উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে এক তরুণী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। বাড়িতে একা থাকার সময় নানা অছিলায় তাঁকে স্পর্শ করতেন অভিযুক্ত। একাধিক বার ধর্ষণও করেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগে নির্যাতিতা বলেছেন, বিয়ের মাত্র দুই দিন পর থেকেই শ্বশুরের অত্যাচার শুরু হয় এবং ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়। প্রতিবাদ করলে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগকারিণীর দাবি।
তরুণীর দাবি, এ ধরনের ঘটনার কথা জানার পরেও স্বামী এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নির্বিকার ছিলেন, উল্টে তিনিও না কি স্ত্রীকে মারধর করতেন। যা তরুণীকে আরও হতাশ করে। তিনি বলেন, ‘‘স্বামীকে বলতে গেলে আমায় বলত, বাবা যা বলছে তা শুনতে হবে। বেশি কিছু বললে আমাকে মারধর করা হত।’’
অভিযোগকারিণীর পরিবার এই ঘটনার পর যথারীতি হতবাক। তাঁরা জানিয়েছেন, বাড়ি থেকে দেখাশোনা করেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন মাত্র সাত দিন আগে।
রবিবার রাতে ওই তরুণী তাঁর শ্বশুরের বিরুদ্ধে দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়েই তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার বারাসত আদালতে অভিযুক্তকে তোলার কথা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে। অন্য দিকে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।