পূর্ব মেদিনীপুর
দার্জিলিংয়ের পর এ বার পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি খুলে যাচ্ছে দিঘাও

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ১ জুলাই থেকে পর্যটকদের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে দার্জিলিং। ওই দিন খুলে যাবে দিঘাও (Digha)। ওল্ড আর নিউ দিঘার সব হোটেল ১ জুলাই খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হোটেল মালিকদের সংগঠন।
শুধু হোটেল খোলাই নয়, ওই দিন থেকে দিঘায় সমুদ্রস্নানের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে প্রশাসন। পাশাপাশি অমরাবতী পার্ক, বিজ্ঞান কেন্দ্রগুলির মতো দর্শনীয় স্থানগুলি খোলার নির্দেশ দিয়েছে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (ডিএসডিএ)।
তবে উন্মুক্ত জায়গায় পিকনিক করার ওপরে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে প্রশাসন।
ওল্ড এবং নিউ দিঘা মিলিয়ে ৬০০টিরও বেশি হোটেল রয়েছে। গত ৮ জুন থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে দিঘায় অল্প সংখ্যক হোটেল খোলা হয়েছিল। কিন্তু পর্যটকদের আসার প্রতিবাদ করেছিলেন স্থানীয় মহিলারা। তার পর থেকে দিঘায় টুকটাক কিছু পর্যটক গেলেও কোনো ভাবেই আগের ছন্দে ফিরছিল না সৈকত-নগরী।
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠক হয়। সেখানে পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক সুজন দত্ত সভাপতিত্ব করেন। হোটেল মালিকদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারিক এবং স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অনেক নিয়মকানুন তৈরি হয়। পর্যটকদের হোটেলের ঢোকা এবং বেরোনোর আগে নিয়মিত গাড়ি এবং জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি হোটেলে পরিবর্তন পদ্ধতিতে (Rotational Basis) অর্ধেক রুম পর্যটকদের ব্যবহার করতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে বড়ো বাস ভাড়া করে পর্যটকদের দল এখনই দিঘায় আসতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, পারিবারিক ভ্রমণের ওপরেই আপাতত জোর দেওয়া হচ্ছে দিঘায়। সব মিলিয়ে ১ জুলাই থেকে আবার পর্যটনকে হাতিয়ার করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে দিঘার অর্থনীতি।
ধর্মকর্ম
কাজলার শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহারে শ্রীরামকৃষ্ণের বিশেষ পূজা
নরনারায়ণ সেবার মধ্য দিয়ে আশ্রমের এই উদ্যোগটি সুসম্পন্ন হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের কাছে কাজলা গ্রামে শ্রীরামকৃষ্ণ প্রেমবিহার আশ্রমের শাখা স্থাপিত হয়েছে। গত রবিবার ওই কাজলা শাখায় স্বামীজির ১৫৯তম জন্মতিথি উপলক্ষ্যে ঠাকু্র শ্রীরামকৃষ্ণদেবের বিশেষ পূজা সম্পন্ন হল।
এই উপলক্ষ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আশ্রমপ্রাঙ্গণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনু্ষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বামীজির উপর কু্ইজ এবং শিশুদের মূল্যবোধ শিক্ষার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।

চার দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানের শেষ দিনে ছিল মহিরাবণবধ পালা। এই পালায় গ্রামবাসীদের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান সমগ্র অনুষ্ঠানে এক অনন্য মাত্রা যোগ করে।
সব শেষে নরনারায়ণ সেবার মধ্য দিয়ে আশ্রমের এই উদ্যোগটি সুসম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: বরানগরের জয় মিত্র কালীবাড়িতে পশুবলি বন্ধ হয়েছিল বালানন্দ ব্রহ্মচারীর বিধানে
পূর্ব মেদিনীপুর
হলদিয়ার রাজনৈতিক সভায় নরেন্দ্র মোদী
বাংলায় বক্তৃতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

খবর অনলাইন ডেস্ক: রবিবার বেলা ৪টে নাগাদ হলদিয়ায় পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এ দিন প্রথমেই তিনি অংশ নিচ্ছেন রাজনৈতিক সভায়। সেখান থেকে যাবেন সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে।
দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে হেলিকপ্টারে চেপে সরাসরি হলদিয়ার হেলিপ্যাড ময়দানের উদ্দেশে রওনা দেন মোদী। এ দিনের সভায় রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
মোদী যা বললেন…
*আমার প্রিয় মা-বোনেরা নমস্কার।
*মেদিনীপুরের এই পবিত্র মাটিতে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এই মাটিতে মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বসুর রক্তের মাটি। এই মাটির বীরসন্তান বিদ্যাসাগরের বাঙালিকে বর্ণপরিচয় শিখিয়েছেন। ভারতকে দিশা দেখিয়েছেন এই মাটির বীরসন্তানরা। তাঁদের প্রণাম জানাই। এই মাটিতে আসা, প্রণাম করা নতুন প্রেরণা দেয়।
*উত্তরাখণ্ডের মানুষ বিপদে। ক্ষতির খবর ধীরে ধীরে আসছে। মানুষকে নিরাপদ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
*বাংলায় বহু জেলায় এলপিজি সংযোগ।
*বাজেটে বাংলার জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ কেন্দ্রীয় প্যাকেজ আনা হয়েছে। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ।
*বাংলায় রেল প্রকল্পের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ।
*বাংলার মানুষের প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।
*শিল্প-বাণিজ্যে এক সময় অনেক এগিয়ে ছিল বাংলা। শিক্ষাক্ষেত্রেও দেশের অন্য রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে ছিল।
*প্রথমে কংগ্রেস দুর্নীতি করল। তার পর বামেদের অত্যাচার। ২০১১-তে সারা দেশের নজরে ছিল বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন এল। মানুষ ভরসা করেছিল। কিন্তু ১০ বছর ধরে নির্মমতার শিকার হয়ে গেল বাংলা। বাংলা যা পেয়েছিল, তা পরিবর্তন নয়। বামেদের পুনর্জীবন। তাও সুদ সমেত।
*দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়েছে। বাংলার রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। বাংলায় পরিবর্তন হয়নি। বাম আমলের থেকেও খারাপ হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হয়েছে।
*মা-মাটি-মানুষের ভারত মাতাকে শক্তিশালী করার সাহস নেই।
*রেশন নিয়ে দুর্নীতি করেছে রাজ্য। কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বাংলার কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষা দেওয়ার।
*২৫ লক্ষ কৃষক বাংলা থেকে কেন্দ্রের কিসান সম্মান নিধির অনুদানের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার শুধুমাত্র ছ’হাজার কৃষকের নাম পাঠিয়েছে। কিন্তু তাঁদের কাছেও এখনও পর্যন্ত অনুদান পৌঁছায়নি। তাঁদের ব্যাঙ্কের তথ্য এখনও আমরা পাইনি।
*এই রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠিত হওয়ার পর প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে কিসান সম্মান নিধি যোজনা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুদ সমেত বকেয়া টাকাও বাংলার কৃষকদের দেওয়া হবে।
*আরও একটি বঞ্চনার উদাহরণ আয়ষ্মান ভারত প্রকল্প। পাঁচ লক্ষ টাকার এই সুবিধা থেকে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে রেখেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে এখানকার শাসক দল। রাজনীতির স্বার্থে গরিব-কৃষকদের নিয়ে খেলছে এই দল।
*কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি কার্যকরেও বাধা সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকার।
*পরিবর্তন কাকে বলে সেটা দেখবেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে। যেমনটা হয়েছে ত্রিপুরায়। ফুটবলের ভাষায় বলি, এখানকার তৃণমূল সরকার অনেক ‘ফাউল’ করেছে, এ বারের ভোটে মানুষ ‘রামকার্ড’ দেখাবেন।
*বাংলায় আমাদের লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে, পাশাপাশি তাদের দিকে ঝুঁকে থাকা বন্ধুদের বিরুদ্ধেও আমাদের লড়াই। বাম-কংগ্রেস তাদের পিছনে রয়েছে। দিল্লিতে তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস একই ঘরে বসে রণনীতি তৈরি করে।
*তৃণমূলের অন্দরেও বুয়া-ভাতিজা ক্ষোভ। তৃণমূলের তোলাবাজি-সিন্ডিকেটে ভয় পাবেন না। পরিবর্তন হবেই।
আরও পড়তে পারেন: মমতার বদলে ১০ বছর ধরে নির্মমতা, হলদিয়ার সভায় বললেন নরেন্দ্র মোদী.
পূর্ব মেদিনীপুর
৪ আনার নকুলদানা, তার আবার ক্যাশমেমো: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার কাঁথির সভায় যোগ দিয়ে নাম না করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, “আগামী দিন এই গদ্দারের বাড়ির উপর লক্ষ্য রাখুন। সারদার টাকা চেয়ে। ঘেরাও করুন, যাতে তাঁরা বাড়ি থেকে না বেরতে পারে”।
অভিষেক যা বললেন….
*মেদিনীপুর থেকে নবজাগরণ হোক, এ মাটি আন্দোলন- সংগ্রামের মাটি। বিদ্যাসাগরের মূর্তি যে ভেঙেছে, তার পায়ে হাত দিয়ে এখন প্রণাম করছেন। আর যাইহোক, এই মাটি আত্মসমর্পণ করতে পারে না। বশ্যতা স্বীকার করতে পারে না।
*মূলত তিন-চারটে বিধানসভা থেকে জমায়েত। তাতেই বৈপ্লবিক জনবিস্ফোরণ হয়েছে। আপনারা যদি ভোটের বাক্সে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন, তা হলে মিরজাফর অ্যান্ড কোম্পানির জামানত জব্দ হয়ে যাবে।
*এই মাটিকে যে কালিমালিপ্ত করেছে, তাদের মেদিনীপুরের মাটি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এটাই আজকের ডাক। তাদেরকে মেদিনীপুরের মানুষ গড়ায়গণ্ডায় জবাব দেবেন। দিল্লির মালিকদের কাছে যারা এই মাটিকে বিক্রি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তলুন। পাঁচ কিমির মধ্যে শান্তিকুঞ্জ। তাদের কানে যেন এই আওয়াজ পৌঁছায়। আফপ
*বিশ্বাসঘাতকদের জবাব দেবেন ভোটের বাক্সে।মিরজাফরদের জামানত জব্দ হবে। বিশ্বাসঘাতকদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। ২৫০-এর বেশি আসন নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসবেন মমতা। তিনি নিজে নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হয়েছেন। স্টিয়ারিং এখন মমতার হাতে, তাই অনেকের গ্রাত্রর্দাহ হচ্ছে।
*তুমি অকৃতদার নয়, অকৃতজ্ঞ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ভরসা করে মেদিনীপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এখন বলছেন, পাঁচ বছর মমতা এখানে আসেননি। মোদী কত বার এসেছেন।
*যদি ক্ষমতা থাকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়ে দেখান। মেদিনীপুরের যে কোনো আসন থেকে প্রার্থী হয়ে দেখান। মানুষই আপনাকে হারিয়ে দেবে। বলা হয়, অধিকারী গড়। এটা আবার কী। এই মাটি সাধারণ মানুষের গড়। অধিকারী গড় আবার কী? এমনিতে জোকারের মতো মুখ, আমাকে বলছে, এখানে এলে দেখে নেব। আয়, এই এলাকায়, তোমার এলাকায় দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে যাচ্ছি। চার আনার নকুলদানা, তার আবার ক্যাশমেমো। ক্ষমতা থাকে তো আয় এখানে।
*যাঁরা মেদিনীপুরের আবেগকে বিক্রি করে দিয়েছে, সাধারণ মানুষ তাদের কড়া জবাব দেবে। এত ভয়, কথায় কথায় ভাইপো। ১৫ মিনিট বক্তব্যে রাখল ১৫ বার ভাইপো। আমি তো বলেছি, আমার তোলাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে আমাকে দাঁড় করিয়ে ফাঁসি দিও।
*বলছে, আমকে তুই-তোকারি করছে। আমি কাউকে তুই-তোকারি করি না। কিন্তু বিশ্বাসঘাতক, মিরজাফরদের তুই-তোকারি করব।
*মাটি কামড়ে লড়াই করতে হবে। এটা শুধু তৃণমূল সরকারের জন্য নয়, মেদিনীপুরের ঐতিহ্য-সম্মান রক্ষা করার লড়াই। আপনারা আমাকে যেখানে ডাকবেন, আমি আসব, লড়াইয়ে আছি।
আরও পড়তে পারেন: শোভন-বৈশাখীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের দেবশ্রী রায়ের, কী কারণে
-
রাজ্য3 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা