নন্দীগ্রামে রাম মন্দির নির্মাণ করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার তিনি জানান, অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে এই মন্দিরটি গড়ে উঠবে। আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমীর দিনে সকাল ১০টায় মন্দিরের শিলান্যাস করবেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, প্রায় চার বিঘা (১.৫ একর) জমিতে মন্দিরটি নির্মাণ করা হবে। এই জমি অধিকারীর নামে রয়েছে। তিনি সকলকে রামনবমীর দিন সকাল ৯.৩০টায় স্নান সেরে তিলক পরে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তৃণমূলের অভিযোগ
তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ থাকাকালীন এমপিএলএডি (MPLAD) তহবিল থেকে নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবারের জন্য হাসপাতাল তৈরির উদ্দেশ্যে এই জমি কম দামে কিনেছিলেন। তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের অভিযোগ, “এই জমিটি সুনীল মন্ডল ও পূর্ণিমা মন্ডলের কাছ থেকে খুব কম দামে কেনা হয়েছিল এবং শহীদ পরিবারের জন্য হাসপাতাল নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু এখন সেখানে মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
বাপ্পাদিত্য আরও বলেন, “সুভেন্দু একসময় দাবি করেছিলেন যে সোনাচুরায় শহীদদের জন্য একটি হাসপাতালের জন্য এমপিএলএডি তহবিল থেকে ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করে জমি কেনা হয়েছে। এছাড়াও, ভাঙ্গাবেরিয়ায় শহীদ পার্ক তৈরির জন্য প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল।”
বিজেপির প্রতিক্রিয়া
তৃণমূলের অভিযোগের জবাবে নন্দীগ্রাম বিজেপির নেতা মেঘনাদ পাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী স্বাধীনভাবে সোনাচুরায় শহীদ স্মারক নির্মাণ করেছেন এবং নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূল এখানে রাম মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করছে এবং অযথা বিতর্ক তৈরি করতে চাইছে।”
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে রাম মন্দির নতুন নয়। ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত জনকীনাথ মন্দিরকেও নন্দীগ্রামের প্রাচীনতম রাম মন্দির হিসেবে ধরা হয়। সেখানে রামের মূর্তি তির-ধনুক ছাড়াই রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে এই মন্দিরের পৃষ্ঠপোষক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি দিঘায় জগন্নাথ ধামের উদ্বোধনের ঘোষণা করেন। আগামী ৩০ এপ্রিল ২২ একর জমির ওপর গড়ে উঠছে রাজ্যের সর্ববৃহৎ মন্দিরটি। শুভেন্দুর রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণাকে তৃণমূল সেই ঘোষণার পাল্টা হিসেবে দেখছে।