‘আমি নির্দোষ’, গ্রেফতারের পর দাবি ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদার

0
নিহত তপন কান্দু। প্রতীকী ছবি

পুরুলিয়া: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর দাদা নরেন্দ্র কান্দু। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় তিনি জড়িত নন, নির্দোষ।

এর আগেই নরেন কান্দুর ছেলে দীপককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। শনিবার নরেনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়াও আসিফ খান নামে ঝালদার এক ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।  শনিবার সন্ধ্যায় এ কথা জানান পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার পি সেলভামুরুগন। 

তপন কান্দু খুনে বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের বোকারো থেকে কলেবর সিং নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে রাজ্যের গঠিত সিট। শুক্রবার ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে পুরুলিয়া নিয়ে আসা হয়। শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। কলেবরের সামনে বসিয়ে জেরা করা হয় নরেন ও আরেক অভিযুক্ত আসিফকে। দিনভর জেরার পর বিকেলে তাঁদের গ্রেফতারির কথা জানায় পুলিশ। তবে নরেনের দাবি, “আমি নির্দোষ। ভাইয়ের খুনের সঙ্গে জড়িত নই”।

গত ১৩ মার্চ ঝালদা শহরের বাঘমুন্ডি রোডের ওপর খুন হন এ বারের পুরভোটে শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্ত চেয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিহতের স্ত্রী।

কয়েক দিন আগে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এনে নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দু অভিযোগ করেন, খুন হওয়ার আগে তাঁর কাকাকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন আইসি। একই অভিযোগ করেন নিহতের স্ত্রী। এ ব্যাপারে একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায়।

এই প্রেক্ষাপটে পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে আইসি-কে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত থানার কাজ পরিচালনা করছেন এসডিপিও সুব্রত দেব।

আরও পড়তে পারেন:

পৌঁছেছে ৪০ হাজার টন, কলম্বোকে আরও ২০ হাজার টন ডিজেল পাঠানোর প্রস্তুতি ভারতের

রাষ্ট্রসঙ্ঘে কোভাক্সিনের সরবরাহ বন্ধ করল হু, ভারত বায়োটেকের দাবি কার্যকারিতায় কোনো প্রভাব পড়বে না

১৩ দিনে ১১ বার! এ বার ১১৩ ছাড়িয়ে গেল পেট্রোলের দাম, সেঞ্চুরির দিকে ডিজেল

পুলিশের লাগাতার অভিযান, বাসন্তীতে বৈআইনি অস্ত্র-সহ ধৃত ২

আসানসোলে অগ্নিকে জেতান, ভিডিও-বার্তায় পাশে থাকার গ্যারান্টি দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী

বিজ্ঞাপন