ওয়েবডেস্ক: গত বিজয়া দশমীর দিন স্ত্রী, পুত্র-সহ দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল। ঘটনার পরই তদন্তে নামে জেলা পুলিশ। তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঘটনাস্থলে যায় সিআইডি। সেই তদন্তই এ বার নাটকীয় মোড় নিল।
ওই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে পারিবারিক কলহের ভূমিকার সূত্র ধরেই পুলিশ আটক করে বন্ধুপ্রকাশের বাবা এবং এক বন্ধুকে। এর আগে আর্থিক সংস্থার এজেন্ট-সহ আরও দু’জনকে পুলিশ আগেই আটক করেছিল। এ বার আরও দু’জনকে আটক করে নির্মম হত্যাকাণ্ডের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সম্পত্তিগত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল বাবা এবং ছেলের মধ্যে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেই ঘটনার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশের বাবা অমল পাল এবং এক বন্ধু সৌভিক বনিককে। যদিও পারিবারিক কলহের পাশাপাশি উঠে এসেছে ঋণতত্ত্বও।
জানা গিয়েছে, নিহত বন্ধুপ্রকাশের মা অভিযোগ করেছেন, অমর পালের দ্বিতীয় বিবাহের পর থেকেই বাবা এবং ছেলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। একই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদও শুরু হয়।

অন্য একটি মতে, ঋণের বিপুল বোঝায় জেরবার হয়েছিলেন বন্ধুপ্রকাশ। বন্ধু সৌভিকের পাওনা মেটাতে পারছিলেন না তিনি। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনার নেপথ্যে ঋণের বোঝার সম্পর্ক রয়েছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বিজয়া দশমীর দিন পেশায় শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল (৩৫), তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী বিউটি মণ্ডল (৩০) এবং তাঁদের ছ’বছরের সন্তান বন্ধুঅঙ্গন পালকে নৃশংস ভাবে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঘরের মধ্যে এই বীভৎস খুনের কিনারা করতে তদন্তে নামে জেলা পুলিশ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।