ওয়েবডেস্ক: গত ১৮ জুন শুনানি শেষ হওয়ার পর ডিএ মামলার রায় ঘোষণা করল স্যাট। এ দিন ট্রাইবুনাল জানায়, কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। কী ভাবে ডিএ দেওয়া হবে তা ঠিক করবে রাজ্য। কেন্দ্রের হারে ডিএ না দিলে বৈষম্যমূলক হবে বলে জানিয়েছে স্যাট।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ-র ফারাক প্রায় ২৯ শতাংশ। তার উপর ডিএ অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় বৈষম্য আরও বাড়ছে। এই বৈষম্য ঘোচাতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নগদে বা প্রভিডেন্ট ফান্ডে দিতে হবে বলে স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেডিভ ট্রাইবুনাল বা স্যাট। একই সঙ্গে স্যাট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জানায়, নতুন পলিসি তৈরি করে বকেয়া ডিএ দিতে হবে আগামী ১ বছর অথবা ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগুর মধ্যে যেটি আগে হবে, তার মধ্যেই।
স্যাট এ দিন নির্দেশ দেয়, তিন মাসের মধ্যে পলিসি তৈরি করতে হবে। এর পর ষষ্ঠ বেতন কমিশন লাগু হওয়া বা আগামী ১ বছরের মধ্যেই এই বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিতে হবে। একই ভাবে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করতে হবে।
রাজ্যের বাইরে দিল্লি এবং চেন্নাইতে যে রাজ্য সরকারি কর্মীরা রয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মতো সমান হারে ডিএ পান। কিন্তু নতুন নিয়ম চালু হলে তাঁরা ওই হারে ডিএ পাবেন না। তখন রাজ্য সরকারের স্থিরীকৃত হারেই তাঁরা ডিএ পাবেন। তবে এত দিন যে বাড়তি ডিএ তাঁরা পেয়েছেন, তা ফেরত দিতে হবে না বলে জানায় স্যাট।
স্যাট বলে, ডিএ কী ভাবে দেওয়া হবে, তা স্থির করবে রাজ্য। তবে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদেরও।। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দিলে তা হবে বৈষম্যমূলক। গোটা দেশের মূল্যসূচক দেখে ডিএর হার স্থির করতে হবে।