খবর অনলাইনডেস্ক: দেশের অন্য প্রান্তে প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষা হচ্ছে। সেই তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), বা সে অর্থে গোটা পূর্ব ভারতেই পরীক্ষা হচ্ছে কম। তাই গোটা দেশের তুলনায় এ রাজ্যে কোভিড ১৯-এ (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও, বিশেষজ্ঞদের ধারণা গুচ্ছ গুচ্ছ পরীক্ষা না হলে আসল ছবিটা স্পষ্ট হবে না।
সেই কারণেই এ বার নিজেদের কৌশলে বড়োসড়ো পরিবর্তন করল স্বাস্থ্য দফতর। তাদের সিদ্ধান্ত, একটি নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলা হবে সংক্রমণকে। তার পরে দ্রুত এবং প্রচুর টেস্ট করিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে করোনায় সংক্রমিতদের।
যাঁদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করবেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, তাঁদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের আশা, এ ভাবে সংক্রমণের শৃঙ্খল (Chain of Transmission) ভেঙে দেওয়া যাবে।
রাজ্যে কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারি ভাবে কিছু ঘোষণা না করা হলেও, জানা গিয়েছে কলকাতায় (Kolkata) অন্তত ৪২টি এলাকা চিহ্নিত হয়েছে। হাওড়ায় (Howrah) তো ৬’টা ওয়ার্ডে কড়াকড়ি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক, হলদিয়া, মেচেদা, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর, দাঁতন, নদিয়ার তেহট্ট, উত্তরবঙ্গের কালিম্পং-সহ তালিকায় প্রচুর জায়গা রয়েছে।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে করোনা ধরা পড়ল গুজরাতের কংগ্রেস বিধায়কের
করোনা (Coronaavirus) মোকাবিলার নতুন কৌশল গত সোমবারই লিখিত ভাবে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। লিখিত নির্দেশিকায় খুব স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘হাই রিস্ক স্পটগুলি’তে কী ভাবে কাজ করতে হবে। নির্দেশিকায় কী কী বলা হয়েছে, তা জানতে ক্লিক করুন এখানে।
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, রাজ্যের কোন কোন এলাকায় সংক্রমণ বেশি, তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। সেই সব এলাকাকেই ‘হাই রিস্ক স্পট’ বলা হচ্ছে। ওই এলাকাগুলোয় নজরদারি অনেকটা বাড়িয়ে এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে অবিলম্বে সংক্রমণের শৃঙ্খলটা ভেঙে দিতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের আশা, এই কৌশলে চললে দ্রুত করোনামুক্ত হবে পশ্চিমবঙ্গ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।