পূর্ব মেদিনীপুর
Deadline Nandigram: কয়ামতের রাতেই হারজিতের খেলা নন্দীগ্রামে
টাকা ছড়াতে কার্পণ্য নেই। লাল কার্পেটের নীচে টাকার থলি। ভোটারপিছু হাজারে ব্যাজার নন বাবুরা। এ দিকে যারা বলছে তারাও ঢালছে সাধ্যমতো।


দেবারুণ রায়: নন্দীগ্রাম
“আজ কয়ামতের রাত”। নন্দীগ্রামের পঞ্চাশ বসন্তের পলাশ দেখা কুরবান আলি বললেন। বুধবার জানকীনাথের মন্দিরে তখন সন্ধ্যারতির কাঁসরঘন্টা বাজছে। কুরবান আলি ফোন কানে নিয়ে কথা বলতে বলতে হাঁটছেন। নন্দীগ্রামে একশো চুয়াল্লিশ ধারা। পথে পথে আধা সামরিকবাহিনীর ইতিউতি টহল। প্রচারের সব ধুম আপাতত নিঝুম। ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন আর জোড়াফুল, পদ্মফুল কিংবা কাস্তে-হাতুড়ির শিকল পরাতে ব্যস্ত নিঃশব্দ কর্মীরা। মই নিয়ে কোন আকাশে ওড়াবে ওরা ওদের দলের প্রতীকমালা। ১৪৪-এ ওদের ছাড় আছে।
কিন্তু আসল আতংকের আবহ তৈরি করছে এমন একটা মহল যারা সংখ্যালঘুদের ভোটের হার যেন তেন প্রকারেন ছেঁটে দিতে চায়। একটু ভয়, একটু অনিশ্চয় অবস্থায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটে নামার হার কমাতে পারলে কালনেমির লঙ্কাভাগটা সহজ হয়। কারণ মমতার ৫৫ হাজার ভোটের ব্যাংক ব্যালেন্স তো ফেলেছড়ে তৃণমূলের নামে বোতামবন্দি হবেই। বাদবাকি ভাগ-বাঁটোয়ারা। সেখানে কমিটেড ভোট, ধর্মনিরপেক্ষ ভোট, বিজেপি-বিরোধী কট্টর ভোট এবং ইনকাম্বেন্সি ভোট – সব একসঙ্গে মিলে যাবে। এখানে দশ বছরের সরকার-বিরোধী ভোট বিজেপি আর সিপিএমের মধ্যে ভাগ হলেও, নন্দীগ্রাম মুখ্যমন্ত্রীর অঞ্চলছায়া পাবে, এই অমৃতকুম্ভ একমাত্র তৃণমূলের এক্সক্লুসিভ। বিজেপি দলের জোয়াল কাঁধে নিয়ে বাসে উঠতে পারেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতার মোকাবিলা করতে শুভেন্দুর হাতে তো শুধু পেনসিল। দল তাকে লড়াইয়ের সমভূমি দেয়নি। কার্যত বাঘের মুখে ফেলে দিয়েছে। জিতে এলে বিপুল হাততালি পাবেন। কিন্তু নবান্নের চোদ্দোতলায় যাওয়ার গেটপাস তো তাঁর হাতে নেই। মোদী যদি দেন গদিতে বসার গেটপাস, তবে সে তো হবে বঙ্গের নয়, সংঘের যাকে বিশ্বাস।
সুতরাং এক পায়েই লড়াই শুভেন্দুর এ বারের নন্দীগ্রামে।
জাতীয় সংগীতের সময় দু’পায়েই দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছেন, বিনা ক্রাচেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিতে পারেন আর প্রয়োজনে প্রমাণ করতে পারেন তাঁর ম্যাজিক। লোকের প্রশ্ন, মমতার হল কী? হঠাৎ মুকুলের জন্যে সহানুভূতি, প্রলয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলা। এ কোন প্রলয়? মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই বললেন, আমি তো প্রার্থী। সবার কাছেই সাহায্য সমর্থন চাইতে পারি। মুকুল বেচারিকে অকূল পাথার কৃষ্ণনগরে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি। শুভেন্দুকে আর বেচারি বলেন কী ভাবে? তবে কোথায় জয়প্রকাশ মজুমদার আর কোথায় সায়ন্তন বসু, তাঁদের জন্যও দিদির প্রাণ কাঁদে। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে এই সহজিয়া পদ্ধতিতে রাজনীতির বীজ ছড়িয়েছেন। সহজ কথা সহজে বলে দেখিয়েছেন স্ট্রিট ফাইটার মমতার কূটনৈতিক কুশলতা। একটা কথা অন্তত পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, বিজেপি নিজের লোক বলে সবাইকে ব্যবহার করবে। কিন্ত “ফেলো কড়ি মাখো তেল। তুমি কি আমার পর?” এটাই আধুনিক বিজেপির কর্পোরেট কাল্ট। পারফর্ম অর পেরিশ। করে দেখাও, নয় বাড়ি যাও।
কিন্তু এ তো ধাঁচা। আসল ধাঁধা অন্য কিছু, যা বিজেপির প্রাচীন সূত্র। তাই কুরবান আলির কয়ামতের রাতের কথায় মনে এল, এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার সাবধানবাণী। ভোটের আগের রাতটুকু সব চাইতে ফিংগার ক্রস করে রাখতে হবে। কোথায় কে কোন দুষ্কর্ম করছে। তার জেরে হযবরল হয়ে যেতে পারে সব নির্বাচনী সমীকরণ। সব শুনে মনে হতেই পারে, অন্য এক আঁধার এসেছে। না হলে উন্নয়নের গল্পে কেন বিভাজনের মিশেল? আর যে হেতু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট নির্ণায়ক সে হেতু একটু মুজঃফরনগর খুঁজে আনা এক গোয়ালের গোরু ঘাস খাবেই তো নন্দীগ্রামের মাঠে ঘাটে। অবশ্য সার কথাটা অন্য খানে। ভোটের বাজারে বিজেপির কোন রথী মহারথী না এসেছেন এই কেন্দ্রের প্রচারে। মোদী থেকে মিঠুন, শাহ থেকে মৌর্য – কে না এসেছেন শুভেন্দু-উদ্ধারে। প্রমাণ হয়েছে ভারতের শাসনতন্ত্রের তন্ত্রধারক বিজেপির মর্যাদার লড়াইয়ে অধিকারীর অধিকার সীমিত। জিতলে গৌরবে বহুবচন হবে বিজেপি। হারলে ঘটিবাটি হারাতে হবে একক ভাবে প্রার্থীকে।
অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী সচেতন ভাবেই একা কুম্ভ। রক্ষা করছেন তাঁর আসল বুঁদির গড়। তিনিই ঘরের মেয়ে, তিনিই সেলিব্রিটি। তিনি চাইলে সেলিব্রিটিদের অভাব হত না। বলিউড-টলিউডের সুপারস্টার আর নিদেনপক্ষে তৃণমূলের ঘরের নায়ক-নায়িকার মেলা বসে যেত। এবং নানা রাজ্যের বিরোধী নেতাদের রামধনু দেখাতে পারতেন নন্দীগ্রামের দিগন্তরেখায়। কিন্তু দেখা গেল সে সবের দরকার মনে করলেন না নেত্রী। অন্য দিকে ভাইপোকেও আনলেন না শুভেন্দুর প্রচারে জল ঢেলে দিতে। তিনি এবং তাঁর হুইলচেয়ার নন্দীগ্রামের একুশ ভোটের আলোয়। শুভেন্দুকে ভূমিপুত্র বলে আশীর্বাদ করে বাসুদেব ত্রিপাঠী বলেছেন, বিভীষণ তুমি। তুমি ছাড়া রাবণবধ হবে না। তাই ঘরের শত্রুটাই বড়ো পরিচয়। কিন্তু রাবণবধের কীর্তির অধিকারী তো বিভীষণ নয়। সে তো রামভক্ত বিভীষণ। কী ভীষণ পরিণতি তার!
এ দিকে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে বিরোধীদের সবার মুখে। টাকা ছড়াতে কার্পণ্য নেই। লাল কার্পেটের নীচে টাকার থলি। ভোটারপিছু হাজারে ব্যাজার নন বাবুরা। এ দিকে যারা বলছে তারাও ঢালছে সাধ্যমতো। তৃণমূল কর্মী দিব্যেন্দু বলেই ফেলল। আমাদের ৫০০ হলে বিজেপির হাজার। ভাবছি, যে বেশি দেবে তার ঝান্ডাই ধরব। (শেষ)
আরও পড়ুন: Deadline Nandigram: কাকে এপ্রিল ফুল করবে নন্দীগ্রাম? দিদি না শুভেন্দু?
পূর্ব মেদিনীপুর
পর্যটকদের মনোরঞ্জনে দিঘায় চালু হল টয় ট্রেন পরিষেবা
মোহনা থেকে উদয়পুর পর্যন্ত চলবে এই টয় ট্রেন।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: দিঘাকে গোয়া করার পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এ বার দার্জিলিংয়ের স্বাদও দিঘায় মিলবে। উত্তরের দার্জিলিং তো টয় ট্রেনের জন্যই বিখ্যাত। এ বার দক্ষিণের দিঘাতেও সেই পরিষেবা চালু হল। দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের মনোরঞ্জনে এ বার সমুদ্রের ধার দিয়ে ছুটতে শুরু করল টয় ট্রেন।
দিঘার মোহনা থেকে উদয়পুর সৈকত পর্যন্ত চালু হয়েছে এই টয় ট্রেন পরিষেবা। সমুদ্রের ধার ধরে এই বাঁধানো কংক্রিটের রাস্তাটা রয়েছে সেখান দিয়েই ছুটে যাবে চার কামরার এই টয় ট্রেন।
গত মঙ্গলবার এই টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করেছে দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ। সমুদ্রের পাড় বরাবর ছুটবে ট্রেন। ফলে পর্যটকের সঙ্গে টানা তিন কিলোমিটার পথ ছুটে সমুদ্রের সৌন্দর্যও। সু্ন্দর–চওড়া রাস্তা, ঝকঝকে আলো এবং সুন্দর বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনিয়মিত হলেও শুরু হয়েছে কলকাতা–দিঘা হেলিকপ্টার পরিষেবা। এ বার একধাপ এগিয়ে দিঘার সমুদ্র সৈকত ধরে টয়ট্রেন ছুটতে শুরু করেছে। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা যেতে হলে পর্যটকদের ভরসা ছিল টোটো বা ভ্যান। এ বার চলে এল টয় ট্রেনও।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
পূর্ব মেদিনীপুর
Bengal Polls 2021: মমতার নন্দীগ্রাম-অভিযোগ নিয়ে কমিশনের নির্দেশে রিপোর্ট দিল প্রশাসন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ছিল ৬৩টা অভিযোগ জমা দিয়েছে তৃণমূল।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: বয়ালের ঘটনা-সহ নন্দীগ্রামের ভোট নিয়ে ৬৩টা অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে তার রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনে জমা দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক স্মিতা পাণ্ডে শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
ভোটের দিন নন্দীগ্রাম পুরোপুরি শান্ত ছিল না। বিক্ষিপ্ত কয়েকটি অশান্তির ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে বয়ালের একটি ভোটকেন্দ্রে চূড়ান্ত অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই জায়গার ৭ নম্বর বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘণ্টা দুয়েক বসে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল এই বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে বিজেপি। পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় বয়াল থেকে তিনি বাইরে বেরোন।
এর পর মমতা অভিযোগ করেন, ‘‘চূড়ান্ত অসভ্যতা হয়েছে নন্দীগ্রামে। যিনি এখানে বিজেপির প্রার্থী, তাঁর নেতৃত্বে রাতে দাপিয়ে বেড়িয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাহের, সামাদ যারা আদালতের নির্দেশে স্বস্তিতে রয়েছেন, তাদের বাড়িতেও রাত থেকে হামলা হয়েছে। ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে এখানে। আমরা ৬৩টা অভিযোগ করেছি।’’
বিহার ও উত্তরপ্রদেশের গুন্ডা এনে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বয়ালের ওই বুথে বসেই প্যাড-পেন নিয়ে অভিযোগের চিঠি লেখেন নির্বাচন কমিশনকে। ফোন করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও। এর পর কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। সেই রিপোর্টই শুক্রবার জমা দেওয়া হয়েছে।
তবে বয়ালের বুথে কোনো রকম ছাপ্পা ভোট হয়নি বলে বৃহস্পতিবার রাতেই জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
পূর্ব মেদিনীপুর
Bengal Polls 2021: নন্দীগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় জেলাশাসককে চিঠি দিব্যেন্দু অধিকারীর
নন্দীগ্রামের ভোটপ্রচারে মেরুকরণের তাসই বার বার খেলে গিয়েছেন শুভেন্দু


খবরঅনলাইন ডেস্ক: নন্দীগ্রামের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে, এই আশঙ্কা করে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে চিঠি দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থীর ভাই তথা তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। জেলাশাসক সুমিতা পাণ্ডেকে উপযুক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দেওয়া চিঠিতে দিব্যেন্দু লিখেছেন, “নন্দীগ্রামে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট পরিচালনা করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু ওই এলাকার সাম্প্রতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আশঙ্কা করছি যে, ওই এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। যার জেরে ওই এলাকার মানুষের সাধারণ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন ধ্বংস হতে পারে।”
এর পরেই চিঠিতে জেলাশাসককে দিব্যেন্দু অনুরোধ করেছেন জনজীবনে শান্তি, সম্প্রীতি এবং সংহতি বজায় রাখতে যাতে সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের যে ৩০টি আসনে ভোট হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। ওই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের ভোটপ্রচারে মেরুকরণের তাসই বার বার খেলে গিয়েছেন শুভেন্দু। মমতাকে বার বার ‘বেগম’ বলে সম্বোধন করেছেন। ফলে ভোটের পর এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা যে খুব একটা অমূলক নয়, সেটা কিন্তু বলছেন রাজনৈতিক কারবারিরা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Corona Update: বৃহস্পতিবার কোন রাজ্যে কতটা ভয়াবহ ছিল করোনার দাপট!
-
রাজ্য20 hours ago
Bengal Polls Live: পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৮.৩৬ শতাংশ
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার1 day ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড
-
ক্রিকেট1 day ago
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
-
মুর্শিদাবাদ1 day ago
Coronavirus Second Wave: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন রাজ্যের আরও এক প্রার্থী