রাজ্য
রোগীর সংখ্যা পনেরোশোর কাছাকাছি, অথচ রাজ্যের দুই জেলায় এখনও কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি
মনে করা হচ্ছে, এই দুই জেলাতেই কোভিড-আক্রান্তের অধিকাংশই কমবয়সি। এ ছাড়া অভিবাসী শ্রমিকরাও রয়েছেন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু এড়িয়ে গিয়েছে এই দুই জেলা।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এখনও মৃত্যুহীন থাকার রেকর্ড ধরে রাখতে পারছে বাঁকুড়া (Bankura) আর কোচবিহার (Cooch Behar)। রাজ্যের এই দুই জেলায় এখনও পর্যন্ত কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি। অথচ দুই জেলাতেই রোগীর সংখ্যা পনেরোশোর কাছাকাছি চলে গিয়েছে।
বুধবারের আগে পর্যন্ত রাজ্যের চার জেলায় কোভিডে (Covid 19) কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বুধবার সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে পুরুলিয়া আর ঝাড়গ্রাম। পুরুলিয়ায় এক জন আর ঝাড়গ্রামে দু’ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ঝাড়গ্রামে মোট রোগী ১০৬ আর পুরুলিয়ায় ৪৫৭। অথচ বাঁকুড়া আর কোচবিহারে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জন আক্রান্ত হওয়ায় বাঁকুড়ায় মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,২৩৭। অন্য দিকে কোচবিহারে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৯৫। বাঁকুড়ায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৫০ জন আর কোচবিহারে ১,০৩৭ জন।
মনে করা হচ্ছে, এই দুই জেলাতেই কোভিড-আক্রান্তের অধিকাংশই কমবয়সি। এ ছাড়া অভিবাসী শ্রমিকরাও রয়েছেন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু এড়িয়ে গিয়েছে এই দুই জেলা। যদিও কত দিন মৃত্যুহীন থাকার এই রেকর্ডটি এই দুই জেলা ধরে রাখতে পারে, সেটাই এখন দেখার।
অন্য দিকে গত মার্চে কালিম্পংয়ে এক প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছিল কোভিডে। তার পর থেকে সেই জেলায় আরও কারও মৃত্যু হয়নি। বর্তমানে এই জেলায় রোগীর সংখ্যা ২২৩।
কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যায় এখনও সবার শীর্ষে কলকাতা (৯৯৯)। এর পর রয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা (২৬১), দক্ষিণ ২৪ পরগণা (১১২), হুগলি (৭৭)। দার্জিলিং জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। পূর্ব মেদিনীপুরে ২৩ জন কোভিডে মারা গিয়েছেন। মুর্শিদাবাদে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। নদিয়া আর ঝাড়গ্রামে ২০ জন করে ব্যক্তি মারা গিয়েছে কোভিডে।
১৭ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ি আর মালদায়। পূর্ব বর্ধমান আর দক্ষিণ দিনাজপুরে মারা গিয়েছেন ১৬ জন করে। পূর্ব বর্ধমানে ৮, বীরভূমে ৭ আর আলিপুরদুয়ারে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে কোভিডে।
রাজ্য
বিধানসভা নির্বাচন ২০২১: জানুন আপনার কেন্দ্রে কবে ভোট
দেখে নিন রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের তারিখ…

খবর অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আট দফায় হবে ভোটগ্রহণ। দেখে নিন আপনার কেন্দ্র কবে ভোট?
প্রথম দফা (২৭ মার্চ)
পটাশপুর, কাঁথি উত্তর, ভগবানপুর, খেজুরি, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর, এগরা, দাঁতন, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, কেশিয়ারি, খড়গপুর, গড়বেতা, শালবনি, মেদিনীপুর, বিনপুর, বান্দোয়ান, বলরামপুর, বাঘমুণ্ডি, জয়পুর, পুরুলিয়া, মানবাজার, কাশীপুর, পারা, রঘুনাথপুর, শালতোড়া, ছাতনা, রানিবাঁধ, রায়পুর।
দ্বিতীয় দফা (১ এপ্রিল)
গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগর, তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, চণ্ডীপুর, খড়গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, তালডাংরা, বাঁকুড়া, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস, সোনামুখি।
তৃতীয় দফা (৬ এপ্রিল)
বাসন্তী, কুলতলি, কুলপি, রায়দিঘি, মন্দিরবাজার, জয়নগর, বারুইপুর পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, মগরাহাট পূর্ব, মগরাহাট পশ্চিম, ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, জাঙ্গিপাড়া, হরিপাল, ধনেখালি, তারকেশ্বর, পুরশুড়া, গোঘাট, খানাকুল।
চতুর্থ দফা (১০ এপ্রিল)
মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, শীতলকুচি, সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ, কুমারগঞ্জ, কালচিনি, আলিপুরদুয়ার, ফালাকাটা, মাদারিহাট, সোনারপুর দক্ষিণ, ভাঙড়, কসবা, যাদবপুর, সোনারপুর উত্তর, টালিগঞ্জ, বেহালা পূর্ব, বেহালা পশ্চিম, মহেশতলা, বজবজ, মেটিয়াব্রুজ, বালি, হাওড়া উত্তর, হাওড়া মধ্য, শিবপুর, হাওড়া দক্ষিণ, সাঁকরাইল, পাঁচলা, উলুবেড়িয়া পূর্ব, ডোমজুড়, উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, চাঁপদানি, সিঙ্গুর, চন্দননগর, চুঁচুড়া, বলাগড়, পাণ্ডুয়া, সপ্তগ্রাম, চণ্ডীতলা।
পঞ্চম দফা (১৭ এপ্রিল)
ধুপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, মাল, নাগরাকাটা, কালিম্পং, দার্জিলিং, কার্শিয়াং, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি, শিলিগুড়ি, ফাঁসিদেওয়া, শান্তিপুর, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম, কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, চাকদহ, কল্যাণী, হরিণঘাটা, পানিহাটি, কামারহাটি, বরানগর, দমদম, রাজারহাট নিউটাউন, বিধাননগর, রাজারহাট গোপালপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, দেগঙ্গা, হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি, বসিরহাট দক্ষিণ, বসিরহাট উত্তর, হিঙ্গলগঞ্জ, খণ্ডকোষ, বর্ধমান দক্ষিণ, রায়না, জামালপুর, মন্তেশ্বর, কালনা, মেমারি, বর্ধমান উত্তর।
ষষ্ঠ দফা (২২ এপ্রিল)
চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, করণদিঘি, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ, ইটাহার, করিমপুর, তেহট্ট, পলাশিপাড়া, কালিগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কৃষ্ণনগর উত্তর, নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, বাগদা, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, গাইঘাটা, স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, হাবড়া, অশোকনগর, আমডাঙা, বীজপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, জগদ্দল, নোয়াপাড়া, ব্যারাকপুর, খড়দহ, দমদম উত্তর, ভাতার, পূর্বস্থলী দক্ষিণ, পূর্বস্থলী উত্তর, কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গকোট, আউসগ্রাম, গলসি।
সপ্তম দফা (২৬ এপ্রিল)
কুশমাণ্ডি, কুমারগঞ্জ, বালুরঘাট, তপন, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, হবিবপুর, গাজোল, চাঁচোল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর, রতুয়া, ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জ, সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, লালগোলা, ভগবানগোলা, রানিনগর, মুর্শিদাবাদ, নবগ্রাম, কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ, পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর পূর্ব, দুর্গাপুর পশ্চিম, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি, বারাবনি।
অষ্টম দফা (২৯ এপ্রিল)
মানিকচক, মালদহ, ইংরেজবাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর, খড়গ্রাম, বারোয়ান, কান্দি, ভরতপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল, জলঙ্গি, চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা, কাশীপুর-বেলগাছিয়া, দুবরাজপুর, সিউড়ি, বোলপুর, নানুর, লাভপুর, সাঁইথিয়া, ময়ূরেশ্বর, রামপুরহাট, হাসন, নলহাটি, মুরারই।
*ক্রম নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী
আরও পড়তে পারেন: লাইভ: পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট
রাজ্য
রাজ্যের সংক্রমণের হার বেড়ে ফের ১ শতাংশের ওপরে, সক্রিয় রোগী কমল মাত্র ১০
দৈনিক সংক্রমণ এবং সুস্থতার মধ্যে তফাতটা ক্রমশ কমছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির বিশাল অবনতি না হলেও, সামান্য চিন্তা তৈরি করছে বইকি। দু’দিন পর রাজ্যে সংক্রমণের হারটি ফের ১ শতাংশের ওপরে উঠে গিয়েছে। এ দিকে দৈনিক সংক্রমণ এবং দৈনিক সুস্থতার সংখ্যায় পার্থক্যটাও কমতে শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যে দৈনিক সুস্থতা ফের দৈনিক সংক্রমণের নীচে চলে আস্তে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ২১৬ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭১৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২২৩ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ১১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ হাজার ২৬৩ জন।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৩ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার কমল বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৮৪টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১.০৭ শতাংশ। তবে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৫ লক্ষ ২৩ হাজার ৫০১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৭৪ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
করোনার সংক্রমণ মোটের ওপর কমে আসায় রাজ্যে কোভিড চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত শয্যার সংখ্যা আরও কিছুটা কমানো হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৬০ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.৩১ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবারের তুলনায় কলকাতায় নতুন কোভিডরোগীর সংখ্যা কমেছে। যদিও, উত্তর ২৪ পরগণায় তা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭২ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৬৬ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৬০ এবং ৫৩ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় একজন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় কারও মৃত্যু হয়নি।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২৮০, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৮। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,১৬০ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯৫৩। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,০৯৮ এবং ২,৫০৭ জনের।
চার জেলা ছিল সংক্রমণ-শূন্য
শুক্রবার রাজ্যের চারটে জেলা ছিল নতুন সংক্রমণহীন। এই জেলাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ১৪ জেলায় সংক্রমিতের সংখ্যা এক অঙ্কে ছিল। এই জেলাগুলি হল কোচবিহার (১), মালদা (১), মুর্শিদাবাদ (১), উত্তর দিনাজপুর (২), বীরভূম (২), পূর্ব বর্ধমান (২), পূর্ব মেদিনীপুর (২), দার্জিলিং (৩), পুরুলিয়া (৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (৪), হুগলি (৪), জলপাইগুড়ি (৫), নদিয়া (৬) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৯)।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তিন জেলায় সংক্রমণ ছিল দুই অঙ্কে। এই জেলাগুলি হল হাওড়া (১৩), পশ্চিম বর্ধমান (১০) এবং বাঁকুড়া (১০)।
রাজ্য
২৩ দিনের খেলা হবে, চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য ৮ দফায় ভোট, প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন কমিশন ঘোষণা করে ২৭ মার্চ থেকে শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের ভোটগ্রহণ, চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। আট দফার ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ২ মে। পাঁচটা রাজ্যে ভোট ঘোষণা করেছে। মমতা এ দিন বলেন, “তাঁদের নির্দেশ মতোই আমরা ভোট করব। কিন্তু কোথাও কোথাও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। বিহারে ২৪০টা আসন, সেখানে তিন দফায় ভোট করা হচ্ছে। তামিলনাড়ুতে ২৩৪টা আসন, সেখানে এ বার ভোট হবে এক দফায়। কেরলে এক দফায় ভোট। বাংলায় ২৯৪টা আসনে আট দফায় ভোট! কাকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য”।
তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনে সম্মান করি। কিন্তু বিজেপির নির্ধারণ করে দেওয়া নির্দেশ মেনে চললে মেনে নেওয়া যায় না। কেন একটা জেলায় একাধিক দফায় ভোট হবে? জেলাকে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। জেলাকে ভাগ করে পার্ট ওয়ান, পার্ট টু করে দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আমাদের প্রভাব বেশি বলে সেখানে তিন দফায় ভোট হচ্ছে। এটা কি নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের সুবিধার কথা ভেবেই করা হয়েছে”?
একই সঙ্গে তাঁর চ্যালেঞ্জ, “কেরল, তামিলনাড়ুতে এক দিনে ভোট করে এখানে ২৩ দিনের ফুটবল গ্রাউন্ড? এখানে ২৩ দিনের খেলা খেলবেন? আমাদের কিছু যায়-আসে না। এই খেলাতেও আপনাদের হারিয়ে ভূত করে দেব। আট দফাতেও হারিয়ে ভূত করে দেব, কারণ আমরা গ্রাসরুটের লোক”।
বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা, মা-বোন, ভাই, হিন্দু-মুসলিম, বাঙালি-রাজবংশী… ভাঙছেন। আপনারা পুরো দেশটাকে ভাঙছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি বাংলার মেয়ে। বাংলাকে খুব ভালো করে চিনি। ফলে আপনারা যে চক্রান্ত করুন না, সব ভেঙে দেবে। বহিরাগতরা বাংলা শাসন করবে না, বাংলার মানুষ বাংলা শাসন করবে”।
আরও পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
দেশ17 hours ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা2 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
সোশ্যাল, ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের