জন্মজয়ন্তী
নেতাজি থাকলে সিএএ-এনআরসির কাগজ ছুড়ে ফেলে দিতেন: অধ্যাপক
আর কয়েক বছর পরেই ভাচরতের স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জুবিলি মহাধুমধাম করে পালিত হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠবে, নেতাজি যে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা কি সফল হয়েছে?

ওয়েবডেস্ক: “আর কয়েক বছর পরেই ভারতের স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জুবিলি মহাধুমধাম করে পালিত হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠবে, নেতাজি যে স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা কি সফল হয়েছে? উত্তর একটাই- না। কারণ, এমন সব মানুষের হাতে দেশের কেন্দ্রীয় এবং রাষ্ট্রীয় শাসন ভার চলে গিয়েছে, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে যাঁদের পূর্বসূরিদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ না থাকলেও তাঁরা বরাবর স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকা করে গিয়েছেন”, বললেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুস্নাত দাশ।
অধ্যাপক বলেন, “সংবিধানের একাধিক ধারা মানুষকে সমাধিকার দিয়েছে, সেই জায়গায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের মতো বেশ কিছু আইন নিয়ে এসে আজ শাসক দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই আইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। প্রশ্ন উঠছে কে নাগরিক? তা হলে কাদের নাগরিকত্ব রয়েছে? তা হলে যে সব ভারতীয় এ মুহূর্তে পাশপোর্টের নিরিখে লন্ডন, ইউরোপ, আমেরিকায় বাস করছেন, তাঁরাও কি ভারতীয় নাগরিক নন । এগুলো মনে হয় পাগলের প্রলাপ। কিন্তু এগুলি আসলে পাগলের প্রলাপ নয়। এগুলির নেপথ্যে অত্যন্ত সুকৌশলি রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে আমি এবং কোটি কোটি ভারতবাসীও মনে করেন”।
বর্তমান পরিস্থিতি কীসের ইঙ্গিত দিচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপকের স্পষ্ট মন্তব্য, “এ সব জিনিস সুভাষচন্দ্র থাকলে ছুড়ে ফেলে দিতেন। এবং যে সব ক্রিমিনালরা এই সব কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে ভারতবর্ষ একটা গণবিপ্লবের দিকে পৌঁছে যাবে। শুধু সুভাষচন্দ্র বসু নন, তাঁর পথ অনসরণ করে যে সমস্ত নেতৃত্ব চলতেন, যাঁদের একটা রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল, দূরদৃষ্টি ছিল, তাঁদের অবর্তমানে অতিনিম্নমানের রাজনৈতিকরা ভারতকে সর্বনাশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের এর প্রতিরোধে সচেষ্ট। আগামী দিনে আর রক্তপাতেরও সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু ইতিহাস এ ভাবেই এগিয়ে চলে”। দেখুন নীচের ভিডিওয়-
জন্মজয়ন্তী
নেতাজির অনুগামী ছিলেন গুমনামি বাবা: রিপোর্ট

ওয়েবডেস্ক: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান নিয়ে একাধিক অনুমান ছড়িয়ে রয়েছে। কারও মতে, তিনি ১৯৪৫ সালে জাপানের তাইহোকু বিমানবন্দরের দুর্ঘটনায় মারা যান। কেউ মনে করেন, নেতাজি রাশিয়ায় ছিলেন। আবার কারও মতে, উত্তরপ্রদেশের ‘গুমনামি বাবা’ই নেতাজি। তবে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে গঠিত কোনো কমিশনই গুমনামি বাবাকে নেতাজি হিসাবে মেনে নেয়নি। তবুও তা নিয়ে জড়িয়ে রয়েছে জল্পনা।
উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে (বর্তমানে অযোধ্যা) থাকতেন গুমনামি বাবা ওরফে ভগবানজি। তাঁকেই কেউ কেউ নেতাজি বলে ধারণা করেন।
২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব প্রাক্তন বিচারপতি বিষ্ণু সহায়ের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট গুমনামি বাবাকে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতেই সেই কমিশন গঠিত হয়।
ওই কমিশন বছর তিনেক বাদে সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। বিধানসভায় রিপোর্টটি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
কমিশনের রিপোর্টে বেশ কয়েকটি তথ্য তুলে ধরা হয়। যেগুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি-
১. গুমনামি বাবা একজন বাঙালি। তিনি বাংলা, ইংরাজি এবং হিন্দি জানতেন।
২. তিনি ছিলেন বিরল প্রতিভার অধিকারী।
৩. গুমনামি বাবার রামভবন থেকে বাংলা, ইংরাজি এবং হিন্দিতে লেখা একাধিক বই উদ্ধার করা হয়।
৪. যুদ্ধ, রাজনীতি এবং সমসাময়িক ঘটনা প্রসঙ্গে অগাধ জ্ঞান ছিল গুমনামি বাবার।
৫. কারও মতে, গুমনামি বাবার কণ্ঠস্বর অনেকটাই নেতাজির মতোই।
৬. গুমনামি বাবার অসীম ধৈর্য্য ক্ষমতা ছিল।
৭. অযোধ্যায় তিনি প্রায় ১০ বছর লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন।
৮. আধ্যাত্মিকতা এবং যোগের মধ্যেই সময় কাটাতেন গুমনামি বাবা।
৯. গান শোনা, সিগার এবং খাওয়া ছিল তাঁর পছন্দের।
১০. গুমনামি বাবা নিজে নেতাজির অনুগামী ছিলেন, কিন্তু তাঁকে নিয়ে খবর ছড়িয়ে পড়তেই তিনি নিজের বাসস্থান পরিবর্তন করে নেন।
সহায় কমিশন রিপোর্টের সমাপ্তিতে বলা হয়েছে, গুমনামি বাবা একজন মেধাবী মানুষ এবং তাঁর মতো মানুষ খুবই বিরল, যাঁরা নিজের পরিচয়ের গোপনীয়তা প্রকাশের পরিবর্তে মৃত্যু পছন্দ করেন। তবে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াটি এমন ভাবে আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে শুধুমাত্র ১৩ জন নিয়েছিল। গুমনামি বাবার পরিচয় এখনও অচিহ্নিত।
এ কথা বলেছে খোদ বিষ্ণু সহায় কমিশনের রিপোর্ট। এ ব্যাপারে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুস্নাত দাশ বলেন, “নেতাজি একজন বিশাল ব্যক্তিত্ব। কোনো মাপকাঠিতেই তাঁকে মাপা সম্ভব নয়। ফলে তাঁর মতো বিরল ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে রসালো গল্প-উপন্যাস লেখা হতেই পারে”।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত নেতাজিকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে, সেগুলির কোনোটাতেই বলা হয়নি, ‘গুমনামি বাবা’ই নেতাজি”!
উঃ ২৪ পরগনা
‘আইএনএ-তে যতটা অবদান নেতাজির, ততটাই শাহনওয়াজ খানের’, সিএএ বিরোধী মিছিলে উঠল আওয়াজ

বরানগর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৩তম জন্মদিবস উদ্যাপনের পাশাপাশি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিলেন কয়েকশো মানুষ। বৃহস্পতিবার বরানগরের মল্লিক কলোনির নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ডানলপ মোড়ে ভগৎ সিংয়ের মূর্তির কাছে গিয়ে শেষ হয় এই প্রতিবাদ মিছিল।
এ দিনের মিছিলে অংশ নেয় বরানগর এবং সংলগ্ন কাশীপুরের বেশ কয়েকটি সংগঠন। নো এনআরসি/সিএএ, বরানগরের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলটি বনহুগলি, আলমবাজার, অশোকগড়-সহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। মিছিল থেকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী বিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠলেও ছিল না কোনো রাজনৈতিক পতাকা। মূলত ভারতের জাতীয় পতাকা হাতেই মিছিলে অংশ নেন প্রতিবাদকারীরা।
বিশ্বজিত হাজরা নামে এক প্রতিবাদকারী বলেন, “আজকের দিনটা বিশেষ একটা দিন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। তিনি ভারতের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন। ঠিক একই ভাবে শাহনওয়াজ খান, লক্ষ্মী সায়গলরাও স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন”।
[ আরও পড়ুন: প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে গেরুয়া শিবিরকে আটকানোর কথা বলেছিলেন নেতাজি ]
বিশ্বজিতবাবুর কথায়, “ভারতের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি আজাদহিন্দ বাহিনী (আইএনএ) গঠন করেছিলেন। ওই লড়াইয়ে নেতাজির অবদান যতটা, শাহনওয়াজ খান, লক্ষ্মী সায়গলের অবদানও কম নয়। আবার ভগৎ সিং-সহ অন্যান্য স্বাধীনতাকেও কেউ খাটো করতে পারবে না। এই দেশ সবার”।
জন্মজয়ন্তী
নেতাজির জন্মদিনে নাম না করে মোদীকে বিঁধলেন মমতা!

ওয়েবডেস্ক: হিন্দু মহাসভার বিভেদের রাজনীতির বিরোধিতা করে ধর্মনিরপেক্ষ এবং ঐক্যবদ্ধ ভারতের জন্য লড়াই করেছেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। নেতাজির জন্মদিনে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এহেন মন্তব্য করার পাশাপাশি নাম না করে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও।
মমতা বলেন, “নেতাজি তাঁর সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সমস্ত ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধার বার্তা দিয়েছিলেন। তাঁর ঐক্যবদ্ধ ভারত গঠনের লড়াইকে আজকের দিনে শ্রদ্ধা জানাই। একই সঙ্গে তিনি ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবি জানান”।
তিনি বলেন, “নেতাজি হিন্দু মহাসভার বিভেদের রাজনীতির বিরোধিতা বরাবর করে গিয়েছেন। তিনি এক ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের হয়ে লড়াই করেছিলেন। আর এখন যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতার সমর্থন করেন, তাঁদের দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে কেন্দ্রের অনীহা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা”।
[ আরও পড়ুন: প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে গেরুয়া শিবিরকে আটকানোর কথা বলেছিলেন নেতাজি ]
এ দিন তিনি নাম না করেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দেন। বলেন, “যিনি সবাইকে নিয়ে চলেন, তিনিই নেতাজি। কিন্তু এখন সেটা নিয়েই গা-জোয়ারি চলছে”।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মমতা দার্জিলিংয়ে নেতাজির ১২৩তম জন্মদিবস উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
-
রাজ্য15 hours ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার2 days ago
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির আওতায় মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা, রামায়ণ, বেদ-সহ অন্যান্য বিষয়
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার2 days ago
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ফের কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য
-
গাড়ি ও বাইক21 hours ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা