ছুটি নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না বাংলার দুই নিহত জওয়ানের৷ গ্রামে ফিরল তাদের কফিনবন্দি দেহ৷ শেষবারের জন্য দুই বীর শহিদ জওয়ানকে ফুলের স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে৷ মঙ্গলবার শেষকৄত্য সম্পন্ন হয় তাদের৷
দিল্লি থেকে সোমবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোয় নিহত জওয়ান গঙ্গাধর দলুই এবং বিশ্বজিৎ ঘোড়ইয়ের দেহ৷ বিমানবন্দরে তাদের গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে৷ রাজ্যের তরফে বিমানবন্দরে দুই নিহত জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু৷ ঘড়ির কাঁটায় তখন ভোর ৫ টা। সেনাবাহিনীর গাড়ি চড়ে চিরদিনের মতো কাজ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরে বীর শহিদ জওয়ান গঙ্গাধর৷ তার কফিনবন্দি দেহ যমুনাবালি গ্রামে পৌঁছোতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রামবাসীরা৷ শহিদ জওয়ানের মরদেহে ফুলের স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরুপ রায় এবং সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়৷ এরপর গ্রামের শ্মশানেই সেনাবাহিনীর তোপধ্বনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৄত্য সম্পন্ন হয় গঙ্গাধরের।
অপরদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের শ্রীধাম গ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৄত্য সম্পন্ন হয় বিশ্বজিতের। মেজর এস কে মহাপাত্রের নেতৃত্বে ৫০ জন সেনা বিশ্বজিতের কফিন শ্মশানঘাটে বয়ে আনেন। কফিনের উপর কান্নায় ভেঙে পড়েন বিশ্বজিতের স্ত্রী রেখা। রাজ্য সরকারের তরফে মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। হাজার হাজার মানুষের চোখের জলে বিদায় নেন বিশ্বজিৎ।