রাজ্য
কোভিডযুদ্ধে সাফল্যের নিরিখে দক্ষিণবঙ্গের থেকে এগিয়ে উত্তরবঙ্গ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: কোভিডের (Covid 19) বিরুদ্ধে লড়াই সাফল্যের নিরিখে দক্ষিণবঙ্গের থেকে অনেকটাই এগিয়ে উত্তরবঙ্গ। এক দিকে যেমন উত্তরে মোট রোগীর ভার অনেকটাই কম, তেমনই সুস্থতার হারেও উত্তরবঙ্গ এগিয়ে দক্ষিণের থেকে। সব থেকে চমকপ্রদ তথ্য দিচ্ছে মৃত্যুহার। উত্তরবঙ্গে মৃত্যুহার এক শতাংশের কম।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তরবঙ্গের আট জেলা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৯৫৯। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৩০ হাজার ৫১০ জন। অর্থাৎ, উত্তরবঙ্গে সুস্থতার হার এখন ৮৭.২৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
অন্য দিকে, দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত মোট রোগী ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ৮১৩। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন সুস্থ ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫১১ জন। অর্থাৎ, সুস্থতার হার ৮৬.৭৭ শতাংশ।
মৃত্যুহারের নিরিখে উত্তর আর দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে তারতম্যটা আরও বেশি করে স্পষ্ট। উত্তরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩১২ জনের। ফলে সেখানে মৃত্যুহার ০.৮৯ শতাংশ। অন্য দিকে, দক্ষিণবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৩,৯৩০ জনের। অর্থাৎ, দক্ষিণে মৃত্যুহার ২.১৩ শতাংশ।
মালদা দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও উত্তরবঙ্গে কোভিডের সব থেকে বেশি দাপট চলছে দার্জিলিং জেলায়। এই জেলায় এখন মোট রোগীর সংখ্যা ৬,৮১৪। এর পরে জলপাইগুড়ি (৫,১৫১)। তবে এই দুই জেলার অধিকাংশ কোভিড রোগীই শিলিগুড়ি শহরের।
অন্য দিকে সুস্থতার হার আর মৃত্যুহারের নিরিখে এই মুহূর্তে শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, গোটা রাজ্যের কাছেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মালদা।
তবে এখনই স্বস্তি পাওয়ার কোনো সময় আসেনি। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে কোভিডের দাপট কলকাতা ও তার পড়শি জেলাগুলির অনেক পরে শুরু হয়েছে। ফলে আগামী দিনে উত্তরবঙ্গে কোভিড নিয়ন্ত্রণে আসার আগে একবার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতেই পারে বলে সতর্ক করছেন তাঁরা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কাশ্মীরে ‘ভুয়ো সংঘর্ষে’ মৃত্যুতে দায়ী জওয়ানরাই, কবুল করে কড়া শাস্তির নির্দেশ সেনার
রাজ্য
জনস্বার্থ মামলা খারিজ, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে কোনো রকম হস্তক্ষেপে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট
গত বছর ২৩ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী পুনিত কৌর ধান্দা। তাতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন করাতে এবং বিরোধীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সোমবার সেই মামলাটি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে তারা সাফ জানিয়ে দিল যে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে কোনো রকম হস্তক্ষেপে রাজি নয় তারা।
গত বছর ২৩ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী পুনিত কৌর ধান্দা। তাতে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন তিনি।
ওই আইনজীবী অভিযোগ করেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। ওই মামলায় যে আবেদনগুলি করা হয়, তাঁর মধ্যে অন্যতম, বিরোধী নেতাদের সুরক্ষা দিতে হবে। পাশাপাশি, বিজেপি নেতাদের খুনের ঘটনা, যাতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সদস্যরা জড়িত, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে সিবিআইকে, এমনই বলা হয় ওই আবেদনে।
শুধু তাই নয়, রাজ্যে হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হয় না, তার বদলে ভুয়ো ভোটারদের নামানো হয় বলেও অভিযোগ করেন ওই আইনজীবী। কিন্তু সোমবার ওই মামলা পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় বিচারপতি অশোক ভূষণ, হেমন্ত গুপ্ত এবং সুভাষ রেড্ডির ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্য
‘জেলে থাকব, কিন্তু বিজেপির ঘরে থাকব না’, ‘জয় শ্রী রাম’ প্রসঙ্গে আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
‘জয় শ্রী রাম’ উত্তাপ এখনই যাওয়ার নয়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবার ভিক্টোরিয়ার প্রাঙ্গণে ‘জয় শ্রী রাম’ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়াবেন, সেই আন্দাজ করাই গিয়েছিল। প্রত্যাশামতোই সোমবার হুগলির পুরশুড়ার সভা থেকে ঠিক সেটাই করলেন তিনি।
এ দিনের সভামঞ্চ থেকে তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমাকে চেনে না। বন্দুক দেখালে বন্দুকের সিন্দুক দেখাব।” মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “আমি জেলে থাকতে রাজি, কিন্তু বিজেপির ঘরে থাকতে রাজি নই।”
এ দিন প্রথম থেকেই কার্যত রুদ্রমূর্তিতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার বিকেলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ঘটনার প্রসঙ্গ উঠে আসে মমতার এ দিনের বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কয়েকটি গর্ধব উগ্র ধর্মান্ধ আমাকে টিজ করছে। আমাকে চেনে না।”
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “রবীন্দ্রনাথকে অপমান করেছো আগে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছো। বীরসা মুন্ডার নামে অন্য লোকের গলায় মালা পরিয়েছো!”
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারির দিন ভিক্টোরিয়ায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মমতাকে। কিন্তু, মমতার বক্তব্যের শুরুতেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠে। এর প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেননি মমতা। এ ঘটনা ঘিরে ভোটমুখী বাংলায় হইচই পড়ে গিয়েছে। নিন্দায় মুখর হয়েছে বিভিন্ন মহল।
অন্যদিকে, এ দিন সভামঞ্চ থেকে আরও একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন ‘বেসুরো’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগদানের জল্পনাও তুঙ্গে।
এ দিকে, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। পাশাপাশি গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও এ দিন মমতার সভায় উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মমতার ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, “যাঁরা চাইছেন, তাড়াতাড়ি চলে যান, ট্রেন ছেড়ে দেবে।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
এ বার সিকিমে সংঘর্ষে জড়াল ভারত আর চিনের সেনা, আহত বেশ কয়েকজন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মেঘ এবং কুয়াশার যুগলবন্দিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে গেল কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে এমন তাপমাত্রায় অনেকেই ভাবতে পারেন শীত বুঝি বিদায় নিতে চলেছে। তবে সেটা একদমই ভুল ভাবনা, কারণ শীত ফিরবে দ্রুত। ডিসেম্বরের শেষে যে জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল, ফেব্রুয়ারির শুরুতে সে রকম শীত পড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সোমবার কোথায় কেমন পারদ
সোমবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রাটি স্বাভাবিকের থেকে দু’ ডিগ্রি বেশি। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রির ঘরে থাকার ফলে সারা দিনই শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে কলকাতায়।
শহরের উপকণ্ঠের ব্যারাকপুরে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ এবং দমদমে ১৫.৩ ডিগ্রি। যদিও, উপকূলবর্তী দিঘায় তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে (১৯.৭ ডিগ্রি)। দক্ষিণবঙ্গে এ দিন শীতলতম স্থান ছিল বহরমপুর (৯ ডিগ্রি)।
পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রায় ব্যাপক হেরফের দেখা গিয়েছে। পানাগড়ে এ দিন তাপমাত্রা ছিল ১১.৯ ডিগ্রি, কিন্তু পুরুলিয়ায় ছিল ১৫.৩ ডিগ্রি। আবার আসানসোল আর শান্তিনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৬ এবং ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিকে উত্তরবঙ্গে শীতের দাপট একটু বেড়েছে। শিলিগুড়িতে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা অন্যান্য দিনের তুলনায় কমে ৩.৪ ডিগ্রি হয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও জব্বর ঠান্ডা রয়েছে।
আরও দাপট নিয়ে ফিরবে শীত
কয়েক দিন আগে উত্তর ভারতে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হানা দিয়েছিল। যখনই এমন ঝঞ্ঝা হানা দেয়, তার পরোক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গেও পড়ে। স্তব্ধ হয়ে যায় উত্তুরে হাওয়া। বাড়তে শুরু করে পারদ। অন্য দিকে, উত্তুরে হাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পে ভরা বাতাস দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে ঢুকতে শুরু করে।
উত্তুরে বাতাস এবং দখিনা বাতাসের সংমিশ্রণের ফলে কুয়াশার সৃষ্টি হয়। রবিবার সকালের পর সোমবার সকালেও যেটা কলকাতা-তথা গোটা দক্ষিণবঙ্গেই দেখা যাচ্ছে।
তবে এই পরিস্থিতি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। মঙ্গলবার সকালেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে পারে। তার পরেই ফের কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা। বুধবার থেকে কলকাতার পারদ নামতে পারে ১৩ ডিগ্রির ঘরে। তবে ১ ফেব্রুয়ারি, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১২ ডিগ্রির ঘরেও নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতায় ১১-১২ ডিগ্রি মানে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তা থাকতে পারে ৬-৭ ডিগ্রিতে। অর্থাৎ জাঁকিয়ে ঠান্ডার মধ্যে দিয়েই যে বছরের দ্বিতীয় মাসে পদার্পণ করতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ, তা প্রকার নিশ্চিত।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আদি-নব্য দ্বন্দ্ব কাটাতে দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বার্তা
-
হাওড়া3 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
বিনোদন3 days ago
বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের, সঙ্গে সানি দেওল
-
প্রবন্ধ2 days ago
‘কয়েকটা টাকার বিনিময়ে নেতাজির স্মৃতি ধুলোয় মিশিয়ে দেব?’, বলেছিলেন পদমবাহাদুর
-
কলকাতা2 days ago
ভিক্টোরিয়ায় একসঙ্গে মোদী-মমতা