বাঙালির ‘ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান’ এর লড়াই যত না ফুটবলের, তার চাইতে ঢের বেশি আবেগের। ‘ইলিশ-চিংড়ি’র লড়াইটাও সেই আবেগেরই। কট্টর মোহনবাগান সমর্থকও বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন না ভরা বর্ষায় চেনা চোখ এড়িয়ে বেপাড়ার মাছের বাজারে যাননি ভাল ইলিশের লোভে।
ইলিশপ্রেমী বাঙালির জন্য সুখবর। দিঘার সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এল দেড়শ টনের ইলিশ। শোনা যাচ্ছে দিঘার মোহনায় আগামী কয়েক দিনে আরও বেশি সংখ্যক ইলিশ ওঠার সম্ভাবনা আছে। আশা করা যায় এবার দামটাও মধ্যবিত্তের নাগালে আসবে।
চলতি মরশুমে ইলিশের কেজি প্রতি দর ছিল সাতশ টাকা থেকে শুরু করে বারশ টাকা পর্যন্ত। এবার দাম কমে নামতে পারে কেজি প্রতি সাড়ে তিনশ-চারশ টাকায় বলেই জানিয়েছেন ইলিশ বিক্রেতারা। এই বছর বেশিরভাগ ইলিশই আটশ-ন’শ গ্রাম ওজনের উঠেছে বলে জানিছেন তাঁরা।
দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘চলতি মরশুমে গড়ে যে পরিমাণ ইলিশ উঠেছে, গত দিন দু’য়েকেই তা বেড়েছে কয়েকগুণ।’ মাঝ সমুদ্রেও মৎস্যজীবীরা সন্ধান পেয়েছেন ‘জলের রুপোলি ফসল’-এর।
ব্যাস,আর কটা দিনের অপেক্ষা; ‘ঝাল’, ‘ঝোল্ ‘পাতুরী’, ‘দই- ইলিশ্ ‘ইলিশ ভাপা’ আরও কত শত ব্যাঞ্জনে ফুটে উঠবে ‘ইলিশ’ নামের বাঙালির চিরন্তন আবেগ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।