অভিনব ‘ফান উৎসব’-এর সাক্ষী থাকল মুকুটমনিপুর

0

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৫ ডিসেম্বর বড়োদিনের সন্ধ্যায় এই প্রথমবার অভিনব ‘ফান উৎসব’-এর সাক্ষী থাকলেন কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ-সহ মুকুটমনিপুরে আসা পর্যটকেরা। বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার সন্ধ্যায় মুকুটমনিপুর জলাধারের ঠিক পাশেই আয়োজিত হল ফান উৎসব।

বাঁকুড়ার পর্যটন মানচিত্রের অন্যতম হল মুকুটমনিপুর। এশিয়ার দীর্ঘতম মাটি বাঁধ ,পাহাড়,নদী,জলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করার অন্যতম স্থান মুকুটমনিপুর। নতুন কিছু করা, নতুন আঙ্গিকে মুকুটমনিপুরকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা, এক কথায় সামর্থ্যের মধ্যে সাধপূরণ, চমৎকার কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরে যাক পর্যটকরা- এই ইচ্ছা থেকেই জন্ম ‘ফান উৎসব’-এর। জানালেন খাতড়া মহকুমা শাসক তনয়দেব সরকার।

বড়োদিনের সন্ধ্যায় স্থানীয় বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করেন এই উৎসবের। তারপর মহকুমা শাসক তনয়দেব সরকার, খাতড়ার এসডিপিও বিশপ সরকার, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী চন্দন রায় সহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন মানুষ ওবিডিও-র হাত দিয়ে উড়ে গেল ফানুস। আলোর রোশনাই আর ফানুসের রংবাহারি নিজস্ব আলোতে মুহূর্তে আলোকিত হয়ে উঠল মুকুটমনিপুর জলাধারের আকাশ। অগনিত মানুষের করতালিতে উৎসবের চেহারা নিল বাঁকুড়ার রানি মুকুটমনিপুরের চেহারা।

Mukutmanipur3

অভিনব ফান উৎসবে কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন । উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকেও ৫০০ ফানুসের ব্যবস্থা ছিল। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানা গেছে, অন্যান্য বারের তুলনায় বড়দিনে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক ভিড় করেছেন মুকুটমনিপুরে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে নৌকা চালকরাও খুশি এই অভিনব প্রয়াসে। তাদের দাবি, এই ধরনের উদ্যোগ মুকুটমনিপুরের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটাবে। বড়দিনে মুকুটমনিপুরে বেড়াতে আসা কলকাতার শ্যামল রায়, শালিনী সেনগুপ্তরা বলেন, ‘কয়েক মাস আগে থেকেই সোশ্যাল সাইটে এই ফান উৎসবের পোস্ট চোখে পড়ে, পশ্চিম বাংলায় সম্ভবত প্রথম এই ধরনের উদ্যোগ, উপস্থিত থাকতে পেরে খুব ভাল লাগছে।‘

বিজ্ঞাপন