পূর্ব মেদিনীপুর
শুভেন্দুকে তৃণমূলের ‘সতর্কবার্তা’র কথা অস্বীকার শিশির অধিকারীর
শুভেন্দু অধিকারী শৃঙ্খলা ভাঙলে দলের তরফে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি!

খবর অনলাইন ডেস্ক: রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সাম্প্রতিক কার্যকলাপের জন্য তাঁকে দলের তরফে ‘সতর্কবার্তা’ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এ ধরনের কোনো সতর্কবার্তার কথা অস্বীকার করেছেন শুভেন্দুর বাবা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূল জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী।
নিউজ১৮ বাংলার খবর অনুযায়ী, শিশির অধিকারীর মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয় শুভেন্দুকে। শুভেন্দু শৃঙ্খলা ভাঙলে দলের তরফে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, শুভেন্দুকে আরও কিছু দিন সময় দেওয়া হতে পারে।
তবে সতর্কবার্তার কথা অস্বীকার করেছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা শিশিরবাবু। অন্যদিকে, এখনই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না বলে জানাচ্ছে দলীয় সূত্র। অর্থাৎ, এই সময় মধ্যে ‘ভুল শুধরে’ নেওয়ার প্রচেষ্টা নেওয়া হলে আপাতত কোনো ব্যবস্থা নয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
শিশিরবাবু বলেন, “শুভেন্দু রাজ্যস্তরের নেতা। আমি দলের জেলা সভাপতি। শুভেন্দু সম্পর্কে আমি ব্যবস্থা নিতে পারি না। বার্তা-টার্তা দেওয়ার কোনো ব্য়াপার নেই, এ সব বাজে কথা, ঝগড়া লাগানোর জন্য কেউ এগুলো বলতে পারে”।
বৃহস্পতিবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যান ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি কাঁথির অধিকারী বাড়িতে যখন যান, শুভেন্দু বাড়িতে ছিলেন না। একটি সূত্র বলছে, প্রশান্ত কিশোর গতকাল শিশিরবাবুর কাছে প্রথমে জানতে চান শুভেন্দু কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? উত্তরে, ‘না’ শুনতে হয় প্রশান্তকে।
এ দিন অবশ্য নিজের মনোভাব আরও স্পষ্ট করে দিলে শুভেন্দু জানিয়েছেন, “আমি ছিলাম, আছি, থাকব”। ফের নন্দীগ্রামের সভায় কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমাকে আটকানোর ক্ষমতা কারও নেই।আপনাদের আশীর্বাদ, দোয়া, প্রার্থনাকে সঙ্গী করে আমি এগিয়ে যাব”।
আরও পড়তে পারেন: দক্ষিণ কলকাতায় কোভিড নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়াতে চায় পুরসভা
পূর্ব মেদিনীপুর
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতিপদ থেকে অপসারিত শিশির অধিকারী
কে হলেন নতুন সভাপতি?

খবর অনলাইন ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হল শিশির অধিকারীকে। নতুন সভাপতি হলেন সৌমেন মহাপাত্র। তবে জেলায় দলের চেয়ারম্যান রইলেন শিশির-ই।
২০২১ বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই গত ৪ নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরে নতুন জেলা, ব্লক এবং যুব কমিটি গঠন করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে জেলার চেয়ারম্যান এবং সভাপতি- উভয়পদেই রাখা হয় কাঁথির সাংসদ শিশিরকে।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিতেই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু কাঁথির অধিকারী পরিবারের। মঙ্গলবার জানা যায়, শিশিরকে দিঘা -শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি পদ থেকে অপসারণের রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার সরাসরি দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, বয়সজনিত কারণ এবং অসুস্থতার কারণেই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
দলীয় সিদ্ধান্তের কথা শুনে শিশির অবশ্য জানিয়েছেন, “আমি নিজের মতো করে জেলায় ঘুরে ঘুরে সংগঠনটা করেছি। তখন পরিবারকেও সময় দিতে পারিনি। দিদিমণি যা নির্দেশ দিয়েছেন, মাথা পেতে পালন করেছি। এখন সরিয়ে দিলে দেবে! আমার কাউকে কিছু বলার নেই”।
রাজনৈতিক মহলের মতে, জেলা সভাপতিপদ থেকে অপসারণ করে সাম্মানিক ভাবে চেয়ারম্যান হিসেবে রাখা হল শিশিরকে। কারণ, সাংগঠনিক কাজের দেখভালের দায়িত্ব সভাপতির হাতেই। ফলে ‘আলঙ্কারিক’ পদে রেখে কার্যত ‘ডানা ছাঁটা’ হল প্রবীণ নেতার। শুভেন্দু এবং তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তৃণমূল ছাড়ার পর দলের দায়িত্ব অধিকারী পরিবারের বাইরে কারও হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়তে পারেন: গ্রেফতার অ্যালকেমিস্ট কর্ণধার কেডি সিং!
পূর্ব মেদিনীপুর
কাঁথির পর এ বার সরানো হল এগরা ও তমলুক পুরসভার দুই প্রশাসককে
একের পর এক অপসারণ। এ দিনই জানা যায়, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিশির অধিকারীকে!

খবর অনলাইন ডেস্ক: কাঁথি পুরসভার প্রশাসকপদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দুর পর এ বার সরানো হল এগরা ও তমলুক পুরসভার দুই প্রশাসককে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এঁদের দু’জনই কাঁথির অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার দিন দশেকের মধ্যেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো হয় তাঁর ছোটো ভাই সৌম্যেন্দুকে। সোমবার রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছেন, এগরা ও তমলুকের দুই পুরপ্রশাসক যথাক্রমে শংকর বেরা ও রবীন্দ্রনাথ সেনকে অপসারণ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এগরা পুরসভার নতুন প্রশাসক হয়েছেন স্বপন নায়েক ও তমলুক পুর বোর্ডের প্রশাসকের দায়িত্ব সামলাবেন দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়।
এর আগে গত ডিসেম্বরেই সৌম্যেন্দুকে অপসারণের পর কাঁথি পুরসভার নতুন প্রশাসক নিয়োগ করা হয় সিদ্ধার্থ মাইতিকে। যা নিয়ে চাপানউতোর এখনও অব্যাহত।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায় এই তিনটি পুরসভা বোর্ডের। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের পুরপ্রশাসক পদে বসিয়েছিল রাজ্য সরকার।
এ দিনই জানা যায়, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি এবং কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিকে।
আরও পড়তে পারেন: ডিএসডিএ-র চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত শিশির অধিকারী
পূর্ব মেদিনীপুর
ডিএসডিএ-র চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত শিশির অধিকারী
কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হল?

খবর অনলাইন ডেস্ক: “আমি কি ছেলের বিরুদ্ধে যাব”? শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের সমালোচনার মুখে এমনটাই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। ক্রমশ চওড়া হতে থাকা দূরত্বের আবহেই তাঁকে দিঘা -শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ (DSDA) থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
বর্তমানে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রয়েছেন শিশিরবাবু। শোনা যায়, এর আগে কাঁথিতে তৃণমূলের সভাতেও তিনি অংশ নিতে পারেননি এই অসুস্থতার কারণেই। জানিয়েছিলেন, চিকিৎসক তাঁকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন।
কে এলেন?
ডিএসডিএ-র নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিকে। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, শিশিরবাবু অসুস্থ বলেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি থাকতে চাইলে নিশ্চয় থাকবেন।
বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শিশিরবাবুর দুই ছেলে শুভেন্দু, সৌম্যেন্দু। কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব যে বাড়বে, সেটাই স্বাভাবিক। এই অপসারণকে তারই ইঙ্গিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুভেন্দুকে নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই পুরপ্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরানো হয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তার পরেই তিনি দাদার হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।
কী বলছেন কাঁথির সাংসদ?
শিশিরবাবু সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “আমার কিছু জানা নেই, তাই প্রতিক্রিয়াও নেই”। উল্লেখ্য, এর আগে ডিএসডিএ-র ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন অখিল।
শুভেন্দু দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই অধিকারী পরিবারে সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের সমীকরণ সম্পূর্ণ বদলে যেতে শুরু করে। তৃণমূলের একাংশ অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুললে এর রাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ শিশিরবাবুও।
কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, ‘‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব পাবে। জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ। আমি যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম, অবিভক্ত মেদিনীপুরে একটাও নির্বাচিত পদ ছিল না। আমি যোগ দেওয়ার পর দলে দলে সকলে যোগ দিল। আর আমি এখন হলাম মিরজাফর! আমি হলাম বেইমান! বাহ্!’’
আরও পড়তে পারেন: ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ: শিশির অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
ক্রিকেট3 days ago
অভিষেকে লড়াকু নটরাজন, সুন্দর, অস্ট্রেলিয়া ২৭৪