ওয়েবডেস্ক: প্রফেশন ট্যাক্স বা বৃত্তিকরের পরিমাণ কম হলেও তা সময় মতো জমা না করলে সমূহ ভোগান্তির শিকার হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতর।
লাভ হোক না হোক, আইন অনুযায়ী যে কোনো ব্যবসা তৈরি হওয়া মাত্রই, তা প্রফেশন ট্যাক্সের আওতাধীন হয়ে পড়ে। এমনকী পেশাদারদেও এই কর দিতে হয়। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় এই কর জমা করতে হয়।
ভারতীয় সংবিধানের ২৭৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনো ব্যবসা ও পেশায় বৃত্তিকর জমা নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যই। সেই নিয়ম মেনে, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ট্যাক্স অন প্রফেশন্স, ট্রেডস, কলিংস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৭৯-এর আওতায় পশ্চিমবঙ্গেও তা কার্যকর হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ডাইরেক্টরেট অব কমার্শিয়াল ট্যাক্সেস প্রফেশন ট্যাক্স নির্দিষ্ট সময়ে জমা দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্তদের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো-সহ একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। দফতর সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েও তালিকাভুক্তদের সচেতন করিয়ে দিয়ে থাকে।
দফতর জানাচ্ছে, “প্রফেশন ট্যাক্সের দেয় টাকার পরিমাণ স্বল্প, কিন্তু জমা না দেওয়ার ফলাফল যথেষ্ট বড়ো এবং ভোগান্তিকর। সুতরাং এনরোলমেন্টের জন্য বকেয়া ট্যাক্স (২০১৬-১৭ থেকে ২০১৯-২০), সুদ সমেত ২১ মার্চ, ২০২০-র মধ্যে জমা করুন”।
দফতর আরও জানিয়েছে, বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকেরা যখন রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পারমিট-এর নবীকরণ করাবেন, তখন পিটিপিসি দেখানো বাধ্যতামূলক। একই ভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে মালিক অথবা স্বনিযুক্ত ব্যক্তিরা যখন ট্রেড লাইসেন্স অথবা সমগোত্রীয় নথি নবীকরণ করাবেন, তখনও পিটিপিসি বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন বকেয়া রোড ট্যাক্স, নেই সিএফ, রাজ্যে চলছে সাড়ে তিন লক্ষ গাড়ি
দফতর জানিয়েছ, কোনো নিয়োগকারীর পশ্চিমবঙ্গে কোনো কর্মী থাকলেই পশ্চিমবঙ্গ প্রফেশন ট্যাক্স আইন অনুসারে তাঁর রেজিস্ট্রেশন নেওয়া বাধ্যতামূলক।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।