ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে নতুন দিশা দেখাবে নদিয়ার কালীগঞ্জ। উপনির্বাচন হলেও, এই কেন্দ্রই হয়ে উঠবে সারা দেশের ভোট প্রক্রিয়ার রোল মডেল। এবার থেকেই দেশজুড়ে সমস্ত নির্বাচনে কালীগঞ্জের মতোই বুথের ভিতরে এবং বাইরে নজরদারির জন্য ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং বাধ্যতামূলক করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন (ECI)।
ওয়েবকাস্টিংয়ে নজিরবিহীন ব্যবস্থা
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রথমবারের জন্য বুথের বাইরেও ওয়েবকাস্টিং চালু থাকবে। এত দিন কেবলমাত্র বুথের ভিতরে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ক্যামেরা থাকত। এবার বাইরে থেকে বুথ চত্বরের গতিবিধিও থাকবে কমিশনের কড়া নজরদারিতে।
এই নজরদারির জন্য রাজ্য, জেলা এবং বিধানসভা স্তরে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হযবে। প্রতিটি স্তরে নিযুক্ত থাকবেন একজন করে নোডাল অফিসার। তাঁদের দায়িত্ব— ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে সমস্ত বুথে স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করা।
কারচুপি রুখতে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন
ইসিআইয়ের গাইডলাইনে বলা হয়েছে—
- প্রতিটি বুথে ৪ জনের বেশি একসঙ্গে ঢুকতে পারবেন না।
- যেসব অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল, সেখানে হবে নিরবিচ্ছিন্ন ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি।
- ভোটের দু’দিন আগে থেকেই ড্রাই রান বাধ্যতামূলক।
- নজরদারির ফুটেজ রাজ্য ও জেলা স্তরের কন্ট্রোল রুমে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
সারাদেশে নজরদারির মডেল
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এখন থেকে দেশের প্রতিটি নির্বাচনেই এই মডেল অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ, যেকোনও বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনেও ওয়েবকাস্টিং থাকবে প্রধান ভূমিকায়। ফলে ভোট লুট, ভয় দেখানো বা অন্য কোনও অনিয়ম অনেকটাই রোধ করা যাবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ শুধু কালীগঞ্জকেই নয়, ভারতের গণতন্ত্রকেই আরও স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করে তুলবে।