রাজ্যের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নবান্ন। রাজ্যের প্রধান সচিব মনোজ পন্থের নির্দেশে প্রতিটি হাসপাতালে বসানো হবে ‘প্যানিক বাটন’, চালু করা হবে কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন নম্বর। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য স্থানীয় থানার পুলিশ টহলদারির ব্যবস্থা এবং মহিলা পুলিশকর্মী বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবিলম্বে পরিবর্তনের দাবি ওঠে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দু’দফা বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিবের তত্ত্বাবধানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে পাঠানো এক চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট পুলিশকর্মী মোতায়েন এবং প্রতিটি হাসপাতালের সিকিউরিটি অডিট সম্পূর্ণ করতে হবে।
প্রতিটি হাসপাতালে আলাদা বিশ্রামঘর ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হবে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। এছাড়া, সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রোগী স্থানান্তর করার জন্য কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম চালু করা হবে।
আর রোগী দেখতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ, মেডিক্যাল কাউন্সিল বাতিল করল চিকিৎসক রেজিস্ট্রেশন
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, রাজ্যের সব হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর কাজ আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকার এই প্রতিশ্রুতি দ্রুত কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিটি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া, জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।