উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করতে এগিয়ে এল রেল মন্ত্রক। রেল সংযোগ উন্নত করতে শিয়ালদহ এবং জলপাইগুড়ি রোডের মধ্যে সরাসরি নতুন হামসফর এক্সপ্রেস চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল। এই ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে দুই প্রান্তের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হবে।
নতুন ট্রেন পরিষেবার সূচনা হবে ১৪ জুন ২০২৫, একটি উদ্বোধনী স্পেশাল ট্রেন (নং ০৩১১৬)-এর মাধ্যমে, যা জলপাইগুড়ি রোড থেকে দুপুর ২টায় ছেড়ে রাতভর সফরের পর পরদিন ভোর ৪টেয় শিয়ালদহে পৌঁছাবে।
নিয়মিত পরিষেবা শুরু ২০ জুন থেকে
এই পরিষেবার নিয়মিত যাত্রা শুরু হবে ২০ জুন ২০২৫ থেকে। ট্রেন নম্বর ১৩১১৫ হামসফর এক্সপ্রেস প্রতি শুক্রবার রাত ১১:৪০-এ শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে পরের দিন দুপুর ১২টায় জলপাইগুড়ি রোডে পৌঁছাবে।
ফেরার পথে, ট্রেন নম্বর ১৩১১৬ প্রতি শনিবার রাত ৮:৩০-এ জলপাইগুড়ি রোড থেকে ছেড়ে পরদিন সকাল ৮:১০-এ শিয়ালদহ পৌঁছাবে।
নশিপুর রেল সেতুর মাধ্যমে প্রথম এক্সপ্রেস পরিষেবা
এই ট্রেনটি নশিপুর রেলসেতু হয়ে চলাচলকারী প্রথম এক্সপ্রেস ট্রেন, যা যাত্রার সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমাবে এবং যোগাযোগকে আরও নিরবচ্ছিন্ন করবে। এর ফলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রেল ভ্রমণ হবে আরও দ্রুত, সহজ ও নির্ভরযোগ্য।
পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা
এই ট্রেন পরিষেবা উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প, শিক্ষাক্ষেত্র ও ব্যবসায়িক পরিবেশে বড় পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাত্রাপথের সংক্ষিপ্ততা এবং সরাসরি পরিষেবার সুবিধায় উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতাগামী যাত্রীদের সময় ও খরচ দু’টোই বাঁচবে।
কী বলছে রেল কর্তৃপক্ষ?
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, “ট্রেনটির রুট, সময়সূচি ও স্টপেজের বিস্তারিত তথ্য আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে যাত্রার আগে বিস্তারিত দেখে নেওয়ার জন্য।”
এই নতুন হামসফর এক্সপ্রেস কেবল একটি ট্রেন নয়, বরং উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সম্পর্ক, যোগাযোগ ও উন্নয়নের সেতুবন্ধন। এই পরিষেবা দুই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ে নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করছেন পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা।