আজ ১৪ নভেম্বর, রসগোল্লা দিবস। ২০১৭ সালের এই দিনে ওড়িশাকে হারিয়ে বাংলার রসগোল্লা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) তকমা পেয়েছিল। এই বিশেষ দিন উপলক্ষে রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা নানা রকমের রসগোল্লা প্রদর্শনী এবং ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়ের আয়োজন করেছেন। একাধারে আবারও আজই বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস।
রসগোল্লার আবিষ্কারক নবীনচন্দ্র দাশকে স্মরণ করে কে সি দাশ সংস্থা আজ সাদা রসগোল্লার দামে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। সংস্থার কর্ণধার ধীমান দাশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “রসগোল্লা বাঙালির চিরকালীন প্রিয় মিষ্টি। নতুন প্রজন্ম যেমন সাদা রসগোল্লা পছন্দ করে, তেমনই স্ট্রবেরি ও ব্ল্যাক কারেন্ট স্বাদের রসগোল্লাও জনপ্রিয়। কম দামে এই বিশেষ স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ কোথাও পাওয়া যাবে না।”
দেশপ্রিয় সুইটসের ডিরেক্টর সমীর ঘোষ বলেন, “রসগোল্লার বিক্রির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে, এমন মিষ্টি সত্যিই বিরল। যারা ভিন্ন স্বাদের খোঁজে থাকেন, তাদের জন্য বেকড রসগোল্লা, কমলাভোগ ও কেশরভোগের ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের সাতটি দোকানে ইতিমধ্যেই নতুন গুড়ের রসগোল্লা বিক্রি শুরু হয়েছে, আজ তা একটু বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে।”
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের সংগঠন মিষ্টি উদ্যোগের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আজ রসগোল্লা বিক্রিতে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এই দিনটি বাঙালিয়ানার উদযাপন হিসেবেই প্রচার হবে। হুগলি জেলার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান অমিতাভ দে জানিয়েছেন, “রিষড়ার জগদ্ধাত্রী পুজোয় এবারের থিম ছিল রসগোল্লা। দর্শকদের গরম রসগোল্লা খাওয়ানো হয়েছে। আজ শিশুদের মুখে রসগোল্লা তুলে দিয়ে আমরা শিশুদিবসের আনন্দ ভাগ করে নেব। কানাইপুর, শ্রীরামপুর ও চন্দননগরের হোমে এবং উত্তরপাড়ার একটি ব্লাইন্ড স্কুলে বিনামূল্যে রসগোল্লা পাঠানো হবে।”
আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসও। যাঁরা সুগারের কারণে রসগোল্লা এড়িয়ে চলেন, তাঁরা আজ কী করবেন তা নিয়ে একটু দ্বিধায়। দ্বিধা কাটিয়ে একটা রসগোল্লা আজ চলতেই পারে!
আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন