আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যু এবং নির্যাতন কাণ্ডে এবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই-এর তদন্ত নিয়ে উঠল প্রশ্ন। এই ঘটনা ধর্ষণ না গণধর্ষণ ছিল, তা জানতে চাইলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আদালত মামলার কেস ডায়েরিও তলব করেছে।
নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই-এর তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে নতুন করে তদন্তের আর্জি জানানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির পর কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরা আদালতে জানান, তদন্তে একাধিক ফাঁক রয়ে গেছে, এমনকি সিসিটিভি ফুটেজও নেই। তাঁরা দাবি করেন, আদালতের উচিত তদন্তের ওপর নজরদারি রাখা এবং প্রয়োজনে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া।
শুনানির সময় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই-এর আইনজীবীকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেন—
১. তরুণী চিকিৎসকের ঘটনা ধর্ষণ না গণধর্ষণ?
২. মূল অভিযুক্ত একজন, নাকি একাধিক ব্যক্তি জড়িত?
৩. অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের শাস্তি ঘোষণার পর তদন্ত কতটা এগিয়েছে?
এছাড়া, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০ নম্বর ধারায় তদন্ত হয়েছে কি না, সে বিষয়েও আদালত প্রশ্ন তোলে।
রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালত যদি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়, তবে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, অন্যান্য মামলায় সিবিআই সক্রিয় থাকলেও এই ঘটনায় তদন্তের গতি ধীর কেন? তাঁর দাবি, আদালত যেন ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়। প্রায় ১ বছর তদন্ত করছে সিবিআই, কী পেল তারা? রাজ্যের মানুষ জানতে চায়, দেশ জানতে চায়।
সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার জানান, শুক্রবার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেবে সিবিআই। ওই দিন বিকেল সাড়ে তিনটেয় মামলার পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টে।