রাজ্য
অবশেষে বৃষ্টি ফিরল দক্ষিণবঙ্গে, চলবে কিছু দিন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: চার দিন পর অবশেষে বৃষ্টি ফিরল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। বর্ষা নতুন করে সক্রিয় হওয়ারও ইঙ্গিত পাওয়া গেল। আগামী তিন চার দিন কমবেশি বৃষ্টি চলবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সোমবারের পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল বর্ষা। বৃষ্টিহীন আবহাওয়া আর মেঘমুক্ত আকাশে ছড়ি ঘুরিয়েছে রোদ। অবস্থা এমনই হয়ে গিয়েছিল, যে গত বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রিতে উঠে যায়। জুলাইয়ে এমন পারদ কবে উঠেছিল, মনে করা যায় না।
তীব্র গরমের কারণে আবার বৃষ্টির প্রার্থনা শুরু হয়ে গিয়েছিল কলকাতায়। উল্লেখ্য, গত রবিবারই ঘণ্টাখানেকের আকাশভাঙা বর্ষণে ভেসেছিল কলকাতার একটা বড়ো অংশ। তখনই বৃষ্টি কমার প্রার্থনা করছিলেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু গত কয়েক দিনের গরমের পর পরিস্থিতি আবার বদলে যায়।
বর্ষা সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত
অবশেষে শনিবার থেকে আবার সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বর্ষা। এ দিন কলকাতায় দু’ দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টির ফলে গরম একটুও কমেনি। কিন্তু তবুও বৃষ্টি ফিরে আসায় স্বস্তি পেয়েছেন বৃষ্টিপ্রত্যাশীরা।
আগামী তিন চার দিন বৃষ্টি চলতে থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তরবঙ্গেও আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি চলতে থাকবে।
তিনটে ঘূর্ণাবর্ত
এই মুহূর্তে রাজ্যের তিনটে দিকে তিনটে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। একটি রয়েছে উত্তরপূর্ব ভারতে, একটি ঝাড়খণ্ডের ছোটোনাগপুর মালভূমিতে আর অন্যটি অন্ধপ্রদেশ-ওড়িশা উপকূলে। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়দার আল্টিমার মতে, এই ঘূর্ণাবর্তের ফলে দক্ষিণবঙ্গের ওপরে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্পের সমাগম হবে। এর থেকেই নামবে জোর বৃষ্টি।
মনে করা হচ্ছে, আগামী দিনগুলিতে গোটা রাজ্যেই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তবে তার জন্য পরবর্তী রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে।
রাজ্য
দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বাড়লেও রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু মে’র পর সর্বনিম্ন
রাজ্যের ১৪ জেলায় সংক্রমণ ছিল এক অঙ্কে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে। যদিও তা দুই শতাংশের নীচেই রয়েছে ভালো ভাবে। তবে রাজ্যে স্বস্তি দিচ্ছে মৃতের সংখ্যাটি। মে’র শেষ সপ্তাহের পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু রেকর্ড করা হল রাজ্যে। এ দিকে, সুস্থতা বেশি থাকায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও কিছুটা কমেছে। কলকাতায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটিও সাম্প্রতিক কালের মধ্যে সব থেকে কম ছিল এ দিন। সব মিলিয়ে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির আরও কিছুটা উন্নতি হল বুধবার।
রাজ্যের কোভিড তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৯ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৮২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০৯ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭২৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ছয় জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ হাজার ৮০। উলেখ্য, মে মাসের শেষ সপ্তাহের পর একদিনে এতো কম মৃত্যু এই প্রথম দেখল রাজ্য।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.০৪ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য বাড়লেও তা ভালো ভাবেই দুই শতাংশের নীচে রয়েছে। এ দিন রাজ্যে ২৭ হাজার ১০৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৫০ শতাংশ।
এ দিকে রাজ্যে সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৭.৩৩ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সুস্থতা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শয্যা কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ছে রাজ্যে। বর্তমানে রাজ্যে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০২টি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে মোট ১২ হাজার ৪৪০টি শয্যা চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৬.২৪ শতাংশ শয্যা বর্তমানে ভরতি রয়েছে।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
রাজ্যের দু’টি জেলায় সংক্রমণ বাকি অঞ্চলের থেকে বেশি। এই দু’টি হল কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যাটি একশোর নীচে নেমে এসেছে।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১০৯ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় ১১৮ আর উত্তর ২৪ পরগণায় ১৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন। কলকাতায় ২ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১ জন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬। উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার ৭৪৪। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,৩০৮ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১,৭৫৪।দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,০৪৮ এবং ২,৪৪৬ জনের।
কুড়ির বেশি নতুন সংক্রমণ তিনটে জেলায়
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা বাদে গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটে জেলায় নতুন সংক্রমণ ছিল কুড়ির ওপরে। এই জেলাগুলি হল পশ্চিম বর্ধমান (৩১), হাওড়া (২৮) এবং নদিয়া (২৩)।
এর পর যে যে জেলায় সংক্রমণ তুলনামূলক বেশি ছিল সে গুলি হল হুগলি (১৯), দার্জিলিং (১৮), দক্ষিণ ২৪ পরগণা (১৬) এবং বীরভূম (১৩)।
১৪ জেলায় নতুন সংক্রমণ এক অঙ্কে
বুধবার রাজ্যের ১৪টি জেলায় সংক্রমণ ছিল এক অঙ্কে। এই জেলাগুলি হল কালিম্পং (১), আলিপুরদুয়ার (১), মালদা (১), কোচবিহার (২), দক্ষিণ দিনাজপুর (২), ঝাড়গ্রাম (৩), পশ্চিম মেদিনীপুর (৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৫), পুরুলিয়া (৬), বাঁকুড়া (৬), জলপাইগুড়ি (৭), মুর্শিদাবাদ (৮), পূর্ব বর্ধমান (৮) এবং উত্তর দিনাজপুর (৯)।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
২০১৮ সালের আধার রায় পুনর্বিবেচনার আরজি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
রাজ্য
তিন দিনের সফরে রাজ্য এল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
রাজ্যে পৌঁছানোর পরই দফায় দফায় বৈঠকে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। শুক্রবার বেলা ১টায় সাংবাদিক বৈঠক।

কলকাতা: বুধবার রাজ্যে পৌঁছালো নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। কলকাতায় পা রেখেই দফায় দফায় শুরু বৈঠক।
ভোট পূর্ববর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিন দিনের সফরে রাজ্যে এল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। এসেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং রাজীব কুমার ও অন্যরা। রাজ্যে আগেই পৌঁছে গিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
দফায় দফায় বৈঠকে কমিশন
বুধবার রাজ্যে পৌঁছেই পুলিশের নোডাল অফিসারের বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক। তার পরেই ভোটের সঙ্গে সম্পর্কিত এজেন্সিগুলির সঙ্গে বৈঠক হবে। ওই দিনই জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করবে ফুল বেঞ্চ।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজির সঙ্গে বৈঠক হবে। ওই দিনই বেলা ১টার সময় সাংবাদিক বৈঠক করবে কমিশন।
কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার
এ দিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময় বলেন, আমরা তিন দিনের সফরে রাজ্যে এসেছি। শুক্রবার সংবাদ মাধ্যমের সমস্ত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
কবে ভোট
নির্বাচন কমিশন এখনও পর্যন্ত ২০২১ বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। তবে ইঙ্গিত দিয়েছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।
এর আগে শোনা গিয়েছিল, এপ্রিলের গোড়ায় শুরু করে মে মাসে ১৫ তারিখের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে পারে কমিশন। কিন্তু সিবিএসই পরীক্ষার বিষয়টিকে তুলে ধরেই এখন তা এগিয়ে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে কমিশনের ফুল বেঞ্চের রাজ্য সফরের পরই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।
বিবেচনায় করোনা
করোনা সংক্রমণ এড়াতে এ বার প্রায় ২৫ হাজারের মতো বুথ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের জন্য স্থান বাছাইয়েরও কাজ চলছে।
গত বিধানসভা ভোটে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছিল ছ’টি পর্যায়ে। তবে এ বার নির্বাচনের পর্যায় সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে। ক’টি পর্যায়ে ভোটগ্রহণ হবে, তা এখনই বলা সম্ভব না হলেও পর্যায়ের সংখ্যা যে বাড়বে, তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন।
এ বারের ভোটে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পাওয়া যাবে। শারীরিক ভাবে অক্ষমরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়তে পারেন: দু’ লক্ষের পালটা আড়াই লক্ষ, ধূপগুড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতিপূরণের ‘লড়াই’ কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকের মধ্যে
রাজ্য
তৃণমূলেও ‘কাজ করতে’ পারলেন না শান্তিপুরের ‘কংগ্রেস’ বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য, এ বার গেলেন বিজেপিতে
বিজেপিতে যোগ দেওয়া অরিন্দমবাবু অবশেষে ‘কাজ করার সুযোগ’ পান কি না, এখন সেটাই দেখার।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যে এখন দলবদলের হিড়িক লেগেছে। বলা ভালো বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লেগেছে। আর যাঁরাই বিজেপিতে যাচ্ছেন, তাঁদের সবার একটাই অভিযোগ, “দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না।” এ বার বিজেপির পথে হাঁটা লাগালেন রাজ্যের আরও এক বিধায়ক।
তিনি এখনও কংগ্রেসেরই বিধায়ক। সেই অরিন্দম ভট্টাচার্য তৃণমূল ঘুরে এ বার বিজেপি-যাত্রা করলেন। অবশ্য এটা একদমই অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। গত কয়েক মাস ধরেই অরিন্দমবাবুর নানা রকম পদক্ষেপ নিয়ে এই রকম জল্পনাই চলছিল।
বুধবার দিল্লিতে কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দমবাবু। পাঁচ বছর আগে বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে ভোটে জেতা অরিন্দমবাবু কিন্তু এখনও খাতায় কলমে কংগ্রেসের বিধায়কই রয়ে গিয়েছেন।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে অরিন্দম বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ‘আত্মনির্ভর ভারত’ স্লোগানে আস্থা রেখে বিজেপি-তে যোগ দিলাম।’’
তাঁর অভিযোগ, লকডাউনের সময় অনেক আশা নিয়ে বাইরে কর্মরতরা পশ্চিমবঙ্গে ফিরেছিলেন। কিন্তু তাঁদের কর্মসংস্থান করতে পারেনি রাজ্য। সেই সঙ্গে তাঁর আক্ষেপ, ‘‘এখন বাংলায় শুধু ব্যক্তি আক্রমণের রাজনীতি হয়। এই পরিস্থিতি বদলের প্রয়োজন।’’
২০১৬-র বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে শান্তিপুর থেকে জিতেছিলেন অরিন্দম। প্রদেশ যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অরিন্দম হারিয়েছিলেন হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী অজয় দে-কে। তবে ‘দলে থেকে বেশি দিন কাজ করতে না পেরে’, ২০১৭ সালের জুন মাসে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
অরিন্দমের সঙ্গেই তৃণমূলে যোগ দেন নদিয়া জেলার আর এক কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর সিংহ। তবে তৃণমূলে যোগ দিলেও অজয়-শিবিরের সঙ্গে অরিন্দমের সম্পর্ক কখনও মসৃণ হয়নি। গত বছর শান্তনু মাহাতো নামে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল অজয়বাবুর লোকজন।
গত বছর এপ্রিলে রামনবমীর দিন ‘করোনা নাশ যজ্ঞ’ও করেছিলেন অরিন্দম। এর পরেই তাঁর বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। গত নভেম্বরে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় শান্তিপুরের রাস উৎসবে যোগ দিতে এলে অরিন্দম তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন। তখন থেকে অরিন্দমের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা আরও জোরাল হয়।
কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অরিন্দমবাবু অবশেষে ‘কাজ করার সুযোগ’ পান কি না, এখন সেটাই দেখার।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
রাজ্য2 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
রাজ্য3 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
দেশ3 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণগুলি জেনে নিন