খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামের তেখালিতে শহিদ স্মরণের মঞ্চে ফের এক বার রাজনৈতিক জল্পনা বাড়ালেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সভা করেন পরিবহণ মন্ত্রী। ওই সভা থেকে তিনি কোনও ‘রাজনীতির কথা’ বলতে চাননি তিনি। বলেন, “এটা রাজনীতির মঞ্চ নয়, এখানে কিছু বলব না। কোথায় আমার স্বাচ্ছন্দ্য, কোথায় চলার পথে চড়াই-উতরাই, তা রাজনীতির মঞ্চে বলব। এই পবিত্র মঞ্চে রাজনীতির কথা বলব না”।
একই সঙ্গে কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে দেখে খুব ভালো লাগছে। ভোটের আগে যেমন আসতেন, ভোটের পরেও তো আসতে হবে”! প্রসঙ্গত, এ দিন বিকেলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে নন্দীগ্রামে তৃণমূলেরও সভা রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দু তাঁকে নিশানা করলেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকেই নিজের রাজনৈতিক কথা বলার ঘোষণা। শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিভিন্ন মহলে নানান জল্পনা জলছে। তাঁর এ দিনের মন্তব্যও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এ দিন বক্তৃতার শেষে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় নন্দীগ্রাম’-এর পাশাপাশি ‘ভারতমাতা জিন্দাবাদ’ ধ্বনি দিতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। এ সবেরও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রসঙ্গত, এ দিন নন্দীগ্রাম দিবসের ত্রয়োদশতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, “আজ নন্দীগ্রাম দিবস। ‘সূর্যোদয়’-এর নামে বর্বর হিংসার ১৩তম বছর। গোটা বিশ্বে রাজনৈতিক হিংসায় যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। সব সময় শান্তির জয় পাওয়া উচিত”।
শুভেন্দুর অরাজনৈতিক ব্যানারে আয়োজিত এই সভায় পাঁশকুড়ার তৃণমূল বিধায়ক ফিরোজা বিবি এবং তমলুকের সাংসদ দিব্য়েন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে হাজরাকাটায় তৃণমূলের সভার মূল বক্তা ফিরহাদ হাকিম। সন্ধেবেলায় চৌরঙ্গির সভায় থাকার কথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর। এখন দেখার, ওই সভাগুলি থেকে কোনো রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া উঠে আসে কি না!
আরও পড়তে পারেন: তৃণমূলের সঙ্গে মিশে গেল জিটিএ-র কর্মী সংগঠন
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।