পশ্চিম বর্ধমান
৭ দিন ধরে জ্বর কমছিল না, করোনা-আতঙ্কে আত্মঘাতী দুর্গাপুরের ব্যক্তি

দুর্গাপুর: সাত দিন ধরে জ্বর কমছিল না। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হয়েছেন ধরে নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের এক ব্যক্তি। পরিবার সূত্রে খবর, সেই হতাশা কাটিয়ে উঠতে না পেরে শেষমেশ আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
ঘটনায় প্রকাশ, দুর্গাপুরের অন্ডালের উখড়ার মাঝপাড়ার ওই বাসিন্দা গত সপ্তাহখানেক ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন। কিছুতেই তাঁর জ্বর কমছিল না। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ধরে নিয়ে নিজেকে পরিবারের থেকে সরিয়ে নেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি ক্লাবঘরে থাকছিলেন তিনি।
গতকাল রাতে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন ওই ব্যক্তি। এর পর সেখানেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন ওই ব্যক্তি। যদিও তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জ্বরে আক্রান্ত হওয়া, না কি অন্য কিছু, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
তবে পরিবারের দাবি,বেশ কয়েকদিন ধরে টানা জ্বরে ভুগতে থাকায় তিনি মনমরা হয়ে পড়েছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
এমনিতে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১০ জনের মধ্যে। সারা দেশে সংখ্যাটি সাড়ে ছ’শোরা কাছাকাছি। সংক্রমণ রুখতে সারা দেশে লকডাউন চলছে। অন্য দিকে সংক্রামিতদের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: এটিএমে টাকা তোলার সময় করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে এসবিআইয়ের ৭টি টিপস
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি একাধিক বার সাধারণ মানুষকে আশ্বস্থ করে বলেছেন, জ্বর মানেই করোনা নয়। জ্বর হলে চিকিৎসক অথবা হাসপাতালে যান।
পশ্চিম বর্ধমান
তৃণমূলেই থাকছি, দলনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব: অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতা তাঁকে বিজেপিতে নেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলেন। তৃণমূলেই থাকছেন আসানসোলের ‘বিদ্রোহী’ নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (JItendra Tiwari)। তাঁর চার দিনের বিদ্রোহে ইতি পড়ে গেল।
শুক্রবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জানান, তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। বৈঠকের পর অরূপবাবুও জানিয়েছেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে সব বিরোধ মিটে গিয়েছে।
‘ভুল করেছিলেন’ জিতেন্দ্র
অরূপবাবুর সঙ্গে বৈঠকের পর জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, “দল ছাড়ার কথা বলে ভুল করেছিলাম। মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। দলনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।” মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে শেষ লড়াই করবেন।”
আসানসোল থেকে শুক্রবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছে যান সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। অরূপবাবুর সঙ্গে এ দিন রাতে নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘ ক্লাবে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরও ছিলেন।
বৈঠকের পরে জিতেন্দ্র বলেন, “আমি তৃণমূলেই থাকছি। আমার ইস্তফা গ্রহণ না করতে অনুরোধ করব। অরূপ বিশ্বাস আমাকে বলেছেন, মমতাদি আমার আচরণে আঘাত পেয়েছেন। মমতাদিকে আমি আঘাত দিতে চাই না। আমি দিদির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। দল ছাড়ার কথা বলা ভুল হয়েছিল। আমি যেমন দলের কাজ করছিলাম তেমনই করব।”
মাকে কেউ ছেড়ে যায় না: অরূপ
জিতেন্দ্র বলেন, তিনি কখনও বিজেপিতে যাওয়ার কথা বলেননি। তবে দল ছাড়ার কথা বলেছিলেন। অরূপবাবু বলেন, পরিবারে নানা বিষয়ে মতবিরোধ হয়। তাই বলে কেউ মাকে ছেড়ে চলে যায় না।
বৃহস্পতিবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এর পরই তাঁর বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতা তাঁকে বিজেপিতে নেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হন।
এর পরই কলকাতায় আগমন জিতেন্দ্র তিওয়ারির, অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক এবং তৃণমূলে থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাড়লেন কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি
পশ্চিম বর্ধমান
জিতেন্দ্রর বিজেপি-যোগের জল্পনা চাউর হতেই বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়
“মন থেকে মেনে নিতে পারব না”

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আসানসোলের সদ্যপ্রাক্তন পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল ছাড়তেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা বেড়েছে। এর পরেই ফেসবুকে তোপ দাগলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। জিতেন্দ্রকে তিনি কখনোই মন থেকে বিজেপিতে মেনে নিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন বাবুল।
“মন থেকে মেনে নিতে পারব না”
ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেন বাবুল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমার টপ বস্রা কী করেন, সেটা আলাদা ব্যাপার। সেই সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ। তাতে আমার কিছু বলার অধিকার নেই। কিন্তু আমার প্রচুর বিজেপি সহকর্মী এত দিন ধরে চূড়ান্ত ভাবে আক্রান্ত, নির্যাতিত, আহত হয়েছেন। জীবন দিয়েছেন। ভুয়ো কেসে জেলে রয়েছেন। এই পুরো ব্যাপারটা তৃণমূলের মাননীয়া নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, তাঁর নির্দেশে আসানসোল-দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতারা কার্যকর করেছেন। আপনারাও জানেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।’’
জিতেন্দ্র বিজেপি-তে যোগ দিলে সেটা তাঁর এবং স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের কাছে ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’ বলে বর্ণনা করে বাবুল আরও বলেছেন, ‘‘এঁদের কারও বিজেপি-তে যোগ দেওয়াটা আমি মন থেকে মেনে নিতে পারব না।’’
‘গোপন ডিল’-এর গুজব
বাবুল আরও জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যা থেকে পরিষ্কার যে, জিতেন্দ্রর তৃণমূল ত্যাগ এবং বিজেপি-তে যোগদানের বিষয়ে বাবুল আগে থেকে কিছুই জানতেন না।
বস্তুত, বাবুল জানিয়েছেন, জিতেন্দ্রর বিজেপি-তে যোগদানের খবর চাউর হতেই বাবুলের সঙ্গে তাঁর কোনো ‘গোপন ডিল’ হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। এতেই ক্ষুণ্ণ হয়েছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবুলের এই প্রসঙ্গেই সাফ কথা, “আমি কারও সঙ্গে কখনও গোপনে আঁতাত করিনি, আর ভবিষ্যতেও করব না।”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দোলা সেনকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন বাবুল। পাঁচ বছর পর তিনি হারান মুনমুন সেনকে। লোকসভা ভোটের প্রার্থী ভিন্ন হলেও গোটা লড়াইয়ে বাবুলকে আদতে লড়তে হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধেই। কিন্তু তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধেও বাবুলকে অহরহ লড়তে হয়েছে। এখনও হয়। ফলে তাঁর ‘ব্যক্তিগত উষ্মা’ স্বাভাবিক বলেই তাঁর অনুগামীরা মনে করছেন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
জোরাল ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়াল দিল্লিতে
পশ্চিম বর্ধমান
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগের দিনেই পুর প্রশাসকপদ ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
আগামী শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা জিতেন্দ্রর!

খবর অনলাইন ডেস্ক: আসানসোল পুরসভার প্রধান প্রশাসকপদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। রাজ্যের বিরুদ্ধে আসানসোল পুরসভাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিলেন তিনি।
কেন পদত্যাগ
এ দিন জিতেন্দ্র বলেন, “আসানসোলকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ রকম ভাবে পুর প্রশাসক হিসেবে থাকা যায় না। এ ভাবে থেকে লাভ-ও নেই। আসানসোলের উন্নয়নের স্বার্থে লড়াই করতে হবে”।
পুরসভার সহকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কয়েক মাসের মধ্যেই আবার ভোট হবে। নির্বাচনের পর আবার আমাদের লোক আসবেন। আপনাদের যত সমস্যা রয়েছে, সবই সমাধান হয়ে যাবে। যাঁরা আসবেন, তাঁদেরকে সমর্থন করতে হবে”।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “আসানসোলের প্রতি রাজ্য সরকারের যে বঞ্চনা, তার বিরুদ্ধেই এই ইস্তফা। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয় এখানে থেকে, কিন্তু উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ নেই। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চাই না। ফিরহাদ হাকিমকে সব কিছু জানিয়েছিলাম। কোনো কাজ হয়নি। মন্ত্রী নিজের তাগিদে আসানসোলকে বঞ্চিত রাখছেন”।
তা হলে কি বিজেপিতে?
তা হলে কি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন জিতেন্দ্র? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যদি আমাকে দল ছেড়ে দিতে বলে, তা হলে আমি দল ছেড়ে দেব। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছি না। আমি মনে করি, তৃণমূলে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী কেন দল ছাড়ছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে করে তাঁকেও ফিরিয়ে নিয়ে আসা দরকার”।
আসানসোলের পুরপ্রশাসকের পাশাপাশি জিতেন্দ্র পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি। গত কয়েক দিন ধরেই তিনি দলের বিরুদ্ধে ‘বেসুরো’ গাইছিলেন। ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরবঙ্গ থেকে গতকাল তাঁকে ফোন করেন দলনেত্রী। জানা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আগামী ১৮ ডিসেম্বর জিতেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলবেন মমতা।
আরও পড়তে পারেন: তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য3 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
ক্রিকেট1 day ago
ঋদ্ধিমান তো বটেই, হায়দরাবাদে থেকে গেলেন বাংলার আরও এক ক্রিকেটার