পয়লা বৈশাখ মানেই বাঙালির উৎসব, আর এবার উৎসব মানেই বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ। একদিকে নববর্ষ, অন্যদিকে চারদিনের লম্বা উইকএন্ড। তার উপর রাজ্য পর্যটন দপ্তরের বিশেষ খাদ্য-ভ্রমণ প্যাকেজ — সব মিলিয়ে এবারের বাংলা নববর্ষে পর্যটকদের উন্মাদনা তুঙ্গে।
আগামী মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল পয়লা বৈশাখ, ১৪৩১-এর বিদায় আর ২০৩২ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। ওইদিন রাজ্যে সরকারি ছুটি। তার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার, ১৫ এপ্রিল ছুটি রয়েছে ডঃ বি আর আম্বেদকরের জন্মদিন উপলক্ষে। ফলে আগের শনি-রবি মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীরা পাচ্ছেন চারদিনের লম্বা ছুটি — ১৩ থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত।
এই ছুটিতে ভ্রমণপ্রিয়রা ভিড় জমাতে চলেছেন রাজ্যের বিভিন্ন পাহাড়, জঙ্গল ও সমুদ্রের পর্যটনকেন্দ্রে। সরকারি ট্যুরিস্ট লজ, হোটেল, গেস্ট হাউসগুলিতে এখন জায়গা পাওয়াই কঠিন। আগেভাগেই সব বুকিং হয়ে গিয়েছে।
এই আবহে বাংলা নববর্ষকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে রাজ্য পর্যটন দপ্তর অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছে — ‘বাংলার শুভ নববর্ষে বাংলার খাওয়া’। এই বিশেষ ফুড ফেস্টিভাল আয়োজন করা হয়েছে কয়েকটি নির্দিষ্ট ট্যুরিজম প্রপার্টিতে।
ডুয়ার্সের জলদাপাড়ার অরণ্য ট্যুরিজম প্রপার্টি, গোরুমারার তিলাবাড়ির তিলোত্তমা ট্যুরিজম প্রপার্টি, বকখালির বালুতট ট্যুরিজম প্রপার্টি, শিলিগুড়ির মৈনাক, শান্তিনিকেতনের শান্তবিতান, ও বিধাননগরের উদয়াচল ট্যুরিজম প্রপার্টি-তে মিলবে এই আয়োজনের স্বাদ।
নববর্ষের দিনে পর্যটকদের রসনা তৃপ্ত করতে মেনুতে থাকছে —
আমপান্নার শরবত, বাসন্তী পোলাও, ভেটকি পাতুরি, ফিশ ফ্রাই, লুচি, আলুর দম, ছোলার ডাল, সাদা ভাত, সোনা মুগ ডাল, এঁচোড় চিংড়ি, খাসির মাংস, আমের চাটনি, পাপড়, সন্দেশ ও রসমালাই।
পর্যটন দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, অনেকেই আগেভাগেই বুকিং করে রেখেছেন। বাঙালির উৎসব, রসনার আনন্দ এবং প্রকৃতির কোলে ছুটি কাটানো — এই তিনের মেলবন্ধন তৈরি করতে এবার পয়লা বৈশাখের আনন্দ হবে যেন তিনগুণ।