নদিয়ার কল্যাণীতে স্বামীর সামনে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই আট জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাতে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে কল্যাণী ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসের নিচে। অভিযোগ, অভিযুক্তরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল এবং তারা মহিলাকে কল্যাণী রেল সেতুর নিচে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। নির্যাতিতার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
বুধবার সকালে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ এবং কাঁচরাপাড়া থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে, যাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও চার জনকে আটক করা হয়। ধৃতদের এদিন আদালতে পেশ করে পুলিশ তাদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার স্বামী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, তাঁরা ভোরবেলা সেতু দিয়ে ফেরার পথে কিছু দুষ্কৃতী তাঁদের উপর আক্রমণ করে। মহিলাকে টেনে সেতুর নিচে নিয়ে যায়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশি তদন্তে সাহায্যের জন্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং প্রমাণ সংগ্রহ করে। বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল থেকে ভাঙা চুড়ি এবং টিফিন বাক্স সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “গণধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, যা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে এবং তদন্তে সহায়ক হবে।”
প্রসঙ্গত, এমনিতে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তোলপাড় হয় রাজ্য। দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে এখনও। এরই মধ্যে এ বার গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার কল্যাণীতে।