রাজ্য
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি তৃণমূলের
রাজ্যপালকে সরাতে বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিল তৃণমূল।

কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) সাংবিধানিক রীতিনীতি মানছেন না অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সংসদীয় দল।
বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যপালকে নিয়ে দলের অবস্থানের কথা জানালেন তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায়।
রাষ্ট্রপতিকে ছ’পাতার চিঠি
তিনি বলেন, পাঁচ জন সাংসদের স্বাক্ষরিত ছ’পাতার চিঠি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অভিযোগের প্রেক্ষিতে একধিক তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপতির হাতে। দাবি করা হয়েছে, অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারণ করা হোক ধনখড়কে। তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হোক উপযুক্ত ব্যবস্থা।
পাঁচ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, কাকলী ঘোষদস্তিদার এবং সুখেন্দুশেখর রায়ের স্বাক্ষরিত ওই চিঠি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে।
কেন তৃণমূলের নিশানায় রাজ্যপাল
তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যপাল সংবিধানের নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক মন্তব্য করছেন। ভারতের আর কোনো রাজ্যের রাজ্যপাল এমন আচরণ করেছেন। সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে চলেছেন। দিল্লির শাহেননশাহদের নির্দেশে এসে রাজনৈতিক এজেন্ডা পালন করছেন”।
তৃণমূলের আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন রাজ্যপাল। বিধানসভার অধ্যক্ষকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিধানসভার কাজ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। রাজ্যপাল বলছেন, শিল্প সম্মেলনের হিসাব চাই, তাঁকে কে এই অধিকার দিয়েছে। এ ভাবে বার বার বিধাসভার মর্যাদাহানি করেছেন তিনি।
সুখেন্দু বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার দ্বায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারাই সাংবিধানিক সংস্থা। এই নিয়ে রাজ্যপালের তো কিছু বলার থাকে না। অথচ, রাজ্যপাল ক্রমাগত এই ইস্যুতে মুখ খুলছেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “সর্বোচ্চ আদালতের একটি নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাজকর্মে রাজ্যপালের সহযোগিতার কথা। প্রকাশ্যে সমালোচনা করা যায় না। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি আমরা। সংবিধান মানছেন না রাজ্যপাল। এই কারণেই তাঁকে অপসারণের দাবি জানিয়োছি আমরা”।
কী বলছেন রাজ্যপাল
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা থেকে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা, দুর্গাপুজো কার্নিভালে অপমান, রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ইস্যুতে প্রায়শই রাজ্য সরকার এবং শাসক দল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলছেন রাজ্যপাল। ইদানীং তিনি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং অবাধ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ফেলেছেন।
বুধবারেও ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ধনখড়। বলেছেন, “রাজ্যে শিক্ষার রাজনীতিকরণ চলছে”। সব মিলিয়ে বাকযুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণই নেই!
আরও পড়তে পারেন: আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের ডাক দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়
রাজ্য
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী বিজেপির?

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার প্রথম দু’দফার ৫৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। এ দিন এই ৫৭টির মধ্যে ৫৬টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে একটি ছাড়া হয়েছে সহযোগী দল আজসুকে। তবে সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এ দিন স্পষ্ট হয়ে গেল, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীই।
এক নজরে বিজেপির প্রার্থী তালিকা
পটাশপুর: অম্বুজাক্ষ মোহান্তি
কাঁথি উত্তর: সুনীতা সিংহ
ভগবানপুর: রবীন্দ্রনাথ মাইতি
খেজুরি: শান্তনু প্রামাণিক
কাঁথি দক্ষিণ: অরূপকুমার দাস
রামনগর: স্বদেশরঞ্জন নায়েক
এগরা: অরূপ দাস
দাঁতন: শক্তিপদ নায়েক
গোপীবল্লভপুর: সঞ্জিৎ মাহাতো
বিনপুর: পালন সোরেন
মেদিনীপুর: সমিত দাস
নয়াগ্রাম: বকুল মুর্মু
ঝাড়গ্রাম: সুখময় শতপথী
কেশিয়াড়ি: সোনালি মুর্মু
খড়গপুর: তপন ভুঁইয়া
তমলুক: হরেকৃষ্ণ বেরা
ময়না: অশোক দিন্দা
নন্দকুমার: নীলাঞ্জন অধিকারী
হলদিয়া: তাপসী মণ্ডল
নন্দীগ্রাম: শুভেন্দু অধিকারী
সবং: অমূল্য মাইতি
ডেবরা: ভারতী ঘোষ
দাসপুর: প্রসন্ন বেরা
গড়বেতা: মদন রুইদাস
শালবনি: রাজীব কুণ্ডু
বলরামপুর: বনেশ্বর মাহাতো
জয়পুর: নরহরি মাহাতো
পুরুলিয়া: সুদীপ মুখোপাধ্যায়
মানবাজার: গৌরী সিং সর্দার
ছাতনা: সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়
তালডাংরা: শ্যামলকুমার সরকার
বিষ্ণপুর: তন্ময় ঘোষ
ইন্দাস: নির্মল ধাড়া
আপডেট আসছে…
রাজ্য
আজই প্রার্থী তালিকা বিজেপির! নন্দীগ্রামে শুভেন্দু, খড়গপুরে দিলীপ, জোর জল্পনা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সফরের আগের দিনেই প্রার্থী তালিকা। কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কে? জোর জল্পনা!

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবারই প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সফরের আগের দিনেই এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতে চলেছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
শুক্রবার ২৯১টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে গড়মসি চলছেই। সম্প্রতি জানা যায়, তৃণমূলের সঙ্গে একই দিনে তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি। তার পরে শোনা যায়, ৭ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশের পর তা প্রকাশ করা হতে পারে। তবে এ দিনই সেই জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে জোর জল্পনা চলছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং দলের সাংসদ দিলীপ ঘোষের নাম নিয়ে। এমনটাই শোনা যাচ্ছে, নিজের ছেড়ে আসা খড়গপুরে তাঁকে ফের প্রার্থী করা হতে পারে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করা হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। একই ভাবে পাণ্ডবেশ্বরের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম।
বিজেপি সূত্রে খবর, তৃণমূল ছেড়ে আসা রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড়েই প্রার্থী করা হতে পারে। বিধাননগর থেকে সব্যসাচী দত্ত, বাগদায় দুলাল বর, শিবপুরে রুদ্রনীল ঘোষ, হাওড়া মধ্য-য় রথীন চক্রবর্তী, খড়দহে শীলভদ্র দত্ত, ব্যারাকপুরে চন্দ্রমণি শুল্ক এবং বালি থেকে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে এই কেন্দ্রেরই প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে।
আপডেট দেখুন: লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
রাজ্য
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
বিজেপির আগেই বিধানসভা ভোটের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বিজেপির আগেই বিধানসভা ভোটের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য যা নিয়ে সমালোচনায় সরব হলেন।
শনিবার অমিত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় প্রার্থীদের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনিশ্চিত রয়েছেন। সেই অনিশ্চয়তা নিয়েই তিনি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন।
টুইটারে অমিত লেখেন, বিজেপি যাঁদের প্রার্থী করবে, তাঁরা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করবেন। মানুষের চাহিদার বাস্তবায়ন করবেন।
অমিত মালব্য আরও লেখেন, “প্রার্থীদের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় দলগুলি। তারা প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে তাই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই সাধারণ মানুষের সম্পর্ক নেই”।
বিজেপি কী ভাবে প্রার্থী বাছাই করছে, সে প্রশ্নের উত্তর খোলসা করে অমিত লেখেন, “বিজেপির প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পুরণের লক্ষ্যে কাজ করবেন। তাঁরা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে সার্থক করবেন”।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ২৯১টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন তৃণমূলনেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের তরফে ৬০টি আসনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এই সমস্ত আসনগুলির প্রার্থীর নাম স্পষ্ট করা হয়নি।
কালীঘাটে দলীয় কার্যালয় থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে মমতা বলেন, “এ বার আমরা আরও বেশি যুবক এবং মহিলা প্রার্থীদের উপর জোর দিয়েছি। প্রায় ২৩-২৪ জন বিধায়ককে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তালিকায় প্রায় ৫০ জন মহিলা, ৪২ জন মুসলিম, ৭৯ জন তফসিলি এবং ১৭ জন তফসিলি উপজাতি প্রার্থীর নাম রয়েছে”।
আরও পড়তে পারেন: পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক1 day ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
ভ্রমণের খবর2 days ago
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
-
রাজ্য1 day ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা