আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারি ঘটনার তদন্তের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সোমবার রাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এই গ্রেফতারিকে ‘শেষের শুরু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সিবিআই সন্দীপ ঘোষসহ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে রাজ্যপাল বোস এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এই গ্রেফতারির পূর্বে, রাজ্যপাল বোস দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকে আর জি কর হাসপাতালের এক মৃত মহিলা চিকিৎসকের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে একটি আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের অভিভাবকরা দ্রুত তদন্তের দাবিতে রাজ্যপালের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সন্দীপ ঘোষকে সিবিআইয়ের বিশেষ অপরাধদমন শাখা (এসসিবি)-র সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাকে দ্রুত নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্ষণ-খুন মামলার তদন্ত করছে এসসিবি, এবং আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন শাখা।
অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে ধৃত সন্দীপ ঘোষ, গ্রেফতার তাঁর তিন শাগরেদও
সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২১ দিনে সিবিআই তদন্তের অধীনে সন্দীপ ঘোষকে ১৬ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তাকে দুইবার পলিগ্রাফ পরীক্ষাও করা হয়েছে। এদিকে, আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে: মা তারা ট্রেডার্সের মালিক বিপ্লব সিংহ, হাওড়ার একটি ওষুধের দোকানের মালিক সুমন হাজরা, যিনি পুনর্ব্যবহৃত ওষুধ বিক্রির অভিযোগে জড়িত, এবং সন্দীপ ঘোষের নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলি।
উল্লেখযোগ্য, ১২ আগস্ট সন্দীপ ঘোষ আর জি কর কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে পুনর্বহাল করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে। কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে ধর্ষণ ও খুন হওয়া ওই মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।