নদিয়া
তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে সিআইডি-র চার্জশিট রানাঘাট আদালতে
সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে মকুল রায় ছিলেন ‘সন্দেহভাজন’, চার্জশিটে হলেন ‘চক্রান্তকারী’, দাবি সিআইডি সূত্রে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় (Satyajit Biswas murder case) চার্জশিট জমা দিল সিআইডি।
২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নদিয়ার হাঁসখালিতে সরস্বতীপুজোর জলসা চলাকালীন খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ককে। গুলিবিদ্ধ হয়ে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খুনের ঘটনায় তদন্তভার নেয় সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, অভিজিৎ পুণ্ডারি এবং নির্মল ঘোষ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় এই খুনের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সিআইডি (CID)-র তরফে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা হয় রানাঘাট আদালতে। সেই চার্জশিটে নাম ছিল রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Jagannath Sarkar)। সিআইডি-র দাবি, খুনের আগে এবং পরে মূল দুই অভিযুক্তের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন সাংসদ। ফলে তিনিও এই খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তবে ওই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের নাম ছিল ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে।
শনিবার জানা যায়, সিআইডি-র হোমিসাইড বিভাগের আধিকারিকরা রানাঘাট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এই চার্জশিটে ‘চক্রান্তকারী’ হিসেবে নাম রয়েছে মুকুলের। পরবর্তী তদন্তে মুকুলের আরও বৃহত্তর ভূমিকার কথা উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় ভবানী ভবনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মুকুলকে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। আরও পড়তে পারেন: তৃণমূল বিধায়ক খুনে মুকুল রায়কে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির
ধর্মকর্ম
শান্তিপুরে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে শ্রীশ্রীঅদ্বৈতাচার্যের আবির্ভাব মহোৎসব
উৎসব চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অবধি। পালিত হবে চিঁড়ে-মুড়কির মহোৎসব, নগরকীর্তন ইত্যাদি।

শুভদীপ রায় চৌধুরী
১৪৩৪ খ্রিস্টাব্দে বর্তমান বাংলাদেশের শ্রীহট্টের লাউড় গ্রামে মাঘী সপ্তমীতিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন কমলাক্ষ, পরবর্তীকালে যিনি হয়ে উঠলেন অদ্বৈতাচার্য্। শান্তিপুরের বড়ো গোস্বামীবাড়িতে শুক্রবার ধুমধাম করে পালিত হল প্রভুর আবির্ভাব মহোৎসব। ‘গৌর আনা ঠাকুর’ শ্রীশ্রীঅদ্বৈতাচার্যের আবির্ভাব উপলক্ষ্যে ১২ দিন ধরে পালিত হচ্ছে।
১২ বছর বয়সে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে কমলাক্ষ চলে আসেন শান্তিপুরে উচ্চতর বিদ্যার জন্য। তিনি ফুলিয়ার শান্তাচার্য পণ্ডিতের কাছে পড়াশোনা করতেন। সেই সময় ফুলিয়া আর শান্তিপুর এক সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং একটি স্থান হিসাবে পরিচিত ছিল।

কমলাক্ষ গুরুগৃহে থাকতেন এবং সেখানে বেদ, ষড়দর্শন পাঠ করে ‘বেদপঞ্চানন’ উপাধিও পেয়েছিলেন। সন্তানের ‘বেদপঞ্চানন’ উপাধি পাওয়ার কথা শুনে কমলাক্ষের পিতা কুবের মিশ্র ও মা লাভাদেবী শান্তিপুরে চলে আসেন। শান্তিপুরে আসার অল্প দিনের মধ্যেই তাঁরা মারা যান। তখন কমলাক্ষের বয়স ১৭ কি ১৮ বছর। তাঁদের পারলৌকিক কাজের পর কমলাক্ষ ভারতভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন।
ভারতভ্রমণে বেরিয়ে তীর্থসমূহে ঘুরতে ঘুরতে একদিন দক্ষিণ ভারতে শ্রীমাধবাচার্য্ আশ্রমে শ্রীমাধবেন্দ্রপুরীর সঙ্গে পরিচয় ঘটে। শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী তাঁর শিক্ষা ও ভক্তিতে সন্তুষ্ট হয়ে দীক্ষা প্রদান করেন এবং কমলাক্ষের নাম হয় অদ্বৈতাচার্য্। ঈশ্বর অভেদ তাই ‘অদ্বৈত’ এবং অগাধ পাণ্ডিত্যের কারণে ‘আচার্য’- এই দুই মিলে শ্রীমাধবেন্দ্রপুরী তাঁর নামকরণ করেন অদ্বৈতাচার্য্।
সেই সময়ে গোঁড়া ব্রাহ্মণদের দাপট এবং রাজ-শাসনের বিধিনিষেধ ভেঙে অদ্বৈতাচার্য্ সমাজের অনাচার দূর করার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করেন। তাই নিয়ে এসেছিলেন শ্রীশ্রীচৈতন্যদেবকে। বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, অদ্বৈতপ্রভুর সাধনাসিদ্ধ আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহাপ্রভু ধরায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাই অদ্বৈতাচার্য্কে ‘গৌর আনা ঠাকুর’ বলেও অভিহিত করা হয়।

অদ্বৈতপ্রভু ভারত ভ্রমণে বেরিয়ে নেপালের গণ্ডকী নদী থেকে একটি নারায়ণশিলা পান, যা তিনি নিজে পুজো করতেন। বর্তমানে সেই নারায়ণশিলার পুজো হয় তাঁরই বংশধরদের বাড়িতে, শান্তিপুরে যে বাড়ি বড়ো গোস্বামীবাড়ি বলে পরিচিত।
কথা হচ্ছিল বড়ো গোস্বামীবাড়ির সদস্য সুদীপ্ত গোস্বামীর সঙ্গে। তিনি জানালেন, শুক্রবার সকালে মঙ্গলারতির পর অদ্বৈতপ্রভুর প্রাপ্ত নারায়ণশিলার অভিষেক হয়। তার পর পাঠবাড়ি আশ্রম, নবদ্বীপের সমাজবাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গার বৈষ্ণবদের উপস্থিতিতে কীর্তনের আসর বসে।
উৎসব চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি অবধি। পালিত হবে চিঁড়ে-মুড়কির মহোৎসব, নগরকীর্তন ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: বরানগরের জয় মিত্র কালীবাড়িতে পশুবলি বন্ধ হয়েছিল বালানন্দ ব্রহ্মচারীর বিধানে
নদিয়া
মা-বোনেরা হাতা-খুন্তি নিয়ে রেডি থাকবেন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যে মা-বোনেরা রাঁধে, তারা চুল-ও বাঁধে, রানাঘাটের সভায় মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: সোমবার রানাঘাটের সভা থেকে তৃণমূল সরকারের জমানায় রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি, সেই দলেরই একের পর এক নেতাকে ভেড়ানো হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “তৃণমূলে থাকলেই কালো, আর বিজেপিতে গেলেই সব ভালো। বিজেপি হল ওয়াশিং মেশিন। কালো হয়ে যাচ্ছে, আর সাদা হয়ে মালা পরছে”।
ডুগডুগি বাজিয়ে সব পালিয়ে যাবে

ভোটের আগে বিজেপির প্রতিশ্রুতি প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্য, “মিথ্যে কথা বলার কোনো জুড়িদার নেই বিজেপির। ভোট এলেই বলে, সবার চাকরি করে দেব, সবার ঘরে টাকা দিয়ে দেব, সব বিনা পয়সায় করে দেব, সব মতুয়াদের নাগরিক করে দেব। আর নির্বাচন মিটে গেলেই ডুগডুগি বাজিয়ে সব পালিয়ে যাবে”।
মাস কয়েক বাদেই রাজ্যের বিধানসভা ভোটে। এ দিনের সভায় প্রচারের পারদ তুঙ্গে তুলে মমতা বললেন, “বাংলা বাংলার মতো চলবে। বাংলা কখনোই গুজরাত হবে না। অনেক কিছুই তো দেবেন বলেছিলেন, দু’বছর হয়ে গেল, কিছুই তো দেননি। তাই বলছি, বিনা পয়সায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে এবং ভালো থাকতে তৃণমূলকে ভোট দিন”।
যে মা-বোনেরা রাঁধে, তারা চুল-ও বাঁধে

সারা ভারতের মধ্যে বিজেপি যে শুধুমাত্র মমতাকেই একটু ভয় পায়, যে কারণে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে হারানোর জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ নিচ্ছে বিজেপি। বললেন, “ওরা সবাই এখানে এসে তো পড়বেই, কারণ সারা দেশের মধ্যে আমাকে ওরা ভয় পায়। কারণ ওরা জানে, আমি বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে মৃত্য়ুবরণ করব, কিন্তু মাথা বিক্রি করব না”।
এ দিন মমতার সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতোই। তাঁদের হাতেই বাড়তি দায়িত্ব তুলে দিলেন মমতা। বলেন, “যে মা-বোনেরা রাঁধে, তারা চুল-ও বাঁধে। তাই আগামী দিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপি কোনো তাণ্ডব করলে মা-বোনেরা দায়িত্ব নেবেন। বাড়িতে রান্নাও করবেন, আর হাতা-খুন্তি নিয়ে রেডি থাকবেন। কোনো তাণ্ডব করলে শান্তিপূর্ণ ভাবে জবাব দেব আমরা। মা-বোনেরাই জবাব দেবেন। উঠে এস আমার বঙ্গজননী…”।
আরও পড়তে পারেন: কৃষি আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র
নদিয়া
শান্তিপুরে পালিত হচ্ছে রাস উৎসব, অন্যতম আকর্ষণ রাইরাজা
যে শিশুকন্যা রাইরাজা হন তাঁকে আগের দিন নিরামিষ আহার করতে হয়। পরের দিন যথাযথ ভাবে নিয়ম মেনে তাঁকে সাজানো হয় এবং যুগলবিগ্রহের সামনে তাঁকে বসানো হয়।

শুভদীপ রায় চৌধুরী
আজ ১৪ অগ্রহায়ণ, গোস্বামীমতে শ্রীকৃষ্ণের রাসযাত্রা উৎসব। করোনা-আবহে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেই এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে শান্তিপুরেও। আর এই শান্তিপুরে রাস উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ রাইরাজা।
কার্তিকীপূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত এই রাসযাত্রা বৈষ্ণবদের অন্যতম উৎসব। রাধাকৃষ্ণের যুগল বিগ্রহকে নানা ভাবে সাজিয়ে রাসমঞ্চে নিয়ে আসা হয় আর ধুমধাম করে পালন করা হয় রাস উৎসব।
এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে এক বিশেষ কাহিনি রয়েছে। একবার বৃন্দাবনের রাস উৎসব দেখার ইচ্ছা জেগে ওঠে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেবের। কিন্তু রাস উৎসবে কৃষ্ণ ব্যতীত অন্য কোনো পুরুষের প্রবেশের অধিকার ছিল না। মহাদেব তখন ছদ্মবেশে রাসের উৎসবে প্রবেশ করলে যোগমায়া তাঁকে চিনে ফেলেন। বলা বাহুল্য মহাদেবের ত্রিনয়ন দেখে শ্রীকৃষ্ণও তাঁকে চিনে ফেলেন এবং অন্য পুরুষ রাসের উৎসবে প্রবেশ করেছে বুঝতে পেরে তিনি প্রস্থান করেন। এই অবস্থায় সখীরা চিন্তায় পড়ে যান – শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া রাস উৎসব হবে কী করে? সেই সময় তাঁরা ঠিক করেন, শ্রীরাধাকে একদিনের জন্য কৃষ্ণ সাজিয়ে দোলায় চাপিয়ে নগর পরিভ্রমণ করা হবে। তাই ওই একদিন রাই হলেন রাইরাজা।
সেই প্রথা আজও পালিত হয় শান্তিপুরের রাস উৎসবে এবং ভাঙারাসের শোভাযাত্রা ও রাইরাজাদের নিয়ে নগরপরিক্রমা যেন এক মহোৎসব শান্তিপুরে। ঐতিহ্যবাহী বড়ো গোস্বামীবাড়ির বিগ্রহদের নিয়ে এবং অন্যান্য বিগ্রহ নিয়ে শোভাযাত্রা শান্তিপুর পরিক্রমা করে। সেই শোভাযাত্রা দেখার জন্য ভিড় করেন দূরদূরান্তের মানুষজনও। আর তাঁরা সাক্ষী থাকেন এক ঐতিহ্যের। তবে জনশ্রুতি অনুযায়ী, মহাদেব যে হেতু দ্বাপরে রাস ভেঙেছিলেন তাই তিনি কলিযুগে শ্রীঅদ্বৈতাচার্য অবতারে জন্মগ্রহণ করে মর্ত্যে রাস উৎসবের সূচনা করেন।

মূলত দুই জায়গার রাসযাত্রা খুবই সমাদৃত – শান্তিপুর আর নবদ্বীপ। এই দুই জায়গার রাস উৎসবের মাহাত্ম্যও অপরিসীম। দুই অঞ্চলের মানুষজনই চায় তাদের অঞ্চলে রাস উৎসবের সাড়ম্বর বেশি হোক। তাই শান্তিপুরের গোস্বামীপ্রভুরা ঠিক করলেন নবদ্বীপের রাসের উৎসবকে টেক্কা দিতে গেলে পুরাণের আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন। আর সেই পুরাণেই তাঁরা পেয়ে গেলেন রাইরাজার কথা।
আর এই রাইরাজাই শান্তিপুরের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তবে শান্তিপুরে যাঁদের রাইরাজা করা হয়, তাঁদের অবশ্যই হতে হয় ১২ বছরের নীচে এবং ব্রাহ্মণবাড়ির কন্যা। যে শিশুকন্যা রাইরাজা হন তাঁকে আগের দিন নিরামিষ আহার করতে হয়। পরের দিন যথাযথ ভাবে নিয়ম মেনে তাঁকে সাজানো হয় এবং যুগলবিগ্রহের সামনে তাঁকে বসানো হয়। সাধারণ মানুষের কাছে এ ভাবেই বেড়ে যায় শান্তিপুরের রাস উৎসবের গুরুত্ব, যা আজ এক মহোৎসবে পরিণত হয়েছে।
শান্তিপুরের রাস উৎসবের কেন্দ্রে যিনি থাকেন তিনি হলেন শ্রীরাধারমণ জিউ, যিনি আগে ‘দোলগোবিন্দ’ নামে সেবা পেতেন পুরীর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের আমলে। তার পরে এই বিগ্রহ যশোরে চলে যায়। কিন্তু মানসিংহ বাংলা আক্রমণ করলে প্রতাপাদিত্য (বারো ভুঁইয়ার এক ভুঁইয়া) সেই বিগ্রহ গুরু অদ্বৈতাচার্যের পৌত্র মথুরেশ গোস্বামীর হাতে তুলে দেন। সেই থেকে শান্তিপুরের বড়ো গোস্বামীদের বাড়িতে আজও পুজো পেয়ে আসছেন তিনি।

পরবর্তী কালে গোস্বামীবাড়ির শ্রীরাধারমণের পাশে নিয়ে আসা হয় অষ্টধাতুর শ্রীরাধারানিকে। এ ছাড়া রয়েছে আরও বিখ্যাত সব বিগ্রহ-বাড়ি – মধ্যম গোস্বামীবাড়ি, মদনগোপাল বাড়ি, সাহাবাড়ি, পাগলা গোস্বামীবাড়ি ইত্যাদি। সেই সব বিগ্রহকে নিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা, সঙ্গে থাকেন রাইরাজারা। বেনারসি শাড়ি, নানা রকমের গহনা, ফুলের গহনা দিয়ে সাজানো হয় রাইরাজাদের এবং তাঁদের নিয়ে নগরপরিক্রমা করা হয়। এই ভাবে ঐতিহ্যের সঙ্গে শান্তিপুরে আজও পালিত হয় রাসযাত্রা, যার মূল আকর্ষণ রাইরাজা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
শান্তিপুরের রাস উৎসবের কেন্দ্রে থাকেন বড়ো গোস্বামীবাড়ির শ্রীশ্রীরাধারমণ জিউ
-
প্রযুক্তি22 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
ফুটবল3 days ago
দশ জনে খেলা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান
-
ফুটবল2 days ago
কোনো রকমে হার বাঁচানো এটিকে মোহনবাগানের খেলায় বেজায় ক্ষুব্ধ আন্তোনিও লোপেজ আবাস