা বলেন, “অনেকে জানতে চায়, ক’টা সিট পাবেন। আমি কী করে বলব। মানুষ ভোট দিয়েছে, মানুষ বলতে পারবে। ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে, মানে মা-বোনে, ভাই-বোন, শ্রমিক-কৃষকরা আমাদের পক্ষেই ভোট দিয়েছেন। বিজেপির এক নেতা আজকে বলছেন, তাঁরা ২৬টা আসন পাবেন। ২৬ কেন, ৩০টা বলো না। তবেই তো গোল্লা বাড়বে। রসগোল্লা খাবে, রস ছাড়া রসগোল্লা। বলছে, ৩০টার মধ্যে ২৬টা পাবে। চারটে বাকি রাখলে কেন? সিপিএম আর কংগ্রেসের জন্যে? আমি কোনো নম্বর বলব না। কারণ আমি জানি, মানুষ আমাদেরই ভোট দিয়েছেন। ফলে নম্বরটা মানুষকেই বলতে বলব”।
একই সঙ্গে মমতা বলেন, “বাংলায় সবাই একসঙ্গে থাকে, এখন এসেছে সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ করতে। হায়দরাবাদের দল থেকে সাবধান। বহিরাগতদের সমর্থন করবেন না, আপনার ঘর দখল করে নেবে। …কে কোথায় ঘুরছে, কার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে, সব দিকে নজর রাখছি। আমাদের দোষ বড়ো বড়ো গদ্দার পুষেছি। মিরজাফর পুষেছি”।
‘খেলা হবে’র রেশ ধরে মমতা বলেন, “১ তারিখে একটা করে ভোট দেবেন, আর বিজেপি-কে মাঠের বাইরে বার করে দেবেন। একেবারে বোল্ড আউট করে দেবেন। তার পরে ২ মে আর একটা দোলযাত্রা হবে”।
আরও পড়তে পারেন: মুকুল রায়ের অডিয়ো টেপ ফাঁস নিয়ে বিতর্ক উসকে দিলেন অমিত শাহ!