ওয়েবডেস্ক: শৈলশহর দার্জিলিংয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.২। কিছুটা কম উচ্চতার কালিম্পংয়ে তা রয়েছে ১৪-এ। উত্তরবঙ্গের সমতলের পাশাপাশি পাহাড়েও কার্যত শীতের দেখা নেই। কার্তিক পেরিয়ে অগ্রহায়ণ পড়লেও এ বার শীত আসতে দেরি করছে উত্তরবঙ্গে।
পাহাড়ে যখন এমন পারদ, তখন সমতলে কী রকম তাপমাত্রা থাকতে পারে? জলপাইগুড়িতে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোচবিহারে ১৭.১ এবং শিলিগুড়িতে ১৭.৮ ডিগ্রি।
ঘন ঘন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট এবং তার জেরে উত্তুরে হাওয়ার বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার জন্যই উত্তরবঙ্গে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমা জানাচ্ছে, উত্তর ভারত থেকে সরে গিয়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝাটি এখন অবস্থান করছে উত্তরবঙ্গের ওপরে। সেই সঙ্গে অসমে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন এখনও কুড়ির নীচে নামল না কলকাতা, পশ্চিমাঞ্চলে শীতের পদধ্বনি
এর জেরে আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ধেয়ে যাচ্ছ উত্তরবঙ্গের দিকে। এর প্রভাবেই এই বৃষ্টির সম্ভাবনা। কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানাচ্ছে এই সংস্থাটি।
দার্জিলিং পাহাড়ে, অর্থাৎ সান্দাকফু অঞ্চলে এখনই তুষারপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে সিকিমের উঁচু এলাকা, অর্থাৎ পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু, উত্তর সিকিমের গুরুদংমার, ইউমেসামডাংয়ে তুষারপাত হতে পারে।
বৃষ্টির এই মেঘ কেটে গেলে সিকিমের বরফশীতল ঠান্ডা হাওয়া উত্তরবঙ্গে ঢুকে পড়বে, ফলে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর থেকে উত্তরবঙ্গে শীত ভালোমতই অনুভূত হতে পারে।